Halloween Costume ideas 2015

সোনারগাঁওয়ে আবারো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, স্থায়ী সমাধান চায় স্থানীয়রা

সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ স্থান মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় আবারো অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশ। সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের জায়গায় এ সকল অবৈধ স্থাপনা তুলে যুগের পর যুগ একটি স্বার্থান্বেসী মহল আর্থিকভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে বলেও অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ফলে উপজেলার এই অঞ্চলের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা তিন শতাধিক স্থাপনা রবিবার (২৬ জানুয়ারী) উচ্ছেদ করা হয়। 

রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বদেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুঞ্জুরুল মোর্শেদ। এ সময় তাঁকে সহযোগিতা করেন কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ, উপজেলা পরিষদ সদস্য এবং আনসার সদস্যরা। 

উচ্ছেদ অভিযানে মহাসড়কের দুই পাশে একটি ফলের দোকানসহ মোট ৫জন ব্যবসায়ী উচ্ছেদ কাজে অসযোগিতা করায় তাদেরকে আর্থিক জরিমানা করা হয় এবং অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ দোকানপাট নির্মাণ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদেরকে মাসিক ৩ হাজার থেকে ১৫-২০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করে। এছাড়া এককালীণ ৩ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম টাকা নিয়ে থাকে। স্থানীয় কোন প্রভাবশালীরা এসকল অপকর্ম করে এ বিষয়ে সওজ এবং স্থানীয় সকল প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ওয়াকিবহাল বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের। তারা এ-ও জানান, কিছু দিন পর পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে মুলত প্রশাসনের কতিপয় দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সুবিধা করে দেন উচ্ছেদকারীরা। 

কারণ হিসেবে তাদের দাবি, অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার পর আগে যে সকল ব্যবসায়ীরা অগ্রিম টাকা দেয় তারা আর অগ্রিম টাকা ফেরত পাননা। এমনকি অগ্রিম টাকা দেওয়া ব্যবসায়ীদের দোকান না দিয়ে, না জানিয়ে অন্যদের কাছ থেকে পূণরায় অগ্রিম টাকা নিয়ে পূণরায় দোকান তোলার অনুমতি দেয় প্রভাবশালীরা। 

এদিকে প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মহাসড়ক অবৈধ দখল করে নির্মিত এ সকল অবৈধস্থাপনার কারণে মহাসড়কসহ দুই পাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও যানজট নিত্যদিনের সাথী। 

তাই স্থানীয়দের দাবি, কিছুদিন পরপর উচ্ছেদ অভিযানের নামে চোর-পুলিশ খেলা না খেলে প্রশাসনের উচিৎ স্থায়ীভাবে এর প্রতিকার করার।

উচ্ছেদের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ বলেন, প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরবর্তীতেও যেন তারা পূণরায় না বসতে পারে সে জন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। 


Post a Comment

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget