সোনারগাঁও দর্পণ :
ছিনতাইয়ের পর চল্লিশোর্ধ এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে সজিব (৩০) নামে এক পরিবহন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পৌরসভার দৌলেরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাই পরবর্তী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সবুজ মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত সবুজের ছেলে।
থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়াতে। তিনি পেশায় একজন কুকার হেলপার (বাবুর্চির সহকারী)। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় মদনপুরে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বোনকে দেখতে তার দেবর কামালের সাথে যান।
রাত বেশি হওয়ায় সেখান থেকে সিএনজি করে তার দেবরের খালাতো ভাই ইমনের বাড়ি পৌরসভার কৃষ্ণপুরা এলাকায় যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে দৌলেরবাগ নামক স্থানে সজিবের নেতৃত্বে হাসান, আকাশ, অয়ন, ফরিদ ওরফে বোমা ফরিদ. সাকিব,সোহান ওরফে জঙ্গি সোহান ও সবিজ ওরফে বেøড সজিব তাদেরকে বহণকরা সিএনজির গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র ঠেঁকিয়ে পাশ^বর্তী লাল মিয়ার পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে তার দেবর ও তাকে মারধর করে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও ওই নারীর কানে তাকা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয়। পরে অন্য একটি কক্ষে তার দেবরকে আটকে রেখে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এদিকে, উপজেলা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুয়েত ফেরত এক ব্যক্তি নোয়াখালীতে তার বাড়ি যাওয়ার সময় তার কাছ থেকে পাসপোর্ট, ব্যাংক কার্ড ও কমপক্ষে প্রায় লাখ খানেক টাকা লুটের অভিযোগে পুলিশ সজিবকে গ্রেফতার করে থানায় নেয়।
থানার সেলে গ্রেফতারকৃত সজিবকে দেখালে ওই মহিলা তাকে ধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় চিনতে পারে। পরে ওই নারী বাদী হয়ে সজিবকে প্রধান আসামী করে মোট ৮ জনের নামে মামলা করে।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী জানান, ছিনতাই ও গণধর্ষণের ঘটনায় বুধবার রাতে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়ার সজিবকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Post a Comment