সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁওয়ে ওমর ফারুক (৩৭) নামে এক শ্রমিককে অপহরণ পরবর্তী মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে কাঁচপুর বালুমাঠ এলাকায় অপহরণের ঘটনা ঘটালেও অপহরণকারীরা অপহৃত শ্রমিকের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে তাকে ছেড়ে দেয়।
পরে ভুক্তভোগীর ভাই ফরহাদ আলী বাদী হয়ে করা এজাহার থেকে জানাগেছে, ভুক্তভোগী ওমর ফারুক একটি প্রিন্টিং কারখানায় কাজ করেন। কাঁচপুর বালুরমাঠ এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি তার ভাই ওমর ফারুককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত ১০টার দিকে ফোনে তাদের জানায় ওমর ফারুককে অপহরণ করা হয়েছে। তার মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে।
পরে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে সোনারগাঁও থানায় এ ঘটনায় অভিযোগ দেওয়ার পর সকালে তার ভাই বাড়ি ফিরে যায়।
ফরহাদ আলী বলেন, ওমর ফারুক কিছু পণ্য কিনতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় দোকানে যায়। পথে অপরিচিত এক ব্যক্তি ইচ্ছে করে ওমর ফারুকের শরীরে ধাক্কা দিয়ে ওই ব্যক্তির হাতে থাকা মোবাইল সেটটি মাটিতে ফেলে দেয়।
পরে ওমর ফারুক তার মোবাইল ভেঙেছে এমন অভিযোগ করলে ওমর ফারুক প্রতিবাদ জানায়। এ সময় আরও অপরিচিত ৫/৬ জন লোক এসে তাকে অজ্ঞান করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ফারুকের জ্ঞান ফিরলে তিনি একটি কক্ষে মুখোশ পড়া কয়েকজন ব্যক্তি ও একজন নারীকে দেখতে পান। এ সময় অপহরণকারীরা তাকে এলোপাথারী মারধর করে এবং এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে তার পরিবারের লোকজন বিকাশের মাধ্যমে দুই দফায় ৫১ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিলে বৃহস্পতিবার সকালে চোখ-মুখ বেঁধে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কাঁচপুর সড়কে ফেলে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় ওমর ফারুক বাড়ি ফিরে যায়।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ বারী জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের কাজ চলমান।
Post a Comment