Halloween Costume ideas 2015
March 2025

                         


                             প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ 

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুঁশি। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসীকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। 

সোনারগাঁও দর্পণ এ পাঠানো এক শুভেচ্ছা বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ঈদুল ফিতর দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা ও আত্মসংযমের পর মুসলিম উম্মাহর জন্য সুখের বার্তা নিয়ে আসে। তাই মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসী ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর প্রতি ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। 

হিংসা বিদ্বেষ ও ধনী-গরীবের ভেদাভেদ ভুলে সবাই নিরাপদে ও সুস্থ্যতার সাথে ঈদ উদযাপন করবে বলে আমি দোয়া করছি। সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রাজন (৩৫) ও আনোয়ার ৩৪) নামে ডাকাত দলের ২ সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। রবিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে পৌর এলাকার ত্রিবর্দী (টিপরদী) গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদেরকে আটক করা হয়। 

এলাকাবাসী জানায়, দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে  ৪ টা সিএনজি ওই এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করলে স্থানীয় জনতা তাদেরকে আটক করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।

সোনারগাঁও থানার তদন্ত কর্মকর্তা রাশেদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত রাজন ও আনোয়ার ছোট সাদিপুর গ্রামের হরমুজের ছেলে ডাকাত পায়েল গ্রুপে কাজ করে। আজও পায়েলের নেতৃত্বে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল ডাকাত।

সোনারগাঁ ও থানায় এদের বিরুদ্ধে চুরি ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদিন জানান, সকালে আইনি প্রতিক্রিয়া শেষে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হবে।


সোনারগাঁও দর্পণ :

ধর্মীয় মূল্যবোধ বিকাশে শহিদ জিয়াউর রহমানের অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোনারগাঁও যুব পরিবারের ব্যানারে শনিবার (২৯ মার্চ) বিকালে সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বুরুমদি আব্দুল লতিফ মোজাফ্ফর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সভা ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রদান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ওয়ালিউর রহমান আপেল। 

বরুমদি এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী ওয়াকিল উদ্দিন ভুইয়া উকিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামাদলের আহ্ববায়ক হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে শহিদ জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় মানুষের জীবনে ইসলামের বিভিন্ন আদেশ-নিষেধ প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন। পরে জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ রোগ মুক্তি লাভে বিশেষ দোয়া করেন।

অনুষ্ঠানে পাঁচশতাধিক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির নানা পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

আরবি ১৪৪৬ হিজরি সালের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক রবিবার (৩০ মার্চ) সৌদি আরবে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হবে।

সৌদি আরবে অবস্থানরত সোনারগাঁও দর্পণ’র একাধিক পাঠক শরিবার (২৯ মার্চ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিট) ফোন করে এ খবর নিশ্চিত করেছে। এছাড়া তারা দেশটির বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও টেলিভিশনের সংবাদে এ সংশ্লিষ্ট প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদেরও বরাতের কথা উল্লেখ করেছেন।


এছাড়াও তারা জানায়, ঈদের চাঁদ দেখা সংক্রান্ত সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্টের কমিটি মক্কা ও মদিনার নিয়মিত আপডেট দেওয়া ফেসবুক পেইজ ইনসাইড দ্যা হারামাইন এ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু তথ্য তাদের পেজে দিয়েছেন।

চাঁদ দেখার আগে সুদাইরে প্রধান জ্যোতির্বিদ আবদুল্লাহ আল-খুদাইরির বরাত দিয়ে পেজটিতে বলা হয়েছে, "আজ, শনিবার, সুদাইরে মানমন্দির সাইটে সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬:১২ মিনিটে, এবং অর্ধচন্দ্র অস্ত যাবে এর ৮ মিনিট পরে। দৃশ্যমানতার সময়কাল কম হোক বা দীর্ঘ, আকাশ পরিষ্কার থাকলে অর্ধচন্দ্র দেখা সম্ভব।" 

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য মাধ্যম গণমাধ্যম গাল্ফ নিউজ এবং কালিজ টাইমস এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করেছে, যেখানে তারা সৌদি আরবে রবিবার পবিত্র ঈদ উল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায়। 

 সে হিসেবে, বাংলাদেশে সোমবার পবিত্র ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারপরও যেহেতু এটি সম্পূর্ণভাবে চাঁদ দেখার ওপরই নির্ভরশীল। 

এদিকে, বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি রবিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদ দেখতে বসার কথা রয়েছে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন সোনারগাঁওয়ের ১১ গ্রামবাসী। “নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরা গড়ি, অপরাধ রোধ করি” এই শ্লোগানে, “ একটি সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাং ও ইভটিজিং প্রতিরোধে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল” এর আয়োজন করে বড় সাদীপুর ঈদগাঁহ পরিচালনা কমিটি। 

বুধবার (২৬ মার্চ) উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বড় সাদীপুর মাঠে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নয়টি গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যরা এবং সাধারণ মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে বড় সাদীপুর, নগর সাদীপুর, ষোলপাড়া, লেবুছড়া, কামারগাঁও, দমদমা, বিশেষখানা, দলদার, ভৈরবদী, নগর সাদীপুর ও মুকতিশপুর গ্রামের গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গিকার করেন এবং পবিত্র রমজানের পর তারা সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিবেন বলে ঘোষণা দেন।

বড় সাদীপুর ঈদগাঁহ কমিটির সহ সভাপতি আব্দুল কাদির শ্যামলের সভাপতিত্বে ও ঈদগাঁহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এ মহিন মিয়ার  সঞ্চালনায় দিক নির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন, আব্দুর রশিদ, আব্দুল মতিন, আলী নুর, শহিদুল ইসলাম রিপন, আব্দুস সালাম মিঠু, মোক্তার হোসেন, পান্না, সাংবাদিক মোকাররম মামুন ও জসিম উদ্দিন লিটন। 

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুস সালাম, হাজী ইকবাল হোসেন, তারা মিয়া, মজিবুর রহমান, জাকির হোসেন, মিলন, আমির হোসেন, শিপন সরকার মেম্বার, সাংবাদিক রিপন সরকার, মোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল করিম, মোশারফ হোসেন, আহম্মদ আলী প্রমূখ। 

বক্তব্যে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি আমাদের প্রতিবেশী গ্রামের একটি স্বার্থান্বেসী গোষ্ঠি আমাদের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৯ থেকে ১১ গ্রামের সাধারণ মানুষদের প্রতিদিনের ঘাঁম জড়ানো কষ্টার্জিত টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন এমন কি কোন কোন সময় বাড়ি-ঘর, দোকান পাট থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্ত্র ঠেঁকিয়ে জোর করে ছিনতাই নিয়ে যায়। 

একজন মানুষের সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের উপার্জিত টাকা-পয়সা স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা’কে নিয়ে ভালো থাকার আশায় উপার্জন করে বাড়ি ফেরার সময় প্রায়ই একদল ছিনতাইকারী তা সর্বস্ব লুটে নেয়। দীর্ঘ দিন ধরে এ ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এ ঘটনায় আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পর পর দুইবার তাদের প্রতিরোধ করেছি। 

তারা আরও বলেন, আমাদের সমাজ চলবে প্রত্যেকের সমাজের নিয়মে কিন্তু মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাং ও ইভটিজিং এর মতো সামাজিক অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে যদি আমরা দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে পারি, তাহলে আমরা ও আমাদের ভবিষ্যত নিরাপদ হবে। 

পরে সমাজের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয় এবং একত্রে ইফতার করেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শান্ত (২৬) নামে এক লম্পটকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় তাকে উপজেলার নাজিরপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া শান্ত ওই গ্রামের আমির হোসেনে ছেলে। 

থানায় ভুক্তভোগীর মা’য়ের দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত শান্ত ও নির্যাতিতা সম্পর্কে দুসম্পর্কের মামা-ভাগ্নি। পাশ^বর্তি এলাকার হওয়ায় নির্যাতিতার নানার বাড়ি থেকে দাদার বাড়ি যাতায়াতে অভিযুক্ত শান্তর বাড়ির ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। 

তারই অংশ হিসেবে নাজিরপুর নীলকান্দা দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী ওই নির্যাতিতা গত ২৩ মার্চ দুপুরে বাদির নিজ বাড়ি থেকে বাবার বাড়ীতে যাওয়ার পথে সোনারগাঁও থানাধীন নাজিরপুর এলাকায় অভিযুক্ত শান্তর ঘরের সামনে পৌঁছলে শান্ত তার মেয়েকে শান্তর ছোট বোন ছোট তিথী ডাকে বলে শান্তর ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে যৌন কামনা চরিতার্থ করার জন্য তার শিশু মেয়ের মুখ চেপে ধরে ঘরের খাটের উপর নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। 

এ সময় শান্তর মা আসমা দরজা খোলার জন্য ডাকলে শান্ত ওই শিশুকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। তার মেয়েও বাড়ি গিয়ে তাকে এ ঘটনা জানায়। 

পরে থানায় গিয়ে গত ২৫ মার্চ রাতে সোনারগাঁও থানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০০) ৯ এর ৪ এর (খ) ধারা মামলা (মামলা নং ২৯) করে। 

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পুলিশ নাজিরপুর থেকে রাতেই অভিযুক্ত শান্তকে গ্রেফতার করে বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে জেলা আদালতে পাঠিয়েছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে একই এলাকায় আবারও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইকারীরা সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বড় সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা রেস্তোরা ব্যবসায়ী জামালের ছেলে আরফানের কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিলে আশপাশের লোকজন ঐক্যবদ্ধভাবে আরফানের পাশে দাড়ায়। এ সময় দুই ছিনতাইকারীকে ধরে গণপিটুনি দেওয়ার সময় স্থানীয় মুরুব্বিরা আইন হাতে না তুলে নেয়ার অংশ হিসেবে রক্ষা করে। এ সুযোগে দুই ছিনতাইকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়।

রবিবার (২৩ মার্চ) রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে তারাবিহ নামাজের সময় সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বিশেষখানা গ্রামে ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে। 

গ্রামে ডাকাত পড়েছে, মসজিদের মাইকে এমন ঘোষণা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখাগেছে, বড় সাদীপুর, লেবুছড়া, দলদার, ষোলপাড়া, বিশেষখানা আমতলাসহ ৫/৬  গ্রামের নারী-পুরুষ, যুবকসহ বিভিন্ন বয়সের শতশত মানুষের জটলা। প্রায় সকলের হাতেই দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র। ছিনতাইকারীদের হাতের কাছে পেয়ে এলাকার মুরুব্বিদের জন্য কিছু করতে না পারার আক্ষেপে কেউ কেউ মুরুব্বিদের দোষছেন। 

অপরদিকে, পাঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন একজন।

বক্তব্য থেকে জানাগেছে, বড় সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা রেস্তোরা ব্যবসায়ী জামালের ছেলে আরফান বাড়ি যাওয়ার সময় তার কাছ থেকে বিশেষ খানা গ্রামে সাত হাজার পাঁচশত টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় একদল ছিনতাকারী। 

আরফান তার গ্রামে গিয়ে এ ঘটনা জানালে মসজিদের মাইকে এলাকাবাসী আবারও এলাকায় ডাকাত পরেছে বলে ঘোষণা দিলে ৫/৬ গ্রামের মানুষ বড় সাদিপুর বালু মাঠে জড়ো হয়। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থল বিশেষখানা গ্রামে যান। সেখানে ছিনতাইকারীদের পেয়ে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী । 

এ সময় ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলায় স্থানীয় মুরুব্বিরা গণপিটুনির হাত থেকে ছিনতাইকারীদের রক্ষা করে তাদের পরিবারকে খবর দেয়। ছিনতাইকারীর পরিবারের লোকজন তাদের সন্তানদের সকলের সামনে উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। 

তবে, ছিনতাইকারী কারা এমন প্রশ্নে স্থানীয়রা নাম প্রকাশ থেকে বিরত থাকে এবং আগামীকাল সোমবার (২৪ মার্চ) বাদ জোহর বড় সাদিপুর ঈদগাঁহ এ ৫/৬ গ্রামের মানুষ, ছিনতাইকারীদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিচার করা হবে স্থানীয় তিনজন জন প্রতিনিধি ও পাঁচ গ্রামের পাঞ্চায়েত সদস্যদের উপস্থিতিতে এমন ঘোষণা দেয়।

পরে সবাই বাড়ি চলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এরআগে, গত ৮ মার্চ মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ষোলপাড়া আমতলায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছিনতাইকারীদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।



সোনারগাঁও দর্পণ :

মিথ্যা অভিযোগে দলিল লেখা সনদ স্থগিতাদেশ ও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লিখক সমিতির একাথিকবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ সরকার। 

রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সোনারগাঁও বৈদ্যের বাজার সাবরেজিষ্ট্রে অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে শহিদ সরকার বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী গাজী কামাল পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। তার ভাই গাজী আমজাদ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গাজী কামাল দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান ও তার কাছ থেকেসহ বিভিন্ন দলিল লিখকের কাছ থেকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি করতো। 

শহিদ সরকার গাজী কামালের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে জেলা সাব রেজিষ্ট্রারের কাছে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ করে। সে অভিযোগে তদন্ত এলে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা হিসেবে প্রমাণ হয়। তারপরও তার সনদ স্থগিত করা হয়।

তিনি আরও জানায়, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দলিল লিখা পেশায় থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ে সহযোগিতা করে আসছেন। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল তার কাজে ইর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে সুনাম ক্ষুন্ন করতেএ এ অভিযোগ বলে দাবি করেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনের জরুরী বিভাগের টয়লেট থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিকালের পর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোন এক সময় নব জাতকটিকে কেউ টয়লেটের কমডে গোপনে ফেলে রেখে যায়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী তাইজুল ইসলাম বুধবার রাতে নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন শেষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০/১১টার দিকে টয়লেট ধুঁয়ে পরিস্কার করে বাড়ি চলে যায়। সারাদিন সে টয়লেট ব্যবহার করলেও কোন সমস্যা হয়নি।

শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের চিকিৎসক জাহাঙ্গীর টয়লেট ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার করার পর পানি না সরে যাওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর রাগ হয়। পরে লোক এনে অনেক চেষ্টার পরও পানি না সরায় সন্দেহ হলে কারণ খোঁজ করলে মরদেহটির সন্ধান পায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

পরে থানা পুলিশেকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আক্তার তিথি’র সাথে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা, যেহেতু হাসপাতালের কোন রোগির নবজাতক হারায়নি বা হাসপাতালের কোন রোগি এ ঘটনা ঘটিয়েছে এমন কোন কারণও ঘটেনি সেহেতু হয়তো বৃহস্পতিবার বিকালের পর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোন এক সময় নব জাতকটিকে অন্যকোন জায়গা থেকে এনে কেউ এ টয়লেটের কমডে গোপনে ফেলে রেখে যেতে পারে।  



সোনারগাঁও
দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়েকে মেঘনা গ্রæপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর ফ্রেশ ব্রান্ডের ফ্রেশ সিমেন্টের মিক্চার মেশিন গাড়ির ধাক্কায় রাফি (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডের পাশে মেনীখালী ব্রীজের ঢাকাগামী ঢালে মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যুবকটি মেঘনা শিল্পাঞ্চল দিক থেকে তার মটরসাইকেল (খুলনা হ ১২-৬৮৭৮) চালিয়ে মোগরাপাড়া যাওয়ার সময় কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী ফ্রেশব্রান্ডের ফ্রেস সিমেন্ট মিক্চার মেশিনের একটি সাদা রংয়ের ট্রাক পিছন থেকে যুবকটিকে জোরে ধাক্কা দেয়।

এ সময় যুবকটি ছিটকে সড়কের পাশে ফুটপাতে পড়ে মাথা থেতলে গিয়ে মাথা থেকে মগজ বেরিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এ সময় যুবকটির নিথর দেহের পাশে ফুডপান্ডা’র গোলাপী রংয়ের একটি বড় ব্যাগ পরে থাকতে দেখা যায়। সেই ব্যাগ থেকে ছোট ছোট বিভিন্ন অনলাইন পণ্যের প্যাকেট পরে থাকতে দেখা যায়। মূহুর্তের মধ্যে সড়কে ছোপ ছোপ রক্ত ছড়িয়ে পড়ে।


নিহত রাফি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের মইনুল মিয়ার ছেলে। সে চাকুরী সুবাধে সোনারগাঁয়ের গোহাট্টা এলাকায় ভাড়া থাকতেন৷ সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন মাষ্টার জাহিদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷

এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, আমাদের পুলিশ এখনো (সন্ধ্যা ৭টা ১০) ঘটনাস্থলে আছে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে।


সোনারগাঁও দর্পণ :

কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ বিএনপির সদস্য হতে পারেনা, বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজের স্থান নেই জানিয়ে, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের তিন বারের সাবেক এমপি এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সোনারগাঁওয়ের সকল নেতাকর্মীকে আগামীর দিতগুলোতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়েছেন। 

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি, পৌরসভা বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে বুধবার (১৯ মার্চ) বিকালে উপজেলা অডিটরিয়ামে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত উপজেলা বিএনপির (রেজাউল করিম পন্থি) একাংশের ইফতার মাহফিলে তিনি এ আহবান জানান। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মুকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের তিনবারের সাবেক এমপি এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি ইমতিয়াজ বকুল, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও সোনারগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সালাউদ্দিন সালু, থানা যুবদলের আহ্বায়ক আশরাফ প্রধান,জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটির সুরা সদস্য লেখক, গবেষক অধ্যক্ষ ড. মো: ইকবাল হোসেন ভূইয়া, পৌরসভা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ তপন, সহ উপজেলা বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া করা হয়।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে আনুমানিক ৪২ বছরের  অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে সোনারগাঁও পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের নোয়াইল গ্রামে অবস্থিত চুন ফ্যাক্টরির পাশে আলমগীর প্রধানের পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

ঘটনাস্থলে যাওয়া সোনারগাঁও থানা পুলিশের এস আই ইকরাম জানান, আলমগীরের পুকুরে মুখ পানির নিচের দিকে থাকা ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করি। 

উদ্ধারের সময় নিহত ব্যক্তির শরীরে মাল্টিকালারের চেক শার্ট ও শার্টের নিচে সাদা রংয়ের সেন্টু গেঞ্জি এবং কোমরের নিচে উলঙ্গ অবস্থায় ছিল। শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন ছিলনা বা শরীর এতোটাই নরম ছিল যে লাশটি তুলতে গিয়ে মরদেহটির চামড়া উদ্ধারকর্মীদের হাতে চলে আসে। 

ফলে শরীরে কোন চিহ্ন বা দাগ থাকলেও বুঝার উপায় নেই। পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে না পেলে এর চেয়ে বেশি কিছুই বলা সম্ভব না।

ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচদিন আগে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারীকে ক্লোজড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি একে এম আওলাদ হোসেন স্বাক্ষরিত ৩৫১ নং রেঞ্জ  আদেশে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) আসিফ ইমাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, প্রশাসনিক কারণে তাকে ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হলো এবং এ আদেশ তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে। 

এরআগে, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর তিনি সোনারগাঁও থানায় যোগদান করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার একটি সূত্র জানায়, আব্দুল বারী সোনারগাঁওয়ে ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকেই মামলা ও গ্রেফতার বাণিজ্য এবং নানান অনৈতিক কাজে জড়িত হয়ে পড়েন। 

এছাড়া, সম্প্রতি চুরি,ডাকাতি,ছিনতাইয়ের মতো আইনশৃঙ্খলা অবনতি হয় এমন ঘটনা সোনারগাঁও অঞ্চলের নিত্যদিনের ঘটনা।  যার একাধিক অভিযোগ পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি-ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ) অফিসে জমা পরে। 

এরআগেও তাকে দুই বার বদলি আদেশ দেওয়া হলেও তিনি যাননি। সবশেষ ১৮ মার্চ তাকে তাৎক্ষণিক যাওয়া আদেশ হয়। 



সোনারগাঁও দর্পণ : 

গত রবিরার (১৭মার্চ) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পৌরসভার নোয়াইল গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করেছে এলাকাবাসী। 

সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ডাকাতদের আটক করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

পুলিশের কাছে সোপর্দ করা দুই ডাকাত হলো সোনারগাঁও পৌরসভার রাইজদিয়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে জাহের আলী (৪৭) ও পোকার হোসেনের ছেলে ইমন মিয়া (২৪)। আটককৃতরা সম্পকে আপন চাচা- ভাতিজা।

এর আগে, গত রবিবার গভীর রাতে পৌরসভার নোয়াইল গ্রামের মামুনের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা চার ভরি স্বর্ণ, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও নগদ বাইশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের কাজে বাঁধা দিলে মামুনের স্ত্রী মনি আক্তারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। 

এরই সূত্রধরে পৌরবাসী গতকাল ১৮ মার্চ রাত আনুমানিক দেড়টায় দিকে ডাকাত দল আবারও এলাকায় যায় এমন খবরে মুঠোফোন ও অনলাইনে সকলকে সতর্ক করা হলে এলাকাবাসী সোনারগাঁও পৌরসভার নোয়াইল এলাকা থেকে ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করে। 

আটক ডাকাত জাহের আলীর স্বাকারোক্তীতে জানায়, নোয়াইল গ্রামের ব্যবসায় মামুনের বাড়িতে ডাকাতি সময় তাদের মোট ১৭ জন সদস্য ছিল।

এদিকে, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে পৌরসভার লাহাপাড়া এলাকার রেজাউল মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়ার ঘরে তিন জন দুর্বৃত্ত হামলা করে। এ সময় ওই ভাড়াটিয়া বাড়ির এক নারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত আহত করে ঘর থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ওই নারীর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুই দুর্বৃত্ত দৌড়ে পালিয়ে যায়। অপর একজনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ বারী জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুইজন ডাকাতকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের একটি বিশেষ টিম ইতিমধ্যেই ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চালাতে শুরু করেছে।তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

লন্ডনে বসবাসরত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বাসিন্দাদের নিয়ে গঠিত সামাজিক সংগঠন "সোনারগাঁও ওয়েলফেয়ার লন্ডন ইউ, কে'র উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মোগড়াপাড়া পুরান বাজারে সোনারগাঁওয়ের প্রায় ৪ শত গরিব, দুঃস্থ্য ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে উপজেলার জামপুর, শম্ভুপুরা, মোগড়াপাড়া, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন ও সোনারগাঁও , পৌরসভার ৪শ গরিব ও দুঃস্থ্য পরিবারের সদস্যদের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। 

বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে চাল, চিনি, লবণ, আলু, পিঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তৈল, পোলাও চাল, সেমাই ও ছোলা প্রদান করা হয়। 

সংগঠনটির কর্তৃপক্ষ বলেন, রমজান মানে ত্যাগ, ক্ষুদ্রতা, নিচুতা, অহংকার, স্বার্থপরতার এক কথায় আত্মসুদ্ধির মাধ্যমে নিজেকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গঠন করা। 

তাই ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা মানবকল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করি। সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই। 

সামাজিক সংগঠন লন্ডনস্থ "সোনারগাঁও ওয়েল ফেয়ার লন্ডন ইউকে'র সভাপতি মামুন কবির বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করে বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ গ্রহণ করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। 

তিনি পবিত্র রমজান মাস সমাজের দারিদ্র্য ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোয় "সোনারগাঁও ওয়েল ফেয়ার লন্ডন ইউকে'র সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। 

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানাযায়, "সোনারগাঁও ওয়েল ফেয়ার লন্ডন ইউ কে" নিয়মিত সহায়তার পাশাপাশি আগামীতে বিভিন্ন পরিবারকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে নানামুখী ব্যয়বহুল প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যা বাস্তবায়ন হলে এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের সংখ্যা কমার পাশাপাশি এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে। 

ঈদ খাদ্য উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে অন্যান্যদের মধ্যে বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী মো: আলম মিয়া, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী মো: কবিরুজ্জামান মোল্লা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী মো: আবুল জামানসহ সংগঠনটির সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।



  


সোনারগাঁও দর্পণ :

গত ৫ আগস্ট পরবর্তী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় আইসটি এ্যাক্টসহ সোনারগাঁওয়ের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া সকল প্রকার ষড়যন্ত্রমুলক মামলার দায়িত্ব নিয়েছেন, বাংলাদেশ জামায়াতের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য ও দলটি থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী শিক্ষাবিদ, লেখক ও গবেষক অধ্যক্ষ ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া। 

সোমবার (১৭ মার্চ) বিকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের সম্মানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও মডেল মসজিদ হল রুমে নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন। 

ড. ইকবাল বলেন, সোনারগাঁওয়ে এতো সাংবাদিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক মামলার আসামী তা আমার জানাছিলনা। জানতে না পারা এটা আমার ব্যর্থতা। এ জন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী, আমাকে মাফ করে দিবেন। আর আমি কথা দিচ্ছি আজকের পর থেকে সোনারগাঁওয়ের কোন সাংবাদিকের মামলার বিষয়ে চিন্তা করতে হবেনা। আদালতে একটি টাকাও গুণতে হবেনা। আমি সকল দায়িত্ব নিলাম।

বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণ নিয়ে জামায়াত উদ্বিগ্ন জানিয়ে ড. ইকবাল বলেন, গত ৮ মাসে দেশের মানুষ স্বাধীন হয়েও স্বাধীন হতে পারেনি। তারা যে বৈষম্যহীন মনোভাব ও উদ্দেশ্য নিয়ে বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলন করেছিল তা আমরা গভীর পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বর্তমান অন্তবর্তীকালীণ সরকারের ৮ মাস অতিবাহিত হতে চললেও ৬টি সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরও বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো এবং দলগুলোর দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সংস্কারকে কম প্রাধান্য দিয়ে অন্তবর্তীকালীণ সরকারকে নির্বাচন দ্রুত দেওয়ার জন্য চাঁপ দিচ্ছে। 

তিনি বলেন, একটি যৌক্তিক সময়ে সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া উচিত। না হলে যে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল তার সুফল এ জাতি কখনোই পাবেনা। 

ড. ইকবাল আরও বলেন, আমরা ভাগ্যবান যে স্বাধীনতার ৫৪ বছরের মধ্যে ড. ইউনুসের মতো একজন বিশ^ পরিচিত ব্যক্তিকে আমরা পেয়েছি। তিনি অল্প কয়েক মাসের মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিবকে বাংলাদেশে এনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতিটি ঘরে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাবার আকুতির যে থিম দেখিয়েছেন তা সত্যিই প্রসংশনীয়। 

ড. ইকবাল বলেন, দেশে চাঁদাবাজী এখনো চলছে শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে। ধরনটা পরিবর্তন হয়েছে। আগে যেখানে ২০ টাকা দিতে হতো এখন দিতে হচ্ছে ৪০ টাকা। 

রমজান মাসেও তারা আগে রূপেই আছে উল্লেখ করে তিনি বিভিন্ন অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের রোজা রাখা, না রাখা একই বিষয় জানিয়ে পবিত্র কোরআন মজিদ থেকে দুটি আয়াত উপস্থাপন করেন এবং প্রকৃত রোজা রেখে মনকে পবিত্র করার আহ্বান জানান।

পরে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে সাইয়েদ আবুল আলা মুওদুদীর লেখা তাফহীমুল কুরআন, ড. ইকবালের লেখা ‘ভোট একটি পবিত্র আমানত, ইসলাম কি বলে ?”,ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার রূপকল্প রূপরেখা প্রণয়ন এবং লাইরাতুল মিরাজ’সহ চারটি বই উপহার দেন।

সোনারগাঁও থানা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালালের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য প্রিন্সিপাল ড. মো ইকবাল হোসাইন ভূইয়া।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মো: হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ সেক্রেটারি মো: আবু সাঈদ মুন্না, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্মপরিষদ সদস্য দেওয়ান মো: খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সোনারগাঁও উত্তর শাখা আমির ইসহাক মিয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সোনারগাঁও দক্ষিণ শাখা মাহবুবুর রহমান, দেশ টিভির সিনিয়র সাব এডিটর রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।




সোনারগাঁও দর্পণ : 
 :

সোনারগাঁওয়ে দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় বাড়ির মালিক ডাকাতি প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে তাকে গাড়ি চাপায় হত্যার চেষ্টা করে ডাকাত দল। 

এ সময় গ্রামবাসীর ধাওয়ায় মটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। রবিবার (১৬ মার্চ) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট নয়াগাঁওয়ের ধনু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট নয়াগাঁও গ্রামের ধনু মিয়ার পুত্র বধু ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রূপালী জানান, রবিবার (১৬ মার্চ) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে তিনি নিজ বাড়ির সামনে নিজেরই দোকানে বসে আছেন। এ সময় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ড এলাকার পরিবহন ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী সোহান ও তার সহযোগি কায়েসের নেতৃত্বে দুটি সিএনজি এবং একটি মটরসাইকেল দিয়ে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত এসে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের গ্লাস ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে সোহান ও কায়েস দোকানের ভিতর প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও তার (রূপালী) গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। 

এ সময় তার আর্তচিৎকারে তারই বিবাহযোগ্য মেয়ে এগিয়ে আসলে ডাকাত সোহান তার মেয়েকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখায়। ভয়ে মেয়ে দৌড়ে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এতে তিনি মেয়ের নিরাপত্তায় আতঙ্কিত হয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। 

এ সময় রূপালীর কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনে শশুর ধনু মিয়া এগিয়ে আসলে ডাকাতরা ধনুর ওপর মটরসাইকেল তুলে দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। বর্তমানে ধনু মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। 

এ অবস্থায় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি (ঢাকা মেট্রো হ ৬০ - ০৪৪৯) স্থানীয়রা রেখে দিতে সক্ষম হোন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোয়ানের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মারামারি, বাড়ি দখলসহ বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে। 

খবরপেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া সোনারগাঁও থানা পুলিশের এসআই (উপ-পরিদর্শক) আব্দুল জলিলের সাথে যোগাযোগ করলে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)’র সাথে কথা না বলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবেননা বলে জানান। 

তবে, সোয়ান ও কায়েস নামে দু’জনকে চিনেছেন বলে ভিকটিমের বরাতে বলেন এবং ডাকাতদের ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি পুলিশ জব্দ তালিকা হিসেবে পুলিশের হেফাজতে নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।



সোনারগাঁও দর্পণ : 

“বাংলাদেশের শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ বিএনপির ওপর আস্থাশীল। আগামী নির্বাচনে তারা বিএনপিকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে” বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব। 

রবিবার (১৬ মার্চ) বিকালে কাঁচপুরের সোনাপুর চেয়ারম্যান বাড়ি তে সোনারগাঁও উপজেলার কাচঁপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষায় তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা কাজ করছে।  

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাচঁপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমি'র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোমারফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম হকসহ বিভিন্ন পর্যয়ের দলীয় নেতা-কর্মীরা।

এ সময় কাচঁপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নেতৃত্বে সহ¯্রাধিক নেতাকর্মীরা ইফতার মাহফিলে অংশ গ্রহণ করে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অস্ত্র ঠেঁকিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক কোটি ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জেলার সোনারগাঁও উপজেলার দড়িকান্দী ব্রীজ এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও তার গাড়ি চালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাইকারীরা ওই টাকা ছিনিয়ে নেয়।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানাগেছে, ‘দিবা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. নাজিম উদ্দিন এবং ওই প্রতিষ্ঠানে গাড়ি চালক মামুন শেখ রাজধানীর মতিঝিল সিটি ব্যাংক থেকে এক কোটি ১০ লাখ টাকা তুলে চাঁদপুর শাখায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। 

তাদের বহনকরা গাড়িটি সোনারগাঁওয়ের দড়িকান্দি ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে পিছন দিক থেকে একটি সিলভার রঙের এক্সিও ফিল্ডার গাড়ি তাদের বহনকরা গাড়িটির গতিরোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গাড়িটি তল্লাশির নামে তাদের আটক করে।

এ সময় ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে ম্যানেজার এবং চালককে জিম্মি করে তাদের চোখ বেঁধে ও হাতকড়াও পরিয়ে মাইক্রোবাসে বিভিন্নস্থানে ঘুরিয়ে নিয়ে যায়। পরে অপরিচিত স্থানে নিয়ে চোখ বাঁধাবস্থায় গাড়ি থামিয়ে প্রতিষ্ঠানের মাইক্রোবাসে রাখা দুটি ব্যাগে থাকা টাকা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভুক্তভোগী ম্যানেজার মো. নাজিম উদ্দিন জানান, তাদের কোম্পানির মালিক দেশের বাইরে থাকায় চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে চাঁদপুর নিয়ে যাচ্ছিলেন।

এ ঘটনার বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জানান, এ ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। 

সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে এবং আশপাশে সিসিটিভি না থাকায় তদন্তে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) আসিফ ইমাম বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন তবে, ছুটিতে থাকায় বিস্তারিত জানতে পারেননি।



সোনারগাঁও দর্পণ :

মাগুরার লিশু আছিয়ার মৃত্যুতে দেশবাসীর চোখের পানিও শুকায়নি। এরই মধ্যে সোনারগাঁওয়ে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় মনসুর আলী (৩৫) নামে এক নরপিচাশকে আটক করেছে এলাকাবাসী।  

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকালে কন এক সময় উপজেলার কাঁচপুর পুরান বাজার রংপুর গলি এলাকায় এসাহাকের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে একই দিন দিবাগত রাত ১১ টার দিকে শিশুটির বাবা-মা বিষয়টি জানতে পারে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্ষণের চেষ্টার শিকার ওই শিশুটির মা-বাবা দুজনেই গার্মেন্টে কাজ করেন। মেয়ের নিরাপত্তায় কাজে যাওয়ার সময় শিশুটিকে দেখে রাখার জন্য এক কাজের মহিলার কাছে রেখে যান। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও তারা বাড়ির কাজের বুয়ার কাছে রেখে কাজে চলে যান। কাজ শেষে বাড়িতে ফিরলে রাত এগারোটার দিকে ওই শিশু নিজেই তার বাবা মায়ের কাছে তার সাথে হওয়া ঘটনা জানায়।

বাড়িতে বাবা-মা না থাকার পাশাপাশি বুয়াও বাড়ি না থাকার সুযোগে ওই শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে লম্পট মনসুর। 

পরে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানালে এলাকাবাসী ধর্ষক মনসুর আলীকে আটক করে গণধোলাই  দিলে নিজেই তার অপরাধের কথা স্বীকার করলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

লম্পট মানসুর আলী রংপুর জেলার,কোতোয়ালি থানার কাটাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তাকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।



মাহবুবুল ইসলাম সুমন 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নৌ পুলিশকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা দিয়ে মেঘনা নদীতে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। নদীতে চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান থেকে প্রকাশ্যে ও মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে নেয়া হয় চাঁদা। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে সেই নৌযান শ্রমিকদের বেধরক মারধর করা হয়। অস্ত্র দেখিয়ে দেয়া হয় হত্যার হুমকি।

নদীতে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি রোধে নৌ-পুলিশের টহল থাকলেও চাঁদাবাজদের সঙ্গে তাদের সখ্যতা থাকায় কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা দেয়ার নামে পুলিশের বিরুদ্ধেও রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগ। 

বর্তমানে সোনারগাঁওয়ের মেঘনা নদীর ত্রাস হিসেবে পরিচিত ডাকাতি, মারামারিসহ একাধিক মামলার আসামী এই চাঁদাবাজের নাম রনি হাসান। মেঘনা নদীর আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা এলাকা থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া পর্যন্ত চলে রনি হাসানের চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজির টাকা নৌ ফাঁড়ি ইনচার্জ থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পর্যন্ত ভাগ পায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

চাঁদাবাজ রনি হাসান এবং পুলিশের চাঁদা নেয়ার বিষয়টি নৌ শ্রমিকদের অভিযোগের প্রায় ১৭ টি ভিডিও ফুটেজ এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সোনারগাঁও পৌরসভাধীন সাহাপুর গ্রামের নুরা মিস্ত্রির ছেলে রনি হাসান এক সময় পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেনের শ্রমিক হিসেবে দৈনিক ৩শ’ টাকার বিনিময়ে মেঘনা নদীতে বিভিন্ন নৌযানে চাঁদা আদায়ে কাজ করতো। পরবর্তীতে সে জাকির হোসেনকে পল্টি দিয়ে নিজেই সিন্ডিকেট করে নদীতে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি শুরু করে মেঘনা নদীর ভয়ঙ্কর ত্রাস হিসেবে পরিচিত হয়। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নরসিংদী ও ভৈরব থেকে সোনারগাঁ হয়ে ঢাকা, চাঁদপুর নৌ রুটে চাঁদাবাজির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে রনি।

মেঘনা নদীর এই নৌ রুটে শত শত বাল্কহেড, বার্জ, কার্গো, ইঞ্জিন চালিত বালুবাহী নৌকা, চুনা পাথর, ও কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করা হয়। সেসব নৌযানকে টার্গেট করে রনি হাসান ও তার সিন্ডেকেট চাঁদাবাজি করে থাকে। প্রতিদিন এসব নৌযান থেকে ২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে থাকে রনি। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের করা হয় বেধরক মারধর। এমনকি অস্ত্র দেখিয়ে দেয়া হয় হত্যার হুমকিও। তাই প্রাণভয়ে ও নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য রনিকে প্রতিদিন চাঁদা দিয়ে পণ্য পরিবহন করেন নৌযান শ্রমিকরা। তবে কিছু নৌযান থেকে নগদ ও অধিকাংশ নৌযান থেকে বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা নেয় রনি হাসান।

চাঁদাবাজি ও ডাকাতি রোধে মেঘনা নদীতে বৈদ্যেরবাজার নৌ ফাঁড়ি পুলিশ নদীতে টহলরত থাকলেও চাঁদাবাজদের সাথে সখ্যতা থাকায় এবং মোটা অঙ্কের মাসোহারা পাওয়ায় তারা প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে। 

তাছাড়া নিরাপত্তা দেয়ার আড়ালে পুলিশও করছে চাঁদাবাজি। তারা ২ শ’ টাকা করে প্রতিটি পণ্যবাহী নৌযান থেকে চাঁদা নেন। যদি কোনো নৌযান থেকে পুলিশের কাছে চাঁদাবাজ রনি হাসানের নাম বলা হয়, তাহলে পুলিশ ২শ টাকার পরিবর্তে ১শ’ টাকা নেয়। আবার অনেক নৌযান এমনিতেই ছেড়ে দেয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে রনি সন্ত্রাসী দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে টাকা পয়সা লুটে নেয়। সেখানে পুলিশকেও নিরাপত্তা দিতে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে নৌযান মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ করে দেবে বলে তাদের সঙ্গে চুক্তিবন্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিলেই কেউ তাদের সমস্যা সৃষ্টি করে না। পুলিশ থাকেন তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে। চুক্তির টাকা থেকে পুলিশও ভাগ পেয়ে থাকেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে। 

বৈদ্যেরবাজার এলাকার নৌ ফাঁড়ি থেকে শুরু করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পেয়ে থাকেন মাসোহারা। তাই চাঁদাবাজ রনিকে গ্রেফতারে কোন ব্যবস্থা নেয় না প্রশাসন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার সিন্ডিকেটের এক সদস্য জানিয়েছেন, রনি মেঘনা নদীর ভয়ঙ্কর ত্রাস। তার সিন্ডিকেটে মেঘনা উপজেলার আব্দুল বারেকের তিন ছেলে আলী হোসেন, আবুল হাসনাত ও মহসিন জড়িত। কিছুদিন বৈদ্যেরবাজার এলাকার কয়েকজন যুবক নদীতে তাদের সঙ্গে কাজ করলেও এখন আর করেন না বলে তার দাবি। তাদের মাধ্যমেই শ্রমিকদের মারধর করে থাকেন। 

মারধরের ভয়ে নৌ মালিক ও শ্রমিকরা তার সঙ্গে আঁতাত করে বিকাশে টাকা পৌছে দেন। নৌ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ফাঁড়ি পুলিশদের ম্যানেজ করেই এ চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে এবং রাতের বেলা ডাকাতি করে। 

এআগে, রনি ২০২২ সালে নগদ প্রায় ১৩ লাখ টাকা, ল্যাপটপ ও ১৩ টি মোবাইল সিমসহ গ্রেফতার হয়। তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় ডাকাতি, মারামারিসহ দেশের বিভিন্ন থায়ায় ১০ টি চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। 

সরেজমিনে মেঘনা নদীর নলচর এলাকায় গিয়ে নৌ যানকে থামাতে বললেই রনি ভাইয়ের বডি বলে দাবি করেন। রনির বডি বলার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি বডির জন্য তাকে ২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দিতে হয়। এই টাকা দিলেই নির্বিঘেœ হামলা ও মারধর ছাড়াই তারা চলাচল করতে পারেন।

এসময় বৈদ্যেরবাজার নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ২টি ট্রলারকে নদীতে টহল দিতে দেখা যায়।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত রনি হাসান মোবাইলে জানান, তিনি বর্তমানে বন্দর উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় থাকেন বলে জানান। চাঁদাবাজির বিষয়টি সত্য নয়। টাকাসহ গ্রেফতার হওয়ার কথা স্বীকার করলেও একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন। 

বৈদ্যেরবাজার নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, নৌযান শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্যই নদীতে টহল দেওয়া হচ্ছে। তবে পুলিশের চাঁদা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। শ্রমিকরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি দিয়েছে এ,ন প্রশ্নে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এছাড়াও বিকাশে চাঁদাবাজির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বিকাশের মাধ্যমে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই। পুলিশ চাঁদাবাজের পক্ষে অবস্থান নেয়ার বিষয়টি সত্য নয়। তাছাড়া নৌ ফাঁড়ি পুলিশের বিষয়ে চাঁদা আদায়ের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


 


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে সম্প্রতি এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান হাবু (৪২) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১১’র সদস্যরা। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে ঝিনাইদহ সদর থানার গোয়ালপাড়া নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 


গ্রেফতার হওয়া হাবিবুর রহমান হাবু সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের রাউৎগাঁও গ্রামের আতশ আলীর ছেলে। 


১১ মার্চ র‌্যাব-১১ এর স্কোয়াড্রন লিডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্যাতিতা একজন প্রতিবন্ধী হলেও কথা বলতে পারে এবং নিজে এলাকায় চলাফেরা করায় অভ্যস্ত। গত ২২ ফেব্রæয়ারী দুপুর ১টার দিকে পেচাইন গ্রাম থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় হাবিবুর রহমান হাবু ওই তরুণীকে কৌশলে তার বসত ঘরে নিয়ে যায় এবং জোর করে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে এই ঘটনা কাউকে জানালে ওই তরুণীকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে দেড়ে দেয়। 


এদিকে, প্রতিবন্ধী ওই তরুণী ঘটনাটি বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে জানালে তরুণীর মা বাদী হয়ে হাবিবুরকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করে।


র‌্যাব সে মামলার সূত্র ধরে সোমবার আসামীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার সকালে থানায় সোপর্দ করে। থানা পুলিশ পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠায়।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে জাহিদ ও মেহেদী নামে দুই ছিনতাইকারীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। শুক্রবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১০ টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে জাকির হোসেন জিকু এবং তার বড় ভাই দমদমা গ্রাম প্রধান সৈয়দ হোসেনের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, দমদমা গ্রামের জাকির হোসেন জিকুর বড় ছেলে ও সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ভিপি (ভাইস প্রেসিডেন্ট) দাবিদার জাহিদ এবং তার ছোট ছেলে মেহেদী হাসান মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দমদমা-কালাদরগা রোডের দমদমা ব্রীজ, দলদার, বড় সাদীপুর- মোগরাপাড়া বাজার রোডের বিশেষখানা, ষোলপাড়া আমতলা, লেবুছড়া, সাহচিল্লাহপুর, কাবিলগঞ্জ, সোনারগাঁও সরকারি কলেজ, মোগরাপাড়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দিন ও রাতের বিভিন্ন সময় জাহিদ ও মেহেদীর ছিনতাই বাহিনীর সদস্যদের সহয়তায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে দীর্ঘ দিন ধরে ছিনতাই করে সর্বস্ব লুট করে আসছিল। 

এমনকি এ সমস্ত এলাকায় ভাড়াটিয়া দিন-মজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষদের মোবাইল, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কারসহ সাথে থাকা সকল মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় জাহিদ-মেহেদী  গ্রুপ। প্রতিদিন বিভিন্ন স্পটে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় তারা। 

ছিনতাইয়ের কবলে পড়া ব্যক্তিরা বেশিরভাগ ভাড়াটিয়া হওয়ায় থানা পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ করার সাহস পায়না। দীর্ঘ দিন প্রতিনিয়ত এ ধরণের ঘটনায় এ সকল এলাকার ভাড়াটিয়ারা অন্যত্র চলে যাওয়ায় স্থানীয় বাড়ির মালিকরাও পড়েছেন বিপাকে। 

এমনকি এ সকল এলাকার ভাড়াটিয়ারা তাদের আত্মীয়-স্বজনকে তাদের বাড়িতে আসলে সাবধানে আসার পরামর্শও দিতেন বলে স্থানীয়রা জানায়। এক কথায় জাহিদ ও মেহেদী  গ্রুপের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে স্থানীয়রা।

এদিকে, থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে এ সকল বিষয় জানালেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় আরও ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে ভুক্তভোগী গ্রামের বাসিন্দারা।

এরই ধারাবহিকতায় শুক্রবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে ষোলপাড়া আমতলা এলাকার আরশাদ স্বর্ণকারের বাড়ির ভাড়াটিয়া বরিশাইল্লা শাহিনের এক আত্মীয় বেড়াতে আসে। শাহিনের বাড়িতে তার আত্মীয় যাওয়ার সময় তার কাছ থেকে আমতলা নামক স্থানে ৫ হাজার টাকা ও মোবাইল রেখে তাকে মারধর করে বিদায় দেয় জাহিদ, মেহেদী ও তার বাহিনীর ৫/৭ জন সদস্য। ভুক্তভোগী ওই আত্মীয় এ তথ্য শাহিনকে জানালে শাহিন,  জাহিদ ও মেহেদীর বাড়িতে গিয়ে তাদের বাবা জাকির হোসেন জিকুকে জানায়। জাকির হোসেন জিকু ছেলেদের শাসন না করে বিচার নিয়ে বাড়ি যাওয়ায় উল্টো শাহিনকে চরথাপ্পর মেরে বিদায় করে দেয়। শাহিন এ কথা তার ষোলপাড়া এলাকায় গিয়ে জানালে ষোলপাড়া মসজিদে তারাবিহ নামাজ শেষে মুসল্লীরা ক্ষোভে ফেটে পরেন এবং মসজিদের মাইকে এলাকায় ডাকাত পরেছে ঘোষণা দেয়। মাইকের ঘোষণা শুনে দমদমা, কালাদরগাহ (গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ), দলদার, বড় সাদীপুর, ষোলপাড়া আমতলা, বিশেষখানা, লেবুছড়া গ্রামের কমপক্ষে দেড় সহস্রাধিক গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাহিদ ও মেহেদিকে ধরতে তার বাড়িতে যায়। এ সময় তার বাড়ি থেকে তার এক আত্মীয় রাম দা নিয়ে এলাকাবাসীকে মারতে উদ্যত হলে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী জাকিরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় রাম দা নিয়ে তেড়ে আসা ওই আত্মীয় দৌড়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে নিরাপদে যায়। 

এদিকে, জাকিরের বাড়িতে হামলার পাশাপাশি জাকিরের বড় ভাই দমদমা গ্রাম প্রধান সৈয়দ হোসেন তার ভাতিজার দিনের পর দিন বিভিন্ন অপকর্মের কথা জেনেও বিচার না করায় এবং জাহিদ ও মেহেদীর ছিনতাইয়ের কাজে সৈয়দ হোসেনের দুই ছেলে মাহফুজ ও মাহিন সহযোগিতা করে এমন অভিযোগে সৈয়দ হোসেনের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর চালায়।

এ সময় উত্তেজিত জনতা জাকিরের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে দমদমা গ্রামের উপস্থিত মুরুব্বিরা বাড়ি-ঘরে নারি ও শিশু রয়েছে জানিয়ে আগুন দেওয়া থেকে ক্ষুব্দ ভুক্তভোগীদের বিরত রাখতে সক্ষম হোন। 

এরআগে মসজিদের মাইকে গ্রামে ডাকাত হামলার খবর শুনে ওই এলাকায় টহলরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি গাড়ি দমদমা গ্রামে প্রবেশ করে জাহিদ ও মেহেদীকে খুঁজেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। 

এদিকে, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সাহেব বাড়ি ও গোহাট্টা গ্রামের মসজিদের মাইকে ডাকাত পরেছে বলে ঘোষণা দিতে শোনা যায়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

আলহামদুলিল্লাহ্। বছর ঘুরে আবারও আমাদের মাঝে উপস্থিত পবিত্র মাস মাহে রমজান। 

বাংলা, ফরাসি, উর্দু ‘সাওম’ শব্দের অর্থ ‘রোজা’। সাওম এর অর্থ বিরত থাকা। সাওম এর বহুবচন হলো ‘সিয়াম’। 

আল্লাগ সোবহান তায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারাহ এর ১৮৩ ও ১৮৫ নম্বর আয়াতে বলেছেন, “সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে।’ হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো; যেমন দেওয়া বিধান দেওয়া হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। 

এছাড়া, একই সুরার ১৮৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ সোবহান তায়ালা বলেন, “ আর তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ রাত্রির কালোরেখা হতে উষার শ্রভ্র রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর নিশাগম পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো। 

মাহে রমজানকে আল্লাহ তিন ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম দশ দিন রহমত, পরের দশ দিন মাগফিরাত এবং শেষ দশ দিন নাজাত।

শেষ দশ দিন অর্থাৎ নাজাতের দশ দিনের মধ্যে আল্লাহ সোবহান তায়ালা একটি দিনকে হাজার বছরের চেয়ে উত্তম গুণ দান করেছেন। আর সেটি হলো ‘লাইলাতুল কদর’। 

পবিত্র হাদিসে এসেছে, লাইলাতুল কদরকে নাজাতের দশ দিনের মধ্যে বেজোড় রাতে খুঁজতে নির্দেশ দিয়েছেন। 

হাদিসে এসেছে, একদিন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পবিত্র জুম্মার দিন খোৎবা দিতে মিম্বারে উঠছিলেন। মিম্বারে প্রথম সিড়িতে পা দিয়ে বলেছেন আমিন। দ্বিতীয় সিড়িতে পা দিয়ে বলেছেন আমিন, একইভাবে তৃতীয় সিড়িতে পা দিয়ে বলেছেন আমিন। 

হুজুরপাকের এমন আচরণে উপস্থিত সাহাবিরা কিছুটা বিচলিত হলেন এবং নামাজ শেষে নবিজীর কাছে ভয়ে ভয়ে সম্মানের সাথে এর কারণ জানতে চাইলেন।

নবিজী বললেন, ‘আমি যখন প্রথম মিম্বারে পা রাখতে যাই তখন হযরত জিবরীল (আঃ) ওহি আনলেন। জানালেন, মা-বাবাকে জীবিত পেয়েও যে তাদের খেদমত করে মন জয় করতে পারলোনা সে ধ্বংস হয়ে যাক। আমি বললাম আমিন।

দ্বিতীয় মিম্বারে পা রাখার সময় জানালেন, মাহে রমজান পেয়েও যে নিজের গুণাহ মাফ করাতে পারলো না সে ধ্বংস হয়ে যাক। আমি বললাম আমিন।

তৃতীয় সিড়িতে পা দেওয়ার সময় জানালেন, আপনার নাম শুনে যে দরুদ পাঠ করলো না, সে ধ্বংস হোক’। আমি বললাম আমিন।

এতেই বুঝা যায় যে, পবিত্র মাহে রমজানকে আল্লাহ কতো গুরুত্ব দিয়ে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। 

রোজার বিষয়ে হাদিসে বলা হয়েছে, সাবালক, স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি, রোজা পালনে সক্ষম সুস্থ্য সকল নর-নারীর জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ বা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। তবে, নারীদের মাসিককালীণ, সন্তান প্রসবকারী মা, অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য রোজা পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

অপরদিকে, অক্ষম ব্যক্তি যাদের সুস্থ্য হয়ে রোজা পালনের সামর্থ থাকবেনা বা সুস্থ্য হয়ে রোজা রাখতে পারবেন না বলে মনে হয়, তাদের জন্য ফিদিয়া দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

বলা হয়েছে, প্রতিটি রোজার জন্য একটি করে সদকাতুল ফিতরের সমান দান করতে। আর এটি তাদেরই দেওয়া যাবে যারা যাকাত নেওয়ার যোগ্য। 

অর্থাৎ আল্লাহ সোবহান তায়ালা রমজানকে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ করে বান্দাদের মধ্যে দিয়েছেন তা সহজেই অনুমেয়। 

তাই আসুন, আমরা সকলে পবিত্র মাহে রমজানের ফজিলত পেতে আল্লাহর আদেশ পালনের জন্য এর যথাযথ পবিত্রতা রক্ষা করে সত্যিকারের আত্মসুদ্ধির জন্য রোজা পালন করি।

সকলকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। খোশ আমদেদ মাহে রমজান।


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget