Halloween Costume ideas 2015
February 2025


সোনারগাঁও দর্পণ : 

বিদেশ থেকে দেশের মাটিতে নামলেও হাসি-খুশিতে বাড়ি যেতে পারেননি কুয়েত ফেরত সিরাজুল ইসলাম। গিয়েছেন স্ত্রী-সন্তানদের সাথে অশ্রু ভেজা চোখে। বুধবার রাতে (মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটা) সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডের  পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেনীখালী ব্রিজ এলাকায় পরিবহণ ডাকাতরা তার পাসপোর্ট, ব্যাংক কার্ড ও নগদ আশি হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে সর্বশান্ত করে দেয়। 

ছিনতাইয়ের শিকার কুয়েত ফেরত সিরাজুল ইসলাম জানান, তার বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল। তিনি ২১ বছর ধরে কুয়েত বসবাস করেন। মঙ্গলবার ছুটিতে দেশে আসেন। তার স্ত্রী-দুই সন্তান তাকে প্রাইভেটকার দিয়ে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। 

রাত আনুমানিক তিনটার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার মেনীখালী ব্রীজের কাছে তাদের বহণকারী প্রাইভেটকারটি যানজটে পরে। সে সময় কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৭/৮ জন ডাকাত তাদের গাড়িটির গ্লাস ভেঙে সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাথে থাকা ভিসাযুক্ত পাসপোর্ট, ব্যাংক কার্ড, আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ, মোবাইল সেট, অন্যের আনা মালামাল এবং প্রায় লাখ টাকার মতো লুট করে নিয়ে যায়।

এমনকি ছিনতাইয়ে মারধরের সময় তিনি নিজে, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানও আহত হোন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার জন্য তারা সোনারগাঁও থানায় আশ্রয় নেন।

এ সময় সিরাজুল ইসলাম জানান, পাসপোর্ট উদ্ধার করতে না পারলে বিদেশ যাওয়ার মতো তার আর কোন উপায় নেই। ২১ বছর প্রবাসে কাটালেও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তাকে না খেয়ে মরতে হবে। তাই অন্ততপক্ষে তার ভিসাযুক্ত পাসপোর্ট আর প্রয়োজনীয় কাগজগুলো উদ্ধারে থানা পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন সিরাজুল ইসলাম। 

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী জানান, প্রবাসীর গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বুধবার রাতেই একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লুট হওয়া টাকা-পয়সা, মালামাল ও কাগজপত্র উদ্ধারের পাশপাশি বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। 


 


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে ওমর ফারুক (৩৭) নামে এক শ্রমিককে অপহরণ  পরবর্তী মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে কাঁচপুর বালুমাঠ এলাকায় অপহরণের ঘটনা ঘটালেও অপহরণকারীরা অপহৃত শ্রমিকের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে তাকে ছেড়ে দেয়। 

পরে ভুক্তভোগীর ভাই ফরহাদ আলী বাদী হয়ে করা এজাহার থেকে জানাগেছে, ভুক্তভোগী ওমর ফারুক একটি প্রিন্টিং কারখানায় কাজ করেন। কাঁচপুর বালুরমাঠ এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করেন। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি তার ভাই ওমর ফারুককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত ১০টার দিকে ফোনে তাদের জানায় ওমর ফারুককে অপহরণ করা হয়েছে। তার মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে।  

পরে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে সোনারগাঁও থানায় এ ঘটনায় অভিযোগ দেওয়ার পর সকালে তার ভাই বাড়ি ফিরে যায়। 

ফরহাদ আলী বলেন, ওমর ফারুক কিছু পণ্য কিনতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় দোকানে যায়। পথে অপরিচিত এক ব্যক্তি ইচ্ছে করে ওমর ফারুকের শরীরে ধাক্কা দিয়ে ওই ব্যক্তির হাতে থাকা মোবাইল সেটটি মাটিতে ফেলে দেয়। 

পরে ওমর ফারুক তার মোবাইল ভেঙেছে এমন অভিযোগ করলে ওমর ফারুক প্রতিবাদ জানায়। এ সময় আরও অপরিচিত ৫/৬ জন লোক এসে তাকে অজ্ঞান করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ফারুকের জ্ঞান ফিরলে তিনি একটি কক্ষে মুখোশ পড়া কয়েকজন ব্যক্তি ও একজন নারীকে দেখতে পান। এ সময় অপহরণকারীরা তাকে এলোপাথারী মারধর করে এবং এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। 

পরে তার পরিবারের লোকজন বিকাশের মাধ্যমে দুই দফায় ৫১ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিলে বৃহস্পতিবার সকালে চোখ-মুখ বেঁধে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কাঁচপুর সড়কে ফেলে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় ওমর ফারুক বাড়ি ফিরে যায়।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ বারী জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের কাজ চলমান।



সোনারগাঁও দর্পণ :

ছিনতাইয়ের পর চল্লিশোর্ধ এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে সজিব (৩০) নামে এক পরিবহন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পৌরসভার দৌলেরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাই পরবর্তী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সবুজ মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত সবুজের ছেলে। 

থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়াতে। তিনি পেশায় একজন কুকার হেলপার (বাবুর্চির সহকারী)। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় মদনপুরে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বোনকে দেখতে তার দেবর কামালের সাথে যান।

রাত বেশি হওয়ায় সেখান থেকে সিএনজি করে তার দেবরের খালাতো ভাই ইমনের বাড়ি পৌরসভার কৃষ্ণপুরা এলাকায় যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে দৌলেরবাগ নামক স্থানে সজিবের নেতৃত্বে হাসান, আকাশ, অয়ন, ফরিদ ওরফে বোমা ফরিদ. সাকিব,সোহান ওরফে জঙ্গি সোহান ও সবিজ ওরফে বেøড সজিব তাদেরকে বহণকরা সিএনজির গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র ঠেঁকিয়ে পাশ^বর্তী লাল মিয়ার পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। 

সেখানে তার দেবর ও তাকে মারধর করে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও ওই নারীর কানে তাকা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয়। পরে অন্য একটি কক্ষে তার দেবরকে আটকে রেখে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। 

এদিকে, উপজেলা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুয়েত ফেরত এক ব্যক্তি নোয়াখালীতে তার বাড়ি যাওয়ার সময় তার কাছ থেকে পাসপোর্ট, ব্যাংক কার্ড ও কমপক্ষে প্রায় লাখ খানেক টাকা লুটের অভিযোগে পুলিশ সজিবকে গ্রেফতার করে থানায় নেয়। 

থানার সেলে গ্রেফতারকৃত সজিবকে দেখালে ওই মহিলা তাকে ধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় চিনতে পারে। পরে ওই নারী বাদী হয়ে সজিবকে প্রধান আসামী করে মোট ৮ জনের নামে মামলা করে। 

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী জানান, ছিনতাই ও গণধর্ষণের ঘটনায় বুধবার রাতে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

গ্রেফতার হওয়ার সজিবকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

 


সোনারগাঁও দর্পণ :

বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান প্রয়াত অভিনেত্রী পারভিন সুলতানা দিতি ও অভিনেতা সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া চৌধুরীর পাশে যেকোন কাজে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি। 

শিল্পী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি, পরিচালক, অভিনেতা ডিএ তায়েব মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ ঘোষণা দেন।

দেশের দু’জন স্বনামধন্য খ্যাতিমান অভিনয় শিল্পীর মেয়ের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ডিএ তায়েব বলেন, লামিয়াকে নির্যাতন করে সন্ত্রাসীরা আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।

লামিয়া যদি কোন অপরাধ করে তার জন্য দেশে আইন আছে। সে আইনে তার বিচার হবে। কিন্তু একজন মেয়ের শারীরিক নির্যাতন করেছে, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। 

শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে যা যা করণীয় সে সম্পর্ক সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে করা হবে বলেও জানান ডিএ তায়েব। 

উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারী লামিয়া তার মা (প্রয়াত চিত্রনায়িকা পারভিন সুলতানা দিতি)’র গ্রামের বাড়ি সোনারগাঁওতে তাদের পারিবারিক জমি দখল করার উদ্দেশ্যে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তার উপর পরিকল্পিতভাবে লাঠি, দেশীয় অস্ত্র এবং ইট-পাথর নিয়ে তার উপর নির্মম হামলা করে। যাতে তিনি গুরুতর আহত হোন। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক দ্বন্দ্বকে রাজনৈতিকভাবে না জড়ানোর আহ্বান করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান প্রয়াত অভিনেত্রী পারভিন সুলতানা দিতি ও সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া চৌধুরী। গত মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ফেসবুকে ভিডিও লাইভে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে অতি সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে লামিয়ার ওপর হামলা ও জোড় করে তাদের জমি দখলের প্রসঙ্গে লামিয়া বলেন, তার মামির পরিবারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে যে ঝামেলা চলছে এটা তার ব্যক্তিগত ও একান্তই পারিবারিক বিষয়। 

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়টিকে একটি স্বার্থান্বেসী কুচক্রি মহল তাদের স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য রাজনৈতিকভাবে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। 

তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, তার পরিবার রাজনৈতিকভাবে কখনো কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তবে, যেহেতু তার প্রয়াত বাবা-মা দু’জনই তাদের নিজেদের অভিনয় শৈলীর মাধ্যমে দেশের মানুষের মনিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছিলেন সেহেতু বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষদের সাথে তার পরিবারের সদস্যদের সখ্যতা ও আন্তরিকতা ছিল। 

কিন্তু কিছু ব্যক্তি ২২ ফেব্রুয়ারী সোনারগাঁওয়ে তার নানি বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং তাকে রাজনীতির সাথে জড়ানোর অপচেষ্টা করছে। 

তিনি স্পষ্ট করে বলছেন, তার বাবা, প্রয়াত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী, এবং মা, প্রয়াত চিত্রনায়িকা পারভিন সুলতানা দিতি, কেউই কখনো রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। তাঁরা ছিলেন সংস্কৃতির মানুষ, তিনিও তাঁদের আদর্শেই চলেছেন এবং চলবেন।

এই হামলাটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে জমি দখল ও তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে। তিনি (লামিয়া) ওই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছেন এবং দাড়িয়ে থাকবেন। 

তিনি শেখ পরিবারের একজন বিশেষ ব্যক্তির সাথে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগন্ড ছড়িয়ে একটি স্বার্থান্বেসী মহল তাদের স্বার্থ চড়িতার্থ করার অপচেষ্টা করছে। 

ওই ভিডিওতে তিনি বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাসহ বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার সন্তান ও তাদের পারিবারিকভাবে বিভিন্ন ছবি আছে জানান এবং সে সকল ছবি বিষয়ে কেন কোন কথা বলছেন না বলেও প্রশ্ন রাখেন।  

তাই লামিয়ার বিরুদ্ধে এ সকল প্রোপাগন্ডা ছড়ানোসহ বিষয়টির সাথে জড়ানো সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিনীত অনুরোধ করেন। 

উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারী লামিয়া তার মা (প্রয়াত চিত্রনায়িকা পারভিন সুলতানা দিতি)’র গ্রামের বাড়ি সোনারগাঁওতে তাদের পারিবারিক জমি দখল করার উদ্দেশ্যে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তার উপর পরিকল্পিতভাবে লাঠি, দেশীয় অস্ত্র এবং ইট-পাথর নিয়ে তার উপর নির্মম হামলা করে। যাতে তিনি গুরুতর আহত হোন। 



সোনারগাঁও দর্পণ

সোনারগাঁওয়ে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে শিমুল নামের সতেরো বছরের এক কিশোর। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত আনুমানিক রাত দশটার দিকে উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। 

স্থানীয়রা ধর্ষক শিমুলকে আটক করেছে। সে শিশুটিকে টয়লেটের ভিতর নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করেছে। 

প্রতিবেশিরা জানায়, শিমুল পাবনা জেলার ঈশ্বরদী এলাকার মো: শরীফের ছেলে

শিমুল ও শিশুটি কাঁচপুরের শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বাবা মায়ের সাথে থাকতো। এদিকে শিমুলও শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে থাকা রিকশার গ্যারেজে কাজ করতো। গ্যারেজে আসা যাওয়ার পথে সু-কৌশলে শিশুটির সাথে ভাব জমায়। পরে কৌশলে গত সোমবার রাতে সুযোগ বুঝে ধর্ষণ করে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শিমুলকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।


সোনারগাঁও দর্পণ : 

এসির কম্প্রেসার বিষ্ফোরণে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার কাঁচপুর মেগা কমপ্লেক্সের ইস্টার্ন ব্যাংক শাখায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলো-চাঁদপুর সদর উপজেলার সেলিম বেপারীর ছেলে তুহিন (২৫) ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার রাফি (২২)। 

শিমরাইল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরে কাঁচপুর ইস্টার্স ব্যাংকের এসির কাজ করার সময় কম্প্রেসার বিষ্ফোরণ হয়। এতে তুহিন ও রাফি দগ্ধ হয়। 

মুমুর্ষ অবস্থায় তাদের দ্রুত নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতরা এসআর পাওয়ার টেকনোলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতো।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী বলেন, কিষ্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। 

 



সোনারগাঁও দর্পণ :

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবন্তি অভিনেত্রী প্রয়াত পারভিন সুলতানা দিতি (নায়িকা) ও প্রয়াত অভিনেতা (নায়ক) সোহেল চৌধুরী’র মেয়ে লামিয়া চৌধুরীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পৌরসভা এলাকার দত্তপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি (নানা বাড়ি)’তে জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় তিনি এ হামলার শিকার হোন। 

হামলা ঘটনার পর লামিয়া তার ফেসবুক আইডিতে তার ওপর হামলার খবর জানান এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। তবে, কাদের সাথে বা কারা তার ওপর হামলা চালিয়েছেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানাননি। 

হামলার ঘটনার সময় লামিয়ার করা লাইভ ভিডিওতে দেখাগেছে, বেশ কিছু ব্যক্তি চেয়ারে বসে আছেন এবং বেশ কয়েকজন দাড়িয়ে (অনেকটা গ্রামাঞ্চলে হওয়া বিচার-শালিসের মতো)। চেয়ারে বসে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব বাবুল হোসেন, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শামীম আহমেদ, উপজেলা বিএনপি নেতা নিজাম, পৌর যুবদল নেতা মফিজুল রহমান সোহেল উপস্থিত ছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপি নেতা নিজাম ও সোহেল লামিয়ার ওপর হামলার সময় হামলাকারীদের বাধা বা থামানোর চেষ্টা করছিল। 

এ সময় দিতি কন্যা লামিয়া দৌড়ে তার গাড়িতে ওঠে যায় এবং গাড়ির ভেতর থেকে তার ওপর হামলা এবং ইট দিয়ে গাড়ির গøাস ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে লাইভে জানান।

পরে নিজ ফেসবুকে ভিন্ন চারটি স্ট্যাটাস দেন লামিয়া। যেখানে লামিয়া লিখেন “হাউ আই ওয়াজ ভায়োলেন্ট্রি এটাক্ট (কিভাবে আজ আমাকে হিংস্রভাবে আক্রমণ করা হয়েছে)।” 

অপর একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “রিকোয়েস্টিং জার্নালিস্টস টু প্লিজ কাম টু মাই প্লেস আইএম অল এলোন (সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি আমার জায়গায় আসুন আমি একদম একা)”। 

তৃতীয় বার লিখেছেন, “আমার সাথে কি কেউ নাই ? আমার বাবা-মা মারাগেছে বলে আমার পাশে কি কেউ নাই, কেউ নাই, কেউ নাই ? 

অপর একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমার পা ভেঙে ফেলেছে ওরা, হাসপাতালে যাব যেতে দেয়না, আমার গাড়িতে ইট ফেলে গাড়ি ভেঙে ফেলেছে, আই ক্যান্ট ওয়াক”।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, টিপু তার সম্পত্তি পাবে ঠিক কিন্তু টিপুর স্ত্রী স্থানীয় বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে বেশি সম্পত্তি এবং নিজের পছন্দমতো স্থান নিতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে মুলত এ ঝামেলা শেষ হচ্ছেনা। 

এছাড়া, স্থানীয় প্রভাবশালীরা দিতির প্রয়াত ভাই টিপুর স্ত্রীকে দিয়ে জমি উদ্ধার করে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে বড় অংঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে বলে দাবি করে। বিএনপি নেতারা জোর করে জমিতে সীমানা পিলার বসাতে যাওয়ার সময় দিতির মেয়ে সেটা ভিডিও করার কারণেই ঝামেলা সৃষ্টি হয়।

এদিকে, প্রয়াত চিত্র নায়িকা দিতির ভাই টিপু সুলতানের স্ত্রী শারমিন প্রিতি বলেন, নয় বছর ধরে দিতির পরিবারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সামাজিকভাবে বেশ কয়েকবার মিমাংসার জন্য বসেছিল। যা অমিসাংসিত ভাবে শেষ হয়। আজও পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ছিল। সমাজের শালিসে ব্যক্তিরা কথা বলার সময় তাকে (প্রিতি) মেরে আহত করা হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি’র যে সকল নেতারা উপস্থিত ছিলেন তারা সামাজিকভাবে শালিসের জন্য যান। কোন জমি দখল করতে যাননি। 

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

জেলা কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বাবুল হেসেন বলেন, দিতির প্রয়াত ভাই টিপুর স্ত্রী কয়েক দিন আগে তার স্বামীর পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাকে ও তার সন্তানদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সামাজিকভাবে এর সমাধানের জন্য মোশারফ ভাইয়ের কাছে যান। আজকে বসার তারিখ ছিল এবং দিতির মেয়েও ছিল। 

কথা বলে টিপুর পাওনা জমি দেওয়ার কথা বললে তারা এখন না দিয়ে পরে সময় হলে দিবে বলে জানায়। এনিয়ে দিতির মেয়ে ও অপর ভাই আনোয়ারের স্ত্রীর সাথে টিপুর স্ত্রী’র ঝগড়া হয়। পরে আমরা ঝগড়া থামিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। 

সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, দিতির মেয়ে ও তার এক ভাইয়ের পরিবারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ মিমাংসায় স্থানীয়রা শালিসে বসেছিল। শালিসের মাঝে দিতির মেয়ে লামিয়ার ভিডিও করা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। 

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর পরই লামিয়া ঘটনাস্থল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যান। লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 




সোনারগাঁও দর্পণ :

নিখোঁজের এক দিন পর বাড়ি পাশে থাকা লিচু বাগান থেকে ইব্রাহিম নামে নয় বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকালে সোনারগাঁও পৌরসভার জয়রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ইব্রাহিম জয়রামপুর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) ইব্রাহিম নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতেই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। 

শনিবার সকালে ইব্রাহিমদের বাড়ির পাশের লিচু বাগানে তার লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী জানান, ইব্রাহিমকে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব না। 

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

পৃথকভাবে মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি। সকাল পৌনে নয়টার দিকে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা সংগ্রামের বীর শহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে একে এক বিএনপি ও এর বিভিন্ন অংঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সকালে পৌনে নয়টার দিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমের অনুসারি বিএনপির অঙ্গসংগঠন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নুর এ ইয়াসিন নোবেল তার অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। 

এরপরই নিজের অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি নিহত ভাষা শহীদদের ফুলের শ্রদ্ধা জানান জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশিদ মিঠু। 

সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমের অনুসারী জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহআলম মুকুল, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি অধ্যাপক আহমেদ ইমতিয়াজ বকুলসহ অধ্যাপক রেজাউল করিমের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া উপজেলা যুবদলের আহ্ববায়ক নুর এ ইয়াসিন নোবেল ও জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশিদ মিঠু তার অনুসারীদের নিয়ে শাহআলম মুকুলদের সাথে যুক্ত হোন।

এদিকে, সকাল নয়টার দিকে নিজের অনুসারী নেতাকর্মী নিয়ে শহীদ ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানান উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বিডিআর। 

এরপর সকাল সোয়া নয়টার দিকে নিজের অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে ভাষা শহীদদের ফুলের শ্রদ্ধা জানান উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। 

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আরো বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ভাগে ভাগ হয়ে শ্রদ্ধা জানান সকাল নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে।

সকাল সাড়ে নয়টার পর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান তার অনুসারীদের নিয়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান। সেখান থেকে নিজ অনুসারি নেতাকর্মীসহ উপজেলা বিএনপির ব্যানারে যুক্ত হোন উপজেলা বিএনপির সাধারণ মোশারফ হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আতাউর রহমানসহ অনেকে।  

এ সময় রেজাউল করিম ও মান্নান উভয়ের অনুসারী নেতাকর্মীরা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এবং সাবেক চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

যথাযথ মর্যাদায় মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে “সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব।” দিবসটি উপলক্ষে সকালে প্রভাতফেরির মাধ্যমে সংগঠনটির সদস্যরা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 

প্রভাতফেরির নেতৃত্বদেন সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক। 

পরে যুগ্ম সম্পাদক রবিউল হুসাইনের সঞ্চালনায় ২১ শে ফেব্রুয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর বিস্তর আলোচনা করা হয়।

অংশ নেন সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএম সালাহউদ্দিন, সহ সভাপতি মোক্তার হোসেন মোল্লা, সহ সভাপতি ফজলে রাব্বি সোহেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খাইরুল আলম, সাবেক অর্থ সম্পাদক ও সদস্য মোকাররম মামুন, হারুন অর রশিদ, গিয়াস কামাল, মনির হোসেন, মাহবুব আলম, আনিছুর রহমান সজীব, কামরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, আসিফ রেজা, সালাহউদ্দিন, সেলিম রেজা, সোনারগাঁও উদীচি শিল্পগোষ্ঠীর আহবায়ক শংকর প্রকাশ প্রমূখ।

এর আগে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী আত্মত্যাগকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।  

এরও আগে, প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে ভোর থেকে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।


সোনারগাঁও দর্পণ :

হান্নান নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সাজেদুর রহমান নামে এক এনজিও কর্মীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ আদেশ দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। 

একই সাথে আরও ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেন অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত হান্নান সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার শামসুদ্দীনের ছেলে। 

আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের শামসুদ্দীনের বাড়িতে এনজিও কর্মী ব্যুরো বাংলাদেশের মাঠ কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান কিস্তির টাকা সংগ্রহে যান। এ সময় শামসুদ্দীনের ছেলে হান্নানের সাথে সাজেদুরের কথা কাটাকাটি হয়। 

এক পর্যায় সাজেদুরকে ধরে ঘরে নিয়ে গিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই সময় তৎকালীণ বারদী জোনের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বিচার কাজ শেষে আদালত হান্নানের যাবজ্জীবন দেন। একই সাথে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপর আরও দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন আদালত। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের আব্দুর রহিম নামে এক আইনজীবির বাড়িতে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে একদল মুখোশধারী ডাকাত ওই আইনজীবির ডুপ্লেক্স বাড়ির রান্না ঘরের গ্রিল কেটে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তার স্ত্রী ও ছেলেকে হাত-পা ও মুখ বেধে ঘরে থাকা নগদ ১২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

আইনজীবির পরিবারের বরাত দিয়ে সূত্র আরও জানায়, তাদের কক্ষে ৫জন ডাকাত সদস্য প্রবেশ করে। যারা বরিশাল ও আড়াইহাজার এলাকার ভাষায় কথা বলে। কক্ষে প্রবেশ করা ডাকাতদের হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র এবং লম্বাকৃতির ডাকাতের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সূত্র জানায়, স্থানীয় এলাকার মসজিদের রড কেনার জন্য ব্যাংক থেকে টাকাগুলো উত্তোলন করা হয়েছিল। 

ডাকাতির ঘটনার পর বুধবার সকালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ বারী জানান, ডাকাতির ঘটনায় অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। ডাকাতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

দরপত্র জমা দেওয়া-না দিতে দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি’র দুই গ্রুপ মারমুখি মুখোমুখি অবস্থানের পর চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশে উচ্চবাচ্য বিনিময়ে শেষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা পরিষদের কর্মরত ও উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যদর্শীরা জানায়, উপজেলার ঐতিহাসিক হাট আনন্দ বাজার, কাইকারটেক, নয়াপুর গঙ্গাপুর বাজার, মোগরাপাড়া, পঞ্চমীঘাট, ধন্দীবাজার, বিষনান্দী, বারদী, মহজমপুর, হরিহরদি, অলিপুরা ও কাঁচপুরসহ ১২টি হাট-বাজারের ইজারা গ্রহণের দরপত্র জমার দিন ছিল মঙ্গলবার। সে লক্ষে বেলা ১১টা থেকে স্থানীয় ইজারা প্রত্যাশীরা দরপত্র জমা দিতে নির্দিষ্ট সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। 

এ সময় উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলামের সমর্থকরা দরপত্র জমা বাক্সে দরপত্র জমা দিতে গেলে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের সমর্থকরা বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উচ্চবাচ্য বিনিময়ের ফলে ব্যাপক হট্টগোলের অবতারণা হয়। এতে উপজেলা পরিষদ চত্ত¦রে উপস্থিত সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। 

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের নির্দেশে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে দরপত্র বাক্স পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। 

নিরাপত্তার দায়িত্বে ঘটনাস্থলে থাকা সোনারগাঁও থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রশিদ জানান, দরপত্র নিয়ে ইজারা প্রত্যাশীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির রেশ ধরে কিছুটা হট্টগোল হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দরপত্র জমা বাক্স নিরাপদে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, ইজারা প্রত্যাশীদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি পুলিশ নিয়ে নিজে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। পরে পূণরায় দরপত্র জমা কাজ শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

ভবিষ্যতে যারা রাজনীতিতে আসতে চান তাদের এবং নিজেদের ( সারজিসরা যে দল গঠন করতে যাচ্ছে) রাজনৈতিক দলে আসতে চাওয়া নেতা-কর্মীদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বি হয়ে রাজনীতিতে আসার পরামর্শ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, রাজনীতিতে এসে যদি আপনার চিন্তা হয় সংসার কিভাবে চালাবেন তাহলে আপনি কখনোই দেশের সেবায় কাজ করতে পারবেন না। বিগত ফ্যাসিস্টদের মতো নিজের আঁখের ঘোচাতে ব্যস্ত থাকবেন। 

আর যদি সৎ উপায়ে আপনার পরিবারের ভরণ-পোষণ করার মতো কোন চাকুরী, ব্যবসা বা অন্য কোন পেশা থাকে তাহলে আপনি রাজনীতিতে আসেন। দেশের জন্য কিছু করতে পারবেন।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সোনারগাঁও শাখা আয়োজিত “আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ” শীর্ষক ক্যাম্পেইন তিনি এ পরামর্শ দেন।

আগামী নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচনকে যদি কেউ প্রভাবিত করার বিন্দু মাত্র চেষ্টা করে তাহলে সেখানেই আরেকটি গণ অভ্যুত্থান হবে। 

তিনি বলেন, জনগণকে সামনে রেখে অন্তবর্তী সরকার যদি মনে করে আগামী ২৬ সালের জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারীতেই নির্বাচনের উপযুক্ত সময় আমরা কিছুই বলবনা কিন্তু একটা কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই এ নির্বাচনকে নিয়ে যদি বিন্দু মাত্র কোন দল, কোন গোষ্ঠি, কোন শক্তি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা বা চিন্তু করে তাহলে যে সেন্টারে বা যে এলাকাতেই প্রতিবন্ধকতা হবে সেই সেন্টার বা সেই এলাকাই হবে জুলাই আগস্টের মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান। 

বিগত আওয়ামী লীগ প্রধান ও তার দোসরদের উদাহরণ টেনে সারজিস বলেন, শেখ হাসিনা যে ফ্যাসিবাদী শাসন করেছে সে শাসনে তিনি শুধু তার নৌকাকেই ডুবাননি, তার সাথে সকল নেতাকর্মীদের মুখে চুনকালি এমনভাবে মেখে দিয়েছেন যে তাদের আর ফিরে দাড়ানোর কোন উপায় নেই। 

সারজিস বলেন, এখন দেশের মানুষের এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যানারে থেকে যারা রাজনীতি করছেন তাদের চিন্তা করার সময় এসেছে যে, আপনারা কোন দলের হয়ে রাজনীতি করবেন আর কাকে ভোট দিবেন। ফ্যাসিবাদি করে যারা পিটুনির ভয়ে দেশ ছেড়ে লেজগুটিয়ে পালিয়ে যায় তাদের, না-কি যারা সাহসের সাথে সত্য বাণী নিয়ে শত প্রতিকুলতা এবং জীবন বিপন্ন জেনেও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে মৃত্যুকে জয় করে বুক পেতে দেয় তাদের। সিদ্ধান্ত আপনাদের।

তিনি বলেন, আগে যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজী আর দখলবাজী হয়েছে এখনো সে সকল প্রতিটি জায়গায় চাঁদাবাজী আর দখলবাজী হচ্ছে বরং কোন কোন স্থানে আগের চেয়ে বেশিই হচ্ছে। তিনি বলেন, বিগত দিনের সরকারগুলো যদি তাদের নেতা-কর্মীদের নির্দিষ্ট কোন পেশায় মনোনিবেশ করাতো বা সুযোগ করে দিত। সৎ উপায়ে তাদের কোন আয়ের পথ থাকতো, যে আয় থেকে তারা তাদের সংসার চালাতে পারতেন তাহলে তাদের আজ এ পরিণতি হয়না বলেও মনে করেন সারজিস। 

তাদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, চলতি ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই তাদের নতুন দল আত্মপ্রকাশ করবে। বর্তমান সরকারে থাকা তাদের অন্যতম সহযোদ্ধা নাহিদকে দলের পক্ষ থেকে সরকারি দায়িত্ব ছেড়ে জনগণের কাতারে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সারজিস আশা করেন নাহিদ তাদের ডাকে সাড়া দিবে। 

তবে, বিভিন্ন গণমাধ্যম তাদের দলকে বিভক্ত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জনকে মনগড়া পদে বসিয়ে দল ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন। সারজিস বলেন, তাদের দলে যে কোন বয়সের সুস্থ্য ব্যক্তির জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে, বিগত ফ্যাসিস্টদের দোষর বা তাদের মনোভাবের কোন ব্যক্তি যদি আসতে চান তাহলে আগে থেকেই তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেন সারজিস আলম। 

এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ও সংগঠন দুটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে অজ্ঞাত এক মহিলার খন্ডিত দেহের অংশবিশেষ (বেশ কিছু খন্ডিত অংশ) উদ্ধার করেছে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ। 

রবিবার ভোরে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনের দড়িকান্দি জাইদেরগাঁও এলাকা থেকে অংশগুলো উদ্ধার করা হয়। 

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আওলাদ হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময় অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় তিনি নিহত হয়েছেন। 

পরে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের কারণে মরদেহটি সড়কের সাথে পিষে গেছে। মাথার চুল দেখে ধারণা করা হচ্ছে নিহত ব্যক্তি একজন নারী। 

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, মহাসড়কে মানুষের কিছু অংশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ফোনে জানায়। পরে পুলিশ পাঠিয়ে সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। 



মোকাররম মামুন

আজ পবিত্র ‘লাইলাতুল বরাত’। অনেকে ‘শব-ই-বরাত’তো বলেন। হাদিস শরিফ মোতাবেক, শাবান মাসের পঞ্চদশ রজনীতে এ রজণী পালন করা হয়। পবিত্র হাদিস শরীফে রাসুল (সা:) শবে বারাআত’কে লাইলাতুন্ নিসফ্ মিন’ বলেছেন। সে অনুযায়ী আরবি মাসের ১৫ শাবান দিবাগত রাতে (মুলত এশার নামাজের পর থেকে) মুসলিম সম্প্রদায় এ রজনী পালন করে থাকেন। এ রজনী মুসলীম জাহানের জন্য মহিমান্বিত, বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ। 

‘শব’ শব্দটি ফরাসী ভাষা। এর অর্থ রাত বা রজনী। বারাআত অর্থ মুক্তি, অব্যাহতি, নিষ্কৃতি, অব্যাহতি ইত্যাদি। এ অর্থে শবে বরাতের অর্থ দাড়ায় মুক্তি, অব্যাহতি ও নিষ্কৃতির রজনী। এ রজনীতে আল্লাহ সোবহান তায়ালা পাপী বান্দাদেরকে মুক্তি পেতে আহ্বান করেন। 

পবিত্র এ রাতের অনেক তাৎপর্য ও ফজিলত রয়েছে। হযরত আয়শা (রা:) থেকে একটি হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী করিম (সা:) হযরত আয়শা (রা:)’কে বলেন, “ হে আয়শা ! এ রাতে কি হয় জান ?” হযরত আয়শা (রা:) বলেন, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভালো জানেন। রাসুল (সা:) বলেন, এ রাতে আগামী বছর যত শিশু জন্ম নিবে এবং মৃত্যুবরণ করবে তাদের নাম লেখা হয়। মানুষের বিগত দিনের সকল আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় এবং মানুষের রিজীক অবতীর্ণ হয়। (মিশকাত শরীফ প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ১১৫)

অন্য এক হাদিসে হযরত উসমান (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা:) বলেছেন, শাবানের ১৫ তারিখ রাতে শবে বরাত থেকে পরবর্তী শবে বরাত পর্যন্ত মানুষের বয়স নির্ধারিত হয়। এমনকি এ সময়ের মধ্যে কেউ বিয়ে করে তার সন্তান জন্ম নেয় অথচব দুই শাবানের অন্তবর্তীকালীণ সময় যারা মারা যাবে তাদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। 

‘লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত’ মহান আল্লাহ সোবহান তায়ালার পক্ষ থেকে মুসলিম উম্মার জন্য এক বিশেষ উপহার। বিশেষ করে বান্দার বিগত দিনের সকল প্রকার গুনাহের জন্য ক্ষমা চেয়ে আল্লাহ নৈকট্য লাভের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য নির্ধারনের অপূর্ব সুযোগ। 

আমরা যদি রাত জেগে কোরআন তিলওয়াত, নফল নামাজ, বেশি বেশি করে কাজা নামাজ আদায়, জিকির আসগার, ইস্তেগফারসহ ভালো ও ফজিলপূর্ণ আমল করতে পারি তাহলে আশা করতে পারি আল্লাহ আমাদের গুনাহ্ মাফ করবেন।  

হাদিসে উল্লেখ আছে, সূর্যাস্তের পর আল্লাহ সোবহান তায়ালা পৃথিবীর প্রথম আঁকাশে অবস্থান করেন এবং বান্দাদেরকে তার দিকে ডাকতে থাকেন। বলতে থাকেন, আমার কোন বান্দা আছো, যে তোমার গুণাহ মাফ করাতে চাও। কে আছো যে তোমার রোগ থেকে মুক্তি চাও, কে আছো যে তোমার রিজিক বাড়াতে চাও।”

হযরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা:) সূত্রে বর্ণিত আছে, হুজুরে পাকস (সা:) বলেছেন, অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহ সোবহান তায়ালা সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক-বিদ্বেশী লোক ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনি হিŸান, হাদিস নং ৫৬৬৫, আল মু’জামুল কাবীর ২০/১০৯, শুআবুল ইমান, হাদিস নং ৬৬২৮)

হযরত আয়েশা (রা:) বলেন, এক রাতে রাসুল (সা:) উঠে নামাজে দাড়ালেন। সিজদায় তিনি এতটা দীর্ঘ সময় অতিক্রম করলেন যে আমি ভয় পেয়ে যাই যে, তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন কি-না। এক সময় আমি বিছানা থেকে উঠে রাসুল (সা:) এর বৃদ্ধাঙ্গুলি ধরে নাড়া দিই। বিশ্বাস হলো তিনি বেঁচে আছেন। পরে বিছানায় চলে আসি। পরে রাসুল (সা:) নামাজ শেষে আমাকে বললেন, হে আয়েশা ! তোমার কি ধারণা হয়েছে যে নবী তোমার সঙ্গে সীমা লঙ্ঘন করেছে ? আমি উত্তরে বলি, জি¦-না আল্লাহ রাসুল ! তবে, আপনার দীর্ঘ সময় সিজদায় আমার মনে হয়েছিল আপনি না মৃত্যুবরণ করেছেন। 

এরপর রাসুল (সা:) বলেন, হে আয়েশা ! তুমি কি জানো আজকের এ রাতটি কি ? আয়েশা বলেন, আমার আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভারো জানেন। পরে তিনি আমাকে বললেন, এ রাতে আগামী বছর যত শিশু জন্ম নিবে এবং মৃত্যুবরণ করবে তাদের নাম লেখা হয়। মানুষের বিগত দিনের সকল আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় এবং মানুষের রিজীক অবতীর্ণ হয়। তবে, হিংসুক লোকদের তার অবস্থানের ওপর ছেড়ে দেন। (শুআবুল ইমান, হাদিস নং ৩৮৩৫)।

আল্লাহ সোবহান তায়ালা যেন আমাদের সকলকে শবে বরাতের ফজিলত নসিব করেন। তিনি যেন আমাদের হিদায়েত দান করেন। আমিন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুম শিকদার বলেছেন, এ উচ্ছেদ অভিযান যদি স্থায়ী না হয় তাহলে প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের নিয়ে আন্দোলন করে এর জবাব চাওয়া হবে। 

সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসনের টানা তিন দিনের মতো অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে ‘কলাপাতা সুইট এন্ড পেষ্ট্রি সপ’ ভাঙার সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ ব্যবস্থাপনা কোন স্থায়ী সমাধান না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অবৈধ উচ্ছেদ দীর্ঘায়িত হয়না। এক সপ্তাহের মধ্যে পূণরায় নতুন করে বসার সুযোগ থাকে। 

এ সময় তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন, স্থায়ীভাবে যদি এই উচ্ছেদের কোন সমাধান না করতে পারে, তাহলে যাদেরকে অবৈধ উচ্ছেদ করা হয়েছে, এলাকার লোকজন নিয়ে প্রশাসনের কাছে আন্দোলনের মাধ্যমে জবাবদিহি চাওয়া হবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, প্রশাসন যদি কোন স্থায়ী সমাধান না করতে পারেন তাহলে ভাঙা কেন। মানুষের ক্ষতি কেন করলো।

মাসুম শিকদার বলেন, মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে এভাবে ভাঙচুর করলেন কেন। ভাঙচুরের পর তাদেরকে পূণর্বাসনের জন্য যারা উদ্যোগী হয়, তাদের নির্বিত না করে গরীব-দুঃখী মানুষদের ওপর কেন কিছু দিন পরপর এ খড়গ। কেন দুই দিন পর পর এই ইদুর বিড়াল খেলা। এই ইদুর বিড়াল খেলা বন্ধ করুন। যদি পারেন স্থায়ী সমাধান করুন। 

প্রশাসন যদি আমাদের স্থায়ী উচ্ছেদে আশ্বস্ত করতে না পারে তাহলে স্থানীয় লোকজন নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এর জবাব চাইবো। দেখি প্রশাসন এর কি ব্যবস্থা নেয়।

এরআগে, গত ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকাল থেকে সোনারগাঁওয়ের মোগরপাড়া চৌরাস্তা এলাকা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে এবং থানা পুলিশ ও কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় এ সকল অভিযান পরিচালনা করা হয়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা পিরোজপুর ও জামপুর ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

সোনারগাঁও থানা সূত্রে জানাগেছে, আটকৃতদের মধ্যে পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পাঞ্জল শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ স্বপন, জামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ভূইয়া এবং একই এলাকার মৎসলীগ সভাপতি মো. মিছির আলী। 

এছাড়াও আরও একজন অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।



সোনারগাঁও
দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে আবারো শুরু হয়েছে অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ অভিযান। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রæয়ারী) বিকাল থেকে জেলার সোনারগাঁও উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ অভিযানের কাজ শুরু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান। উচ্ছেদ অভিযান চলে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। 

এদিকে, বুধবার (১২ ফেব্রæয়ারী) সকাল থেকে আবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মঞ্জুর মোর্শেদ। সাথে ছিলেন সোনারগাঁও থানা পুলিশ, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ, আনসার সদস্যসহ উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী। 

উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে তিনটি কাঁচাবাজারসহ কমপক্ষে দুই হাজারের অধিক অবৈধ দোকানপাট গড়ে তুলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। 

যা থেকে মাসে কোটি টাকা চাঁদাবাজী করার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। আর স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে গোপন আঁতাতে মাসোয়ারা পেয়ে থাকেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর, থানা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এদিকে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে সরেজমিনে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানায়, থানা পুলিশ বা হাইওয়ে পুলিশের নতুন কর্মকর্তারা সোনারগাঁওয়ে যোগদান করলে কিছুদিন পর পর অবৈধ দোকানপাট নামকাওয়াস্তে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। ফলে বিভিন্ন ঋণদানকারী সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়া ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুই দিনে মহাসড়কের কমপক্ষে উভয় পাশে তিনশ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।


তারা জানান, উপজেলা প্রশাসন একদিকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে যান অপরদিকে, প্রভাবশালীরা আগের চেয়ে বেশি দামে দোকান দিতে উঠে-পড়ে নামেন। কোন জায়গায় আগে ব্যবসা করা ব্যবসায়ী তাদের চাহিদানুযায়ী টাকা দিতে না পারলে অন্যব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জায়গা দিয়ে থাকেন। 

ব্যবসায়ীরা জানান, জায়গার অগ্রিম বাবদ কমপক্ষে দুই লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা আর দৈনিক কমপক্ষে ১০০ টাকা থেকে ১২শ টাকা ভাড়া বাবদ আদায় করা হয়।  

তাদের (ব্যবসায়ী) দাবি, কিছুদিন পরপর লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান না করে মহাসড়কে যানবাহন নির্ভিঘেœ চলাচল ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ীভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, আমি এর আগেও এইখানে উচ্ছেদ করেছি। উচ্ছেদের পর নতুন করে বসতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিলনা, আপনার কাছ থেকেই শুনেছি। যদি এমন ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী তাদের জন্য স্থায়ীভাবে কিছু করার চিন্তাভাবনা চলছে। আমরা চেষ্টা করব স্থায়ীভাবে কিছু করার।


সোনারগাঁও দর্পণ :

থানায় গিয়ে তোলা সেলফিই কাল হলো নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ সোয়ান হাসানের। নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে একদিন আগে দেওয়া সেলফি পোষ্ট করার পরের দিন কোন কাজে (সূত্র মতে বন্ধুর জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে) থানায় গেলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হোন তিনি। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকালে থানার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এছাড়া আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের আরও দুই নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। 

তারা হলেন,  সোনারগাঁও পৌরসভা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনি বিল্লাহ ও জামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানা পুলিশের একটি সূত্র দাবি করে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ সোয়ান হাসান জুলাই-আগস্ট ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলার আসামী। এরআগেও একাধিক বার তিনি থানায় বিভিন্ন কাজে যান। তখন থানা পুলিশ তাকে না চিনার কারণে তিনি তার কাজ শেষে নিরাপদে থানা ত্যাগ করেন। 

পরে গত সোমবার সোয়ান নিজের ফেসবুক পেজে সোনারগাঁও থানায় গিয়ে সেলফি নেওয়া একটি ছবি পোষ্ট করেন। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে আবারও থানা গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

যদিও সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ বারী গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দেশে চলমান ‘ডেভিল হান্ট’ এর অভিযানে সোমবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছেন। পরে গ্রেফতারকৃতদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দায়ের করা মামলায় আদালতে পাঠানোর কথা জানান।

যদিও সোয়ান হাসান গ্রেফতারের পর তার ফেসবুক থেকে সোনারগাঁও থানার সামনে তোলা সেলফিটিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।



সোনারগাঁও দর্পণ : 

একটি মাছ ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনে কেজি প্রতি সাতশত টাকা দরে দুই লাখ টাকার ওপরে বিক্রি করেছেন এক ব্যবসায়ী। ৮ মন বা ৩১০ কেজি ওজনের হাউশ (কারো ভাষায় শাপলা পাতা, পান পাতা বা রেফিন বা স্টিং ফিস নামেও ডাকেন) এ মাছটি বিক্রি করেন সোনারগাঁওয়ের স্থানীয় বৈদ্যের বাজারে। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে বৈদ্যের বাজার ঘাটে নিয়ে আসেন বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া এলাকার জেলে হাবিবুল্লাহ মিয়া। 

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আমিনুল জানান, মেঘনা নদীর চাঁদপুর মোহনায় ৮ মন ওজনের মাছটি আটকা পড়ে হাড়িয়া এলাকার হাবিবুল্লাহ মিয়ার জালে। সেখান থেকে মিনি টিকআপে করে মাছটি সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যের বাজার ঘাটে নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা মাছটিকে দেখতে ভীড় জমায়। 

পরে তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনে মাছটি কেটে কেজি প্রতি সাতশ টাকা করে খুচরা বিক্রি করেন। মূহুর্তের মধ্যেই পুরো মাছটি বিক্রি হয়ে যায় বলে জানান তিনি।

উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, স্থানীয়রা মাছটিকে শাপলাপাতা বলে চিনেন। তিনি মাছটি জেলেদের জালে আটকা পড়েছে বলে শুনেছেন। স্থানীয় বাজারে এর চাহিদাও প্রচুর রয়েছে।

বিরল প্রজাতির শাপলাপাতা এ মাছটি অনেকের কাছে হাউশ মাছ নামেও পরিচিতি থাকলেও এর ইংরেজী নাম রেফিন ফিস বা স্টিং ফিস বলা হয়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

হেফাজতে ইসলাম’র নেতা মামুনুল হককে সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে হেনস্তা করা মামলায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মামুন ভূইয়াকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। রবিবার (৯ ফেব্রæয়ারী) সকালে তার গুলনগর গ্রামের নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতার হওয়া সাদিপুর ইউনিয়নের গুলনগর গ্রামের মো: ইদ্রিস আলীর ছেলে মামুন ভূইয়া নিজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, ২০২১ সালে সোনারগাঁও পৌরসভার রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক স্ব-স্ত্রীসহ অবকাশ যাপনে আসেন। 

সে সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা মাওলানা মামুনুল হককে ষড়যন্ত্রমূলক হেনস্তা করে ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতি করা হয়। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে এক আইনজীবির জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে। এমনকি জমির প্রকৃত মালিকদের আওয়ামী লীগের দোসর ট্যাগ লাগিয়ে স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করছে দস্যুরা। সম্প্রতি ঘটনাটি উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের ইমানেরকান্দি এলাকায় ঘটেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আইনজীবি সাইফুল ইসলাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

আইনজীবি সাইফুল ইসলাম তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, সনমান্দি ইউনিয়নের ইমানেরকান্দি এলাকায় ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ক্রয় করা ৫ শতক জমিতে বালু ভরাট করে ভোগদখল করে আসছে। কিছু দিন আগে লোক মারফত জানতে পারেন জমিটি স্থানীয় ভূমিদস্যু সুমন ও মাহবুব তাদের বাহিনী নিয়ে এলাকার প্রভাব খাটিয়ে জোর করে দখল করবে। 

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার সুমন তার বাহিনীর ২০/৩০ জন সহযোগীসহ ওই জমিতে ইট, বালু ও সিমেন্টের তৈরি খাম মজুদ করে নির্মাণ কাজ শুরু করে। 

এ সময় আইনজীবি সাইফুল ও তার ভাই সিদ্দিকুর রহমান নির্মাণ কাজে বাধা দিতে গেলে ভূমিদস্যুরা আরো লোকজন ওই জমিতে জড়ো করে ভুক্তভোগী আইনজীবি ও তার ভাইকে জমি থেকে না গেলে যে কোন সময় প্রাণনাশের হুমকী দেয়। 

এমতাবস্থায় প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুমন জানান, জমিটি তাদের পৈতৃকভাবে পাওয়া। অভিযোগকারী এতোদিন আওয়ামী লীগের ক্ষমতার জোরে জায়গাটি দখল করে রেখেছিল। এখন এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে জমিটি উদ্ধার করছি মাত্র। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল বারী জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লিখক ও স্থানীয় দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদ সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি একই অফিসে নকল নবিশ হিসেবে কর্মরত শহিদ সরকারের বোন লিপি আক্তার, রূপালী ওরফে আছিয়া আক্তার, রিনা আক্তার, ভাই মনির হোসেন ও পনির হোসেনকে একই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সোনারগাঁও সাব-রেজিষ্টার অফিস থেকে বন্দর ও ফতুল্লা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে বদলী করা হয়েছে। 

দুর্নীতি, অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গত বছরের ১ অক্টোবর আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একই অফিসের দলিল লিখক গাজী কামাল হোসেনের করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) জেলা সাব-রেজিষ্টার খন্দকার জামিলুর রেজা স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্তদাদেশ দেন। 

সোনারগাঁও সাব রেজিষ্টার ও জেলা সাব রেজিষ্ট্রার অফিস সূত্রে জানাগেছে, সোনারগাঁও উপজেলা সাব বেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লিখক গাজী কামাল হোসেন নামে এক দলিল লিখক একই অফিসের দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দলিল লিখক শহিদ সরকারের বিরুদ্ধে গত বছরের ১ অক্টোবর দুর্নীতি, অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করেন। 

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৪ ডিসেম্বর একটি তদন্ত কমিটি দল সোনারগাঁও উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার অফিসে সরেজমিনে তদন্তে আসে। বিভিন্ন দলিল লিখক ও ব্যক্তিদের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান। সে তদন্ত কমিটির সদস্যদের তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে জেলা সাব রেজিষ্ট্রার সোমবার এক আদেশে অভিযুক্ত শহিদ সরকারকে সোনারগাঁও সাবরেজিষ্ট্রার অফিসে তার সকল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। 

পাশাপাশি তার মুল সনদটি বাতিল পূর্বক তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা মর্মে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

সোনারগাঁও উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার মো. মজিবুর রহমান জানান, শহিদ সরকারের বিরুদ্ধে একটি সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কপি আমরা পেয়েছি। সে আদেশ মোতাবেক এ অফিসে তার সকল কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও ৫জনকে অনত্র বদলি করা হয়েছে।

কি অভিযোগ ছিল শহিদ সরকারের বিরুদ্ধে ?

দলিল লিখক গাজী কামাল হোসেন শহিদ সরকারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে বলেছেন-শহিদ সরকার একজন দাঙ্গাবাজ লোক। দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই ও বোনদেরকে সোনারগাঁও সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে বিভিন্ন সময় ব্যবহার করে। 

এছাড়া বিগত চার বছর দলিল লিখক সমিতির টাকা আত্মসাৎ, নকল নবিশদের কাছ থেকে দলিল প্রতি একশ টাকা চাঁদা দাবি এবং দাবিকৃত চাঁদা না দিলে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকীর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আর এ সকল অভিযোগগুলো প্রাথমিক অবস্থায় প্রামাণিত হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদ সরকার জানান, একজন অপরজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতেই পারেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা সাবরেজিষ্ট্রার জবাব দেওয়ার জন্য আমাকে ১৫ কার্য দিবস সময় দিয়েছেন। এর মধ্যেই আমি আমার জবাব দিব।  



সোনারগাঁও দর্পণ :

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ থেকে সোনারগাঁও আসনে দলটির কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য অধ্যক্ষ ড. ইকবাল হোসেন ভূইয়াকে চূড়ান্ত মনোনয়ন করেছে। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা মজলিসের সুরা সদস্যরা গত রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) প্রতিটি উপজেলা থেকে রোকনদের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে তাদের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

এ বিষয়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ পৌর ওসমানী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য এক জনসভায় জেলার ৫টি আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ারে কথা রয়েছে সংগঠনটির নায়েবে আমীর ডা. শফিকুর রহমানের।

সোনারগাঁও আসন ছাড়া অন্যান্য আসনগুলোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ -১ রূপগঞ্জ আসনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ - ২ আড়াইহাজার আসনে অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-৪ সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা আসনে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

যদিও নির্বাচন কমিশন এখনো ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেননি। তারপরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চাহিদার প্রেক্ষিতে অন্তবর্তীকালীণ সরকার চলতি বছরের শেষ দিকে নয়তো ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন হতে পারে বলে একটি প্রাথমিক ধারণা দিয়েছে। আর নির্বাচন কমিশন সেই ধারণার ওপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন সমবেশে এই তারিখটিকে সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে প্রচার করছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

ডাকাতিসহ ২১ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী সাদ্দামকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। সোমবার (২ ফেব্রæয়ারী) রবিবার 

মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাত সাদ্দাম একই এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। 

সোনারগাঁও থানা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে পরিবহণে যে সকল ডাকাতির ঘটনা ঘটে সে সকল ডাকাতি কাজের নেতৃত্ব দিতেন সাদ্দাম।

 গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে হাবিবপুর গ্রামের অভিযান চালিয়ে সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে বলেও থানা সূত্র জানায়। 

সোমবার (৩ ফেব্রæয়ারী) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ছিনতাই, ডাকাতিসহ ২১টি মামলা রয়েছে।


 

সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে কাভার্ডভ্যানের চাঁপায় আনোয়ার হোসেন নামে এক মটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে কাজী আরাফ নামে অপর এক মটরসাইকেল আরোহী। 
রবিবার (০২ ফেব্রæয়ারী) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার এশিয়ান হাইওয়ের বস্তল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত আনোয়ার হোসেন আহত আরোহী আরাফের বাবা এবং মৃত কাজী মহিউদ্দিনের ছেলে। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, একটি সুতা বোঝাই কাভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো -উ -১১-১৫৯৭) কাভার্ডভ্যানটি নারায়ণগঞ্জ থেকে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় যাওয়ার সময় সোনারগাঁও উপজেলার এশিয়ান হাইওয়ের গাজীপুর-মদনপুর সড়কের বস্তল নামক স্থানে পৌঁছা মাত্র সুতা বোঝাই কাভার্ডভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় কাভার্ডভ্যান চালক উপায়ন্তু না পেয়ে তার সামনে থাকা মটরসাইকেলের ওপর তুলে দেয়। এতে আনোয়ার হোসেন মারাত্মক আহত হলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান। 
অপরদিকে তার ছেলে আরাফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আবিস্কার করেন।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমএ বারি বলেন, চালককে পুলিশ আটক করেছে। গাড়িটি জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

কাভার্ডভ্যান চালক বরিশাল জেলার বেতাগী থানার বুড়ো মজুমদার বেতাগী থানার বুড়ো মজুমদার এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন ৪২।




সোনারগাঁও দর্পণ :

দেশের বিভিন্ন জেলা কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। অনুমোদন পাওয়া জেলাগুলোর অন্যতম নারায়ণগঞ্জ। এই জেলায় বিএনপি’র তৃণমুল রাজনীতি থেকে উঠে আসা অধ্যাপক মামুন মাহমুদ’কে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সিনিয়র মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক আদেশে রূপগঞ্জের এক সময়ের কাজী মনিরের অনুসারী খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমান দীপু ভূইয়াকে ১ নং যুগ্ম আহবায়ক, সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী ফতুল্লা এলাকার মাশেকুল ইসলাম রাজিবকে ২নং (তালিকা ক্রমানুসারে) যুগ্ম আহবায়ক এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের অনুসারী  রূপগঞ্জ উপজেলার শরীফ আহমেদ টুটুলকে ৩য় আহবায়ক করা হয়েছে।

অপরদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে করা হয়েছে সদস্য।

আহবায়ক কমিটিতে সোনারগাঁও আসন বা সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি থেকে এবং আড়াইহাজার থেকে কোন নেতাকে আহবায়ক কমিটিতে রাখা হয়নি। যদিও বিগত দিনে বিএনপির কেন্দ্রীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে সোনারগাঁও থানা বিএনপিকে মাঠে সরব থাকতে দেখা গেছে। দল যখন কঠিন সময় পার করেছে, দলীয় নেতাকর্মীরা যখন একের পর এক হামলা, মামলায় জর্জরিত হয়েছে তখনো সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি তৎকালীণ সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচীতে মাঠে থেকে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে দেখা গেছে। 

বিশেষ করে সোনারগাঁও বিএনপির কোন নেতা কেন জেলা আহবায়ক কমিটিতে ঠাঁই পেলো না এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, জেলা আহবায়ক কমিটিতে কেন রাখা হয়নি এটা একান্তই কেন্দ্রের ব্যাপার। বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিবেচনায় সোনারগাঁও থেকে একজন আশা করা যেতেই পারে। তবে, সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়াতে বিএনপির অতি উৎসাহী কতিপয় নেতাকর্মীর বিষয়ে দলের নির্দেশনার বাইরে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সংবাদ প্রকাশের বিষয়টিও নাম না থাকার বিষয়টিতে কিছুটা থাকতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, কেন্দ্র যেইটা ভালো মনে করেছে তা করেছে। আর জেলা কমিটি নিয়ে সোনারগাঁওয়ের কেউ তেমন সরব কখনোই ছিল না। কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অবশ্যই দলের ভালোর জন্যই নিয়েছে। সে সিদ্ধান্তকে সোনারগাঁও বিএনপি অবশ্যই সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানায়। 

বিগত দিনে সোনারগাঁও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচী বিবেচনায় সোনারগাঁও বিএনপি থেকে কাউকে রাখলে আরও বেশি ভালো লাগত। তবে, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সাধুবাদ আর জেলা আহবায়ক কমিটিকে অভিনন্দন জানাই। 

নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও সিরাজগঞ্জ, বান্দরবান, মেহেরপুর, নাটোর,চট্টগ্রাম দক্ষিণ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বিএনপি।


সোনারগাঁও দর্পণ :

৭২ পরবর্তী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক দলগুলেই ক্ষমতায় এসেছে, পাঁচ বছর পর শুধু ক্ষমতার পালাবদলই হয়েছে কিন্তু জনআকাঙ্খা কখনোই পুরণ হয় নাই মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ৫ বছর পর যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে তারা ক্ষমতায় বসেই দখলবাজী, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করা, জনগণকে জিম্মি করা, লুটপাট করা, রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয় করণ করা, নিজেদের মতো করে আইন পরিবর্তন করা বিগত ৩৩ বছরের সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশের জনগণ দেখেছে। ৫ বছর পর শুধু দল পরিবর্তন হয়েছে, সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। সাধারণ মানুষ শুধু প্রতারিতই হয়েছে। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভা মাঠে ‘সোনারগাঁও গণ অধিকার পরিষদ’র ব্যানারে আয়োজিত “জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্খা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, দেশের পরিবর্তনের জন্য, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আকাঙ্খার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজে এগিয়ে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করেন। উদাহরণ স্বরূপ বিগত বিভিন্ন সরকারের শাসনামলে এমপি মন্ত্রীদের ছত্রছায়ায় সোনারগাঁওয়ের মেঘনা নদীর দুই তীরে গড়ে উঠা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর দখলের কথা তুলে ধরেন, যেগুলোর দখলদারিত্ব এখনো চলমান বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এদেশের মানুষ নতুন নেতৃত্বকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত তাই, নতুন নেতাদের মানুষের মনের কথা বুঝতে হবে। আওয়ামী লীগের মতো দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, মানিলন্ডারিং আর চাঁদাবাজির মাধ্যমে নেতৃত্বের চিন্তা করলে আওয়ামী লীগের মতোই কাপড় ছাড়া এক কাপড়ে খালি হাতে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হবে বলে উল্লেখ করেন। 

সোনারগাঁও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান মিল্কীর সভপতিত্বে ভিপি নুর আরও বলেন, সম্প্রতি দেশে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তা শুধু জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে পটপরিবর্তন হয়নি। এর জন্য দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষদের বিগত দেড় দশক ধরে লড়াই সংগ্রাম করতে হয়েছে। 

নতুন বাংলদেশ বিনির্মাণে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক সমঝতা প্রয়োজন, পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দিয়ে, পুরোনো রাজনৈতিক ব্যবস্থা দিয়ে এদেশের শাসন ব্যবস্থা চলবেনা জানিয়ে তিনি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার কথা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭২ পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যতবারই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই তারা একক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। জনগণকে কুক্ষিগত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত ছিল। এ সময় কারো নাম প্রকাশ না করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েও অন্যের বিয়ে করা বৌ-কে জোড় করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন নুর। 

তিনি বলেন, জুলাই-গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যই ছিল ফ্যাসিবাদী বন্দোবস্তের বিরোধ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে দেশকে নুতনভাবে সাঁজানো। তাই আগামীতে যে কোনভাবেই ফ্যাসিবাদরা যেন পুণরায় ক্ষমতায় আসতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রেখে আগামী নির্বাচনে সকলকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান নুর। 

অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদ সোনারগাঁও শাখার সদস্য সচিব একেএম সাইদুজ্জামান ও সোনারগাঁও পৌরসভা গণঅধিকার পরিষদের নেতা উলফাত কবির মাস্টারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলী, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান মুন্না, নারায়ণগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের জেলা মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আরিফ হোসেন প্রমূখ। 

  



MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget