সোনারগাঁও দর্পণ :
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে হাসান নামে এক লম্পটের বিরুদ্ধে। এদিকে, ধর্ষিতার পরিবার গরিব হওয়ায় ধর্ষকের পরিবারকে থানায় কোন মামলা না করার হুমকী দিলে ধর্ষিতার পরিবার মামলা করতেও ভয় পাচ্ছে।
এদিকে, পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত হাসানকে গ্রেফতার করলেও অজ্ঞাত কারণে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটাবে সন্দেহে বাংলাদেশ ফৌজধারী কার্যবিধি (ফৌঃকাঃবিঃ)’র ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ইলিয়াসদী এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও গত ১৬ জানুয়ারী অভিযুক্ত হাসান ওই যুবতীকে বিয়ে করবে বলে তার বাড়ি থেকে নিয়ে গাজীপুরে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত হাসান একই গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইলিয়াসদী গ্রামের একাধিক ব্যক্তি ও ধর্ষিতার স্বজন জানান, হাসান দীর্ঘ দিন ধরে ওমান প্রবাস জীবন কাঁটিয়ে পরিবারের সাথে দেখা করতে মাস দুইয়েক আগে ছুঁটিতে নিজ গ্রামে আসেন। গত ১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ইলিয়াসদী গ্রামের এক যুবতীকে নিয়ে গাজীপুরের কাপাসিয়ার একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। যদিও অন্য একটি সূত্র জানায় ওই যুবতীকে নিয়ে হাসান তার এক আত্মীয়ের বড়ি ছিল। ওই যুবতী হাসানের সাথে যাওয়ার সময় সংসার করার স্বপ্ন দেখে ওই যুবতী তার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ পালিয়ে যায়। পরে ওই যুবতীকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও কোথাও না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের কান্নাকাটিতে বিষয়টি লোক জানাজানি হয়।
এদিকে, ওই যুবতীকে গাজীপুর রেখে না জানিয়ে হাসান গত বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী বাড়ি চলে আসে। এদিকে, হাসানের সাথে ওই যুবতীর কোন যোগাযোগ না হওয়ায় সে-ও (ধর্ষিতা) গাজীপুর থেকে তার বাড়িতে চলে আসে এবং পরিবারের কাছে সকল ঘটনা খুলে বলে। পরে এ বিষয়ে ওই যুবতীর পরিবারের সদস্যদের সাথে ইলিয়াসদী এলাকায় একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর পাশে রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসানের পরিবারের ঝগড়া হয়।
এ সময় সোনারগাঁও থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার বসাক ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানকে আটক করে। পরে তাকে ১৫১ ফৌজধারী কার্য বিধিতে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (২৫ জানুয়ারী) নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জয় কুমার বসাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসি সাহেব টেলিফোনে ইলিয়াসদী এলাকায় একটি ঝামেলার কথা বলে আমাকে সেখানে যেতে বলেন এবং পরবর্তীতে হাসানকে আটক করে নিয়ে যেতে বলায় আমি নিয়ে যাই। পরে ১৫১ ধারায় তাকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিলে তার (ওসি) নির্দেশ মোতাবেক আমি কাজ করেছি। এর বাইরে কিছু জানিনা। বিশেষ কিছু জানতে চাইলে ওসি সাহেব বা সেকেন্ড অফিসারের সাথে কথা বলেন বলে জানায়।
পরে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বারীর সাথে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, হাসানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার কোন প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। কোন প্রমাণ পেলে বা কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Post a Comment