মোকাররম মামুনসোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু ও তার সহধর্মীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান দীল আফরোজ এর পদত্যাগ এবং পরবর্তীতে তাদেরকে পূণরায় স্বপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বর্তমানে টক অব দ্যা উপজেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে শিক্ষাঙ্গণে জোরে সোরে চলছে। কেউ বলছেন জোর করে পদত্যাগ এবং পূণরায় স্বপদে ফিরিয়ে আনার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক নাটকীয়তা। হয়েছে বড় অংঙ্কের আর্থিক লেনদেন। মধ্যে অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন পড়বে অনিশ্চয়তায়। আসলে কি ঘটেছিল ? কেন ঘটেছিল ? এর পিছনে কারা কলকাঁঠি নাড়িয়েছেন। ‘সোনারগাঁও দর্পণ’ এর অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। আর সেগুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরতেই এই প্রয়াস। প্রথমে আসা যাক কি ঘটেছিল ২৫ আগস্ট।
কিভাবে পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ এবং তার সহধর্মীনি
একজন সাংবাদিক হিসেবে প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই উড়ন্ত একটা খবর আসে সোনারগাঁও সরকারি কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে যে কোন দিন ও সময় আন্দোলনে নামতে পারে শিক্ষার্থীরা।
২৫ আগস্ট ২০২৪। সোনারগাঁও সরকারি কলেজ সকাল ৯টার কিছু আগ থেকে বেশ উত্তপ্ত। ‘জেগেছেরে.... জেগেছে, ছাত্র সমাজ...... জেগেছে। লেগেছেরে লেগেছে......রক্তে আগুন লেগেছে......,কলেজে কোন দুর্নীতি চলবে না, মানব না, বৌ-জামাই মিল্লা..... কলেজ খাইলো গিল্লা...... অধ্যক্ষের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধানসহ বেশ কিছু শ্লোগান সমেত আট দফা দাবিতে উত্তাল-উত্তপ্ত কলেজ ক্যাম্পাস। তখন কলেজে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু এবং তার সহধর্মীনি খন্দকার দীল আফরোজ উপস্থিত।
বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে দীল আফরোজকে প্রধান করে কয়েকজন শিক্ষক ও বিশেষ একটি ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন কর্মী-সমর্থকের সমন্বয়ে এক প্রতিনিধি দল কলেজের মুক্তমঞ্চে আসেন ছাত্রদের সাথে সমস্যার সমাধানে কথা বলতে। সে সময় দীল আফরোজ শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত আট দফা দাবি যৌক্তিক বলে মেনে নেন এবং তাদের সাথে সমস্যা সমাধানে অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপুর আগ্রহের বিষয়টি অবহিত করেন। সে সময় শিক্ষক প্রতিনিধি প্রধান দীল আফরোজ এর সাথে বিশেষ ওই ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি করেন, কলেজ ক্যাম্পাসে কোন বহিরাগতদের হুকুম চলবেনা। আর অধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে তার কক্ষে নয়, সকলের সামনে মুক্তমঞ্চে এসে কথা বলতে হবে। পাশাপাশি ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয় অধ্যক্ষকে মুক্ত মঞ্চে আসার।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া সময় ১০ মিনিট শেষের দিকে যতই গড়াচ্ছে শিক্ষার্থীদের শ্লোগানসহ আন্দোলন ততোই তীব্রতা পাচ্ছে। এদিকে, কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুটি হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পরে।
১০ মিনিট পূর্ণ হতে আর মাত্র ২ মিনিট বাকি। ঠিক এমন সময় মুক্ত মঞ্চে সহধর্মীনি এবং অন্যান্য শিক্ষক ও কিছু ছাত্রসহ মুক্তমঞ্চে আসেন অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আশারাফুজ্জামান অপু। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো কি জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবির সাথে মৌখিকভাবে আরও কিছু দাবি উত্থাপন করেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অধ্যক্ষসহ উপস্থিত সকলেই মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং কলেজ অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো যৌক্তিক বলে মেনে নেন এবং এরমধ্যে দুই একটি দাবির বিষয়ে তদন্তের জন্যে কমিটি গঠনের কথা বলে একটি সময় নেন। পাশাপাশি তদন্তের সময়টি কতদিনের জন্যে নির্ধারণ করা হবে সেটি সহ অন্যান্য কথা বলার জন্যে তার কক্ষে নিয়ে যান শিক্ষার্থীদের। আলোচনায় বসার প্রস্তুতি হচ্ছে। কেউ বসেছে, কারো জন্যে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমন সময় কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বিকট শব্দে আরও একটি হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়। অনেকটা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে অধ্যক্ষের কক্ষে অবস্তানরত ছাত্র-শিক্ষকসহ অনেকেই।
এমতাবস্থায় বাইরে থেকে একজন দৌড়ে এসে অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে জানায়, আন্দোলনকারীদের একজনকে বহিরাগত কিছু যুবক অশ্লীল ভাষায় বাবা-মা তুলে গালাগাল করেছে এবং তাদের এক নারী সহপাঠিকে ইভটিজিং করেছে। এমন খবরে অধ্যক্ষের কক্ষে সমঝোতায় বসা আন্দোলনকারীরা উত্তেজিত হয়ে বেরিয়ে যায়। আবারো সেখানে অবস্থানরত সংবাদকর্মী, ছাত্র ও শিক্ষকদের সহায়তায় আলোচনায় বসে শিক্ষার্থীরা।
আলোচনাকালীন হঠাৎ কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম, যুবদল নেতা রাকিব ও মোগরাপাড়া বিএনপি নেতা আতাউরসহ ৬/৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল।
স্বভাবতভাবে সিনিয়র ভাইদের দেখে শিক্ষার্থীরা তাদের বসার ব্যবস্থা করে। শুরু হয় আলোচনা। আলোচনায় যুবদল নেতা রাকিব বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর সারাদেশের দুর্নীতিবাজরা স্বইচ্ছায় পদত্যাগ করছে। সেখানে অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু কেন এতো দেরি করছেন। আর যেহেতু ছাত্ররা তাকে চাচ্ছেন না তিনি কেন দেরি করছেন।
এমন সময় থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম রাকিবকে থামিয়ে অধ্যক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা (বিএনপি নেতারা) উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সমর্থনে এবং সমস্যা সমাধানে কলেজে এসেছেন। ছাত্ররা সারাদিন না খেয়ে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেনা। কি সিদ্ধান্ত নিতে চান অধ্যক্ষকে তার জন্য ১০ মিনিট সময় বেঁধে দিয়ে অধ্যক্ষের রুমের বাইরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলে যান কলেজে আসা বিএনপি নেতারা। ওই দিকে অধ্যক্ষ শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। অপরদিকে, উপজেলা বিএনপি নেতারা কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। দিক নির্দেশনায় নিজাম শিক্ষার্থীদের ভিতরে গিয়ে ৮ দফা থেকে ১ দফা অর্থাৎ প্রধান অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু এবং তার সহধর্মীনি, গ্রাহস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার দীল আফরোজের পদত্যাগ চাইতে বলেন।
ঠিক ১০ মিনিট পর বিএনপি নেতারা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে যান এবং কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা জানতে চান। অধ্যক্ষ তার অবসরে যাওয়ার মাত্র ২ মাস আছে জানিয়ে মানবিক দিক থেকে তার বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেন। যা বিএনপি নেতা আর শিক্ষার্থীরা একযোগে প্রত্যাখ্যান করেন। তবে, বিএনপি নেতা আতাউর অধ্যক্ষের এ প্রস্তাবটিকে মানবিক দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেন। এমন কি এমন সময় এক নারী সমন্বয়কারী বলেই ওঠেন, দীর্ঘ ১২/১৪ বছরে দুর্নীতি করে যা কামিয়েছেন তা অবসরে গেলে যে অর্থ পাবেন তার কাছে কিছুই না। বাকি জীবন ভালোভাবেই চলবে।
এমতাবস্থায় কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের ছেলে খাইরুল ইসলাম সজিব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপারের সাথেও সোনারগাঁও সরকারি কলেজের ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কথা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পুলিশ সুপার ছাত্রদের সমর্থন দিয়েছেন জানিয়ে তাদের (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ
সুপার) প্রতিনিধি হিসেবে তাকে (খাইরুল ইসলাম সজিব) পাঠিয়েছেন বলে জানান সজিব দাবি করে অধ্যক্ষের পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেন। যা তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সজিব জানায়। অধ্যক্ষের পদত্যাগের পর তাঁকে কলেজ থেকে সহধর্মীনিসহ গাড়িতে উঠিয়ে বিদায় দেন। পরে স্বাক্ষরকরা কাগজসহ সজিব ও বিএনপি নেতারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে যান।
পরের দিন ২৬ আগস্ট ২৪
বেশ কিছু শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাস এবং কলেজের মুল ফটকের বাইরে বিচ্ছিন্নভাবে প্লেকার্ড হাতে আন্দোলন করছে। যেখানে লেখা স্যার-ম্যামের পদত্যাগ কেন, স্যার-ম্যামকে পূর্ণবহাল করতে হবে, করতে হবেসহ নানা শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস। তারা কলেজের শিক্ষকদের কলেজে প্রবেশে বাঁধা দেন এবং অধ্যক্ষ এবং তাদের ম্যাম ফিরে না আসা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। এমনকি অধ্যক্ষ এবং তার সহধর্মীনিকে ফিরিয়ে আনার পক্ষে আন্দোলনকারীরা জানান, যদি অধ্যক্ষ ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের কোন প্রমাণ বিপক্ষে আন্দোলনকারীরা তাদের দিতে পারে তাহলে তারাও অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে একমত হবে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো- ঠিক এর আগের দিন অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে তাদেরই সহপাঠি বা বড় ভাই বা ছোট ভাইরা যখন আন্দোলন করেন তখন অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে যারা সোচ্চার তাদের একজনকেও কলেজে দেখা যায়নি। অপরদিকে, তাদের স্যার-ম্যামকে যখন ফিরিয়ে আনতে অপর একটি গ্রæপ সোচ্চার তখন অধ্যক্ষকে পদত্যাগের পক্ষের একজন শিক্ষার্থীকেও দেখা যায়নি।
যদিও উভয় পক্ষের সাথে কলেজে থাকা-না থাকা নিয়ে কথা হলে সোনারগাঁও দর্পণ’কে অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যায় দুর্গতদের সাহায্যের জন্যে অর্থ জোগারে ব্যস্ত ছিল তারা। আর অধ্যক্ষের বিরোধীতাকারীরা অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনার পক্ষের শিক্ষার্থীদের হিসেবের বাইরে রাখে। তার একটি অডিও রেকর্ড ইতোমধ্যে সোনারগাঁও দর্পণ’র হাতে এসেছে।
এরমধ্যে ২৬ আগস্ট কলেজে আন্দোলন চলাকালীন সোনারগাঁও দর্পণ’র কাছে আরও বেশ কিছু তথ্য আসে যেখানে কলেজের গ্রাহস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান দীল আফরোজ এর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে কিছু শিক্ষার্থীকে ম্যাসেঞ্জারে অনুরোধ করেন তাদের ফিরিয়ে আনার পক্ষে আন্দোলন করতে, যার পিছনে অর্থও ব্যয় করা হবে। আরও কিছু তথ্য আসে যা সজ্ঞত কারণে প্রকাশ করা হলো না।
২৭ আগস্ট ২৪
২৬ আগস্ট রাতে সোনারগাঁও দর্পণ’র কাছে খবর আসে, পরের দিন ২৭ আগস্ট আন্দোলনরত উভয় দল কলেজে আসবে এবং সেদিন হয়তো তারা মুখোমুখি অবস্থানে থাকলে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যথারীতি কলেজে গিয়ে দেখা গেল তেমন কিছুই হয়নি বরং অধ্যক্ষ আর তার সহধর্মীনিকে পদত্যাগের দাবিতে যারা আন্দোলন করেছে তারা কলেজে থাকলেও বিপক্ষের কাউকে তেমন দেখা যায়নি। পরে এক সময় পদত্যাগের পক্ষের শিক্ষার্থীরা কলেজে আসলে অধ্যক্ষের পক্ষের আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে গুঞ্জন শোনাযাচ্ছে, যে পদ্ধতিতে পদত্যাগ করা হয়েছে তা যথাযথ আইন সম্মত নয় বিধায় অধ্যক্ষ এবং তার সহধর্মীনির পদত্যাগ পত্র গ্রহণযোগ্য হবেনা।
৯ সেপ্টেম্বর ২৪
২৭ আগস্ট পর্যন্ত সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও তার সহধর্মীনির পদত্যাগের রেশ কিছুটা দেখা যায়। এরপর থেকে তেমন কোন গুঞ্জন ছিলনা কলেজ বা আন্দোলনকারীদের মধ্যে। তবে, অধ্যক্ষ অপু তার পদত্যাগ ঠেঁকাতে মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতর এবং রাজনীতিবীদদের দোড়গোড়ায় যে গিয়েছেন তা ছিল লোকমুখে। যার প্রতিফলন দেখা গেছে ৯ সেপ্টেম্বর। সে দিন বেলা ১টার কিছু পর উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম, পৌরসভা বিএনপি আহবায়ক শাহাজাহান মেম্বার, পৌর বিএনপি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ন কবির রফিক, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আতাউর রহমানসহ ৭/৮ জনের একটি দল সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু এবং তার সহধর্মীনি দীল আফরোজকে ফুলের মালা পড়িয়ে সম্মানের সাথে কলেজে তার চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে যান। এরআগে, শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বাড়ি গিয়ে ফুলের মালা পড়িয়ে নিয়ে আসেন এবং মোগরাপাড়া বাজার থেকে ফুলের মালা পড়িয়ে ফুল ছিটিয়ে কলেজে প্রবেশ করান। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে স্বপদে বসানোর সময় বিএনপি নেতারা বক্তব্য রাখেন। যেখানে আশরাফুজ্জামান অপু এবং তার পরিবারকে উপজেলার ৫টি পরিবারের একটি স্বনামধন্য পরিবার হিসাবে আখ্যায়িত করেন এবং যারা অধ্যক্ষের অপসারণের বিষয়ে আন্দোলন করেছিল তাদের এবং তাদের পরিবারের সাথে কথা বলেই বিএনপি নেতারা অধ্যক্ষ এবং তার সহধর্মীনিকে ফিরিয়ে আনেন বলে দাবি করেন।
(প্রিয় পাঠক, এ বিষয়ে দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এবং ফিরিয়ে আনার পিছনের আদ্যপান্ত জানতে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন)