Halloween Costume ideas 2015
September 2024


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত ভোর সোয়া ২টার দিকে চৌরাস্তা এলাকার হাবিবপুরে বাড়ি থেকে আটক করা হয়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করে, আতাউর রহমানকে পরিবহন ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাÐের অভিযোগ ছিল। পরে শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে তার হাবিবপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক করা হয়। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম, এ বারী সোনারগাঁও দর্পণ’কে বলেন, আতাউর রহমানকে সেনাবাহিনী আটকের পর বিভিন্ন অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ (রবিবার) তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।



সোনারগাঁও দপণ :

সোনারগাঁওয়ের জামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ শাহ পরান ডাকাত ও শাহ আলী নামে ২ ডাকাতকে গ্রেফতার হয়েছে। সেনাবাহিনীর টহলদল দায়িত্ব পালনের সময় গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 


পরে পুলিশকে  সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 


সোনারগাঁও থানার ওসি এম এ বারী জানান, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সোনারগাঁওয়ের জামপুর ইউনিয়নের কলতাপাড়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো একদল ডাকাত। এসময় সেনাবাহিনীর একটি টহলদল সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় ডাকাত দল দৌড়ে পালানোর সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ডাকাত দলের ২ সদস্যকে আটক করে। পরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সোনারগাঁও থানা পুলিশের একটি টহলদল ডাকাতদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে রামদা, ছুরিসহ বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। 


পরে সেনা সদস্যরা অস্ত্রসহ দুই ডাতাতকে সোনারগাঁও থানায় সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার এসআই মো. সাহাদাত বাদি হয়ে ২ ডাকাতের বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা করেন। 


উল্লেখ্য, এলাকাসী জানায়- জামপুর ইউনিয়নে ভূমিদস্যু গুলজার বাহিনীর সশস্ত্র ক্যাডার নুরু ডাকাতের ছেলে শাহ পরান ডাকাত, শাহ আলী ডাকাত। এই বাহিনী ৫ আগস্টের পর কলতাপাড়া কাইল্ল্যারটেক এলাকার হাবিবুল্লা নামের কৃষকের দুইটি গরু বাড়ি থেকে এনে জবায়ের পর মাংস বিক্রি করে। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।


সোনারগাঁও দর্পণ :

অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ (পুরুষ) উদ্ধার করেছে সোনারগাঁও নৌপুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার কিছু আগে উপজেলার মেন্দিভিটা এলাকার পাশে মেনীখালী নদীতে ভাসমান অবস্থা থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এরআগে, সকাল ১০টার দিকে লাশটি নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা সোনারগাঁও থানা পুলিশকে খবর দেয়। সোনারগাঁও থানা পুলিশ বিষয়টি নৌপুলিশকে অবহিত করলে বিকাল ৫টার দিকে নৌ পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। 

সোনারগাঁও নৌ পুলিশের একটি সূত্র জানান, কিছুক্ষণ আগে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ফুলে পচন ধরে গেছে। এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। 

এদিকে, সকালে লাশটি দেখে পুলিশকে জানানোর প্রায় ৭ ঘন্টা পর উদ্ধার কাজে আসায় স্থানীয়দের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও উপজেলা পূজা কমিটির সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মতবিনিময় হয়েছে। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শ্রী গৌড় নিতাই মন্দিরে সোনারগাঁও জোনের দায়িত্বে থাকা মেজর জুবায়ের (পিএসসি)’র সভাপতিত্বে এবং উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য ও সনাতন ধর্মের নানা শ্রেণিপেশার মানুষের উপস্থিতিতে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় সনাতন ধর্মের নেতারা পূজা উদযাপনে বেশ কিছু সমস্যা তুলে ধরেন এবং সেগুলো সমাধানে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

সমস্যাগুলো শুনে মেজর জুবায়ের আসন্ন দুর্গাপূজা নিরবিচ্ছন্ন নিরাপত্তায় উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করতেই সভার আয়োজন জানিয়ে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে সেনাবাহিনী আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলে আশ^স্ত করেন।

সমস্যাগুলোর মধ্যে পূজায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা, পূজা চলাকালীন সময় মন্ডপের আশেপাশে উচ্চস্বরে কোন গান-বাঁজনা না করা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরিং করা, পূজা চলাকালিন সময় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল বৃদ্ধি, পানাম সিটিতে অবস্থিত মন্দিরটিকে ঘিরে সনাতন ধর্মের ব্যক্তিদের সাথে প্রতœতত্ব বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা, মাদকের ব্যবহার বন্ধ করা, রাত ১০টার মধ্যে পূজা কার্যক্রম শেষ করা, যে কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিত সে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা এবং শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উৎসব কার্যক্রম পরিচালনা করতে একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করার চেষ্টা করা হবে বলে আশ^স্ত করেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

ঢাকাসহ সারাদেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে অন্তর্বতীকালীণ সরকার সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এ ক্ষমতা প্রদান করেন। 

মঙ্গলবার  রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে আগামী ৬০ দিন (২ মাস)’র জন্যে এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। 

বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানান আলোচনার মধ্যেই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা আলোচনার পরই সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর ক্ষমতা দেয় সরকার।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়,  ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা অর্পণ করার কথা। সেখানে সংবিধানের ফৌজধারী কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ধারা ৬৪, ৬৫,৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধানায় যে সকল অপরাধ সংগঠিত হয় সেগুলো আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য খন্দকার মাজেদুল ইসলাম সম্রাট সোনারগাঁও দর্পণ’কে বলেন, প্রজ্ঞাপনে ফৌজদারি কার্যবিধির যে ধারাগুলো পৃথকভাবে বলতে গেলে বিস্তারিত আলোচনার বিষয়। তবে সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায়, কিভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়, সাক্ষীদের তলব করা, গ্রেফতার প্রক্রিয়া, অপরাধ দমনে পুলিশ ও আদালতের ভূমিকা, সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা, প্রয়োজনে সম্পত্তি ক্রোক করা। এক কথায় জনগণের জীবনযাপনে অশান্তি বিরাজ করে এমন সব অপরাধের বিষয়ে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে জনগণের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে কাজ করা। ফৌজদারি কার্যবিধির মাধ্যমে মামলাগুলোতে জড়িত সকল পক্ষের ভূমিকা নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারক মামলার সব প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ না করলে মামলার সুষ্ঠু বিচার সম্ভব না। 



সোনারগাঁও দর্পণঃ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরে এক যুবককে গুলি করে পঙ্গু করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে সোনারগাঁও থানায় এই মামলা করা হয়। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও ১৭৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

আসামিদের মধ্যে অন্যরা হলেন- চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, নাট্য অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, শেখ রেহানা, সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, স্থানীয় সাংবাদিক নুরুনবী জনি ও হাবিবুর রহমান হাবিব।


এ ছাড়া এ মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদেরও নাম রয়েছে। সোনারগাঁও থানার ওসি এম এ আব্দুল বারী মামলা হওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


মামলার বাদী সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাদুরচর গ্রামের রুহুল আমিন এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে গত ২০ জুলাই সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চলাকালে বাদীকে গুলি করে মারাত্মকভাবে আহত করে। তিনি বর্তমানে পঙ্গুত্ব বরণ করে আছেন।


সোনারগাঁও দর্পণ : 

আওয়ামী লীগ বা এর কোন অঙ্গসংগঠনের ট্যাগ লাগিয়ে স্বার্থ উদ্ধারকারী কাউকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বমন্বয়ক হিসেবে গ্রহণ করা হবেনা বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন সোনারগাঁওয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙ্গিয়ে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের অপকর্মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে এ হুশিয়ারী দেন তিনি। 

বন্দরের নাজিমউদ্দিন ভূইয়া কলেজের শিক্ষার্থী মহিবুল্লাহ প্রধান বলেন, ৫ তারিখের পর গায়েবিভাবে সোনারগাঁওয়ে কিছু সমন্বয়ক তৈরি হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আওয়ামী লীগের দোষর হয়ে এখনো অপকর্ম চালিয়ে যেতে চায়। তাদেরকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ট্যাগ লাগিয়ে আর স্বৈরাচারী কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবেনা বলে হুশিয়ারী দেন। 


তিনি আরও বলেন, সোনারগাঁওয়ে ছাত্রলীগের কোন নেতার মামাতো ভাইকে স্বমন্বয় পদে আনা যাবেনা। সে সভাপতি রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক সাগরের সাথে ছবি তোলার কথা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, তাদের সাথে ছবি তোলা যেতেই পারে। এ সময় মহিবুল্লাহ ট্যাগ লাগানো ওই ছাত্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের দোষর হিসেবে আপনাকে সোনারগাঁওবাসী চিনে গেছে। আমরা আজ এখানে যারা এসেছি আমরা সবাই আন্দোলনকারী। কেউ আমরা সমন্বয়ক পরিচয় দেইনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করে আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। 


তবুও রাজপথ ছেড়ে যাইনি। পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছি ছাত্রদের-সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় করতে। আর আপনি আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সাথে মিলে টেন্ডারবাজী করে স্বার্থ উদ্ধার করে এখন পিঠ বাঁচাতে স্বমন্বয় সেজেছেন।

মহিবুল্লাহ বলেন, সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যখন তাদের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে হামলা করে, তখনও আপনি সে হামলাকারীদের সাথে ছিলেন। আজ আপনি সোনারগাঁওয়ে স্বমন্বয়ক সাজতে চান। আপনার এ আশা কখনো পূরণ হবেনা। 

উল্লেখ্য, সাকিল সাইফুল্লা নামে ছাত্রলীগের সভাপতির মামাতো ভাই আছেন। যিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। তাঁকে বিভিন্ন সময় সোনারগাঁও, আড়াইহাজারসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি তুলতে ও বিভিন্ন কর্মসূচীতে দেখা গেছে। মহিবুল্লাহ প্রধান ওই সাকিল সাইফুল্লাহকে উদ্দেশ্য করেই কথাগুলো বলেছেন বলে একটি বিশ^স্ত সূত্র জানায়।



মোকাররম মামুন

সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু ও তার সহধর্মীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান দীল আফরোজ এর পদত্যাগ এবং পরবর্তীতে তাদেরকে পূণরায় স্বপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বর্তমানে টক অব দ্যা উপজেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে শিক্ষাঙ্গণে জোরে সোরে চলছে। কেউ বলছেন জোর করে পদত্যাগ এবং পূণরায় স্বপদে ফিরিয়ে আনার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক নাটকীয়তা। হয়েছে বড় অংঙ্কের আর্থিক লেনদেন। মধ্যে অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন পড়বে অনিশ্চয়তায়। আসলে কি ঘটেছিল ? কেন ঘটেছিল ? এর পিছনে কারা কলকাঁঠি নাড়িয়েছেন। ‘সোনারগাঁও দর্পণ’ এর অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। আর সেগুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরতেই এই প্রয়াস। প্রথমে আসা যাক কি ঘটেছিল ২৫ আগস্ট।

কিভাবে পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ এবং তার সহধর্মীনি 

একজন সাংবাদিক হিসেবে প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই উড়ন্ত একটা খবর আসে সোনারগাঁও সরকারি কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে যে কোন দিন ও সময় আন্দোলনে নামতে পারে শিক্ষার্থীরা। 


২৫ আগস্ট ২০২৪। সোনারগাঁও সরকারি কলেজ সকাল ৯টার কিছু আগ থেকে বেশ উত্তপ্ত। ‘জেগেছেরে.... জেগেছে, ছাত্র সমাজ...... জেগেছে। লেগেছেরে লেগেছে......রক্তে আগুন লেগেছে......,কলেজে কোন দুর্নীতি চলবে না, মানব না, বৌ-জামাই মিল্লা..... কলেজ খাইলো গিল্লা...... অধ্যক্ষের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধানসহ বেশ কিছু শ্লোগান সমেত আট দফা দাবিতে উত্তাল-উত্তপ্ত কলেজ ক্যাম্পাস। তখন কলেজে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু এবং তার সহধর্মীনি খন্দকার দীল আফরোজ উপস্থিত।

বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে দীল আফরোজকে প্রধান করে কয়েকজন শিক্ষক ও বিশেষ একটি ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন কর্মী-সমর্থকের সমন্বয়ে এক প্রতিনিধি দল কলেজের মুক্তমঞ্চে আসেন ছাত্রদের সাথে সমস্যার সমাধানে কথা বলতে। সে সময় দীল আফরোজ শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত আট দফা দাবি যৌক্তিক বলে মেনে নেন এবং তাদের সাথে সমস্যা সমাধানে অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপুর আগ্রহের বিষয়টি অবহিত করেন। সে সময় শিক্ষক প্রতিনিধি প্রধান দীল আফরোজ এর সাথে বিশেষ ওই ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি করেন, কলেজ ক্যাম্পাসে কোন বহিরাগতদের হুকুম চলবেনা। আর অধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে তার কক্ষে নয়, সকলের সামনে মুক্তমঞ্চে এসে কথা বলতে হবে।  পাশাপাশি ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয় অধ্যক্ষকে মুক্ত মঞ্চে আসার। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া সময় ১০ মিনিট শেষের দিকে যতই গড়াচ্ছে শিক্ষার্থীদের শ্লোগানসহ আন্দোলন ততোই তীব্রতা পাচ্ছে। এদিকে, কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুটি হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পরে। 

১০ মিনিট পূর্ণ হতে আর মাত্র ২ মিনিট বাকি। ঠিক এমন সময় মুক্ত মঞ্চে সহধর্মীনি এবং অন্যান্য শিক্ষক ও কিছু ছাত্রসহ মুক্তমঞ্চে আসেন অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আশারাফুজ্জামান অপু। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো কি জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবির সাথে মৌখিকভাবে আরও কিছু দাবি উত্থাপন করেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অধ্যক্ষসহ উপস্থিত সকলেই মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং কলেজ অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো যৌক্তিক বলে মেনে নেন এবং এরমধ্যে দুই একটি দাবির বিষয়ে তদন্তের জন্যে কমিটি গঠনের কথা বলে একটি সময় নেন। পাশাপাশি তদন্তের সময়টি কতদিনের জন্যে নির্ধারণ করা হবে সেটি সহ অন্যান্য কথা বলার জন্যে তার কক্ষে নিয়ে যান শিক্ষার্থীদের। আলোচনায় বসার প্রস্তুতি হচ্ছে। কেউ বসেছে, কারো জন্যে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমন সময় কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বিকট শব্দে আরও একটি হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়। অনেকটা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে অধ্যক্ষের কক্ষে অবস্তানরত ছাত্র-শিক্ষকসহ অনেকেই।

এমতাবস্থায় বাইরে থেকে একজন দৌড়ে এসে অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে জানায়, আন্দোলনকারীদের একজনকে বহিরাগত কিছু যুবক অশ্লীল ভাষায় বাবা-মা তুলে গালাগাল করেছে এবং তাদের এক নারী সহপাঠিকে ইভটিজিং করেছে। এমন খবরে অধ্যক্ষের কক্ষে সমঝোতায় বসা আন্দোলনকারীরা উত্তেজিত হয়ে বেরিয়ে যায়। আবারো সেখানে অবস্থানরত সংবাদকর্মী, ছাত্র ও শিক্ষকদের সহায়তায় আলোচনায় বসে শিক্ষার্থীরা।

আলোচনাকালীন হঠাৎ কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম, যুবদল নেতা রাকিব ও মোগরাপাড়া বিএনপি নেতা আতাউরসহ ৬/৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল। 

স্বভাবতভাবে সিনিয়র ভাইদের দেখে শিক্ষার্থীরা তাদের বসার ব্যবস্থা করে। শুরু হয় আলোচনা। আলোচনায় যুবদল নেতা রাকিব বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর সারাদেশের দুর্নীতিবাজরা স্বইচ্ছায় পদত্যাগ করছে। সেখানে অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু কেন এতো দেরি করছেন। আর যেহেতু ছাত্ররা তাকে চাচ্ছেন না তিনি কেন দেরি করছেন।

এমন সময় থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম রাকিবকে থামিয়ে অধ্যক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা (বিএনপি নেতারা) উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সমর্থনে এবং সমস্যা সমাধানে কলেজে এসেছেন। ছাত্ররা সারাদিন না খেয়ে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেনা। কি সিদ্ধান্ত নিতে চান অধ্যক্ষকে তার জন্য ১০ মিনিট সময় বেঁধে দিয়ে অধ্যক্ষের রুমের বাইরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলে যান কলেজে আসা বিএনপি নেতারা। ওই দিকে অধ্যক্ষ শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। অপরদিকে, উপজেলা বিএনপি নেতারা কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। দিক নির্দেশনায় নিজাম শিক্ষার্থীদের ভিতরে গিয়ে ৮ দফা থেকে ১ দফা অর্থাৎ প্রধান অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু এবং তার সহধর্মীনি, গ্রাহস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার দীল আফরোজের পদত্যাগ চাইতে বলেন।


ঠিক ১০ মিনিট পর বিএনপি নেতারা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে যান এবং কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা জানতে চান। অধ্যক্ষ তার অবসরে যাওয়ার মাত্র ২ মাস আছে জানিয়ে মানবিক দিক থেকে তার বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেন। যা বিএনপি নেতা আর শিক্ষার্থীরা একযোগে প্রত্যাখ্যান করেন। তবে, বিএনপি নেতা আতাউর অধ্যক্ষের এ প্রস্তাবটিকে মানবিক দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেন। এমন কি এমন সময় এক নারী সমন্বয়কারী বলেই ওঠেন, দীর্ঘ ১২/১৪ বছরে দুর্নীতি করে যা কামিয়েছেন তা অবসরে গেলে যে অর্থ পাবেন তার কাছে কিছুই না। বাকি জীবন ভালোভাবেই চলবে।

এমতাবস্থায় কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের ছেলে খাইরুল ইসলাম সজিব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপারের সাথেও সোনারগাঁও সরকারি কলেজের ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কথা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পুলিশ সুপার ছাত্রদের সমর্থন দিয়েছেন জানিয়ে তাদের (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ


 সুপার) প্রতিনিধি হিসেবে তাকে (খাইরুল ইসলাম সজিব) পাঠিয়েছেন বলে জানান সজিব দাবি করে অধ্যক্ষের পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেন। যা তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সজিব জানায়। অধ্যক্ষের পদত্যাগের পর তাঁকে কলেজ থেকে সহধর্মীনিসহ গাড়িতে উঠিয়ে বিদায় দেন। পরে স্বাক্ষরকরা কাগজসহ সজিব ও বিএনপি নেতারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে যান।

পরের দিন ২৬ আগস্ট ২৪ 


বেশ কিছু শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাস এবং কলেজের মুল ফটকের বাইরে বিচ্ছিন্নভাবে প্লেকার্ড হাতে আন্দোলন করছে। যেখানে লেখা স্যার-ম্যামের পদত্যাগ কেন, স্যার-ম্যামকে পূর্ণবহাল করতে হবে, করতে হবেসহ নানা শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস। তারা কলেজের শিক্ষকদের কলেজে প্রবেশে বাঁধা দেন এবং অধ্যক্ষ এবং তাদের ম্যাম ফিরে না আসা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। এমনকি অধ্যক্ষ এবং তার সহধর্মীনিকে ফিরিয়ে আনার পক্ষে আন্দোলনকারীরা জানান, যদি অধ্যক্ষ ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের কোন প্রমাণ বিপক্ষে আন্দোলনকারীরা তাদের দিতে পারে তাহলে তারাও অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে একমত হবে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো- ঠিক এর আগের দিন অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে তাদেরই সহপাঠি বা বড় ভাই বা ছোট ভাইরা যখন আন্দোলন করেন তখন অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে যারা সোচ্চার তাদের একজনকেও কলেজে দেখা যায়নি। অপরদিকে, তাদের স্যার-ম্যামকে যখন ফিরিয়ে আনতে অপর একটি গ্রæপ সোচ্চার তখন অধ্যক্ষকে পদত্যাগের পক্ষের একজন শিক্ষার্থীকেও দেখা যায়নি।

যদিও উভয় পক্ষের সাথে কলেজে থাকা-না থাকা নিয়ে কথা হলে সোনারগাঁও দর্পণ’কে অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যায় দুর্গতদের সাহায্যের জন্যে অর্থ জোগারে ব্যস্ত ছিল তারা। আর অধ্যক্ষের বিরোধীতাকারীরা অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনার পক্ষের শিক্ষার্থীদের হিসেবের বাইরে রাখে। তার একটি অডিও রেকর্ড ইতোমধ্যে সোনারগাঁও দর্পণ’র হাতে এসেছে।

এরমধ্যে ২৬ আগস্ট কলেজে আন্দোলন চলাকালীন সোনারগাঁও দর্পণ’র কাছে আরও বেশ কিছু তথ্য আসে যেখানে কলেজের গ্রাহস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান দীল আফরোজ এর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে কিছু শিক্ষার্থীকে ম্যাসেঞ্জারে অনুরোধ করেন তাদের ফিরিয়ে আনার পক্ষে আন্দোলন করতে, যার পিছনে অর্থও ব্যয় করা হবে। আরও কিছু তথ্য আসে যা সজ্ঞত কারণে প্রকাশ করা হলো না। 

২৭ আগস্ট ২৪

২৬ আগস্ট রাতে সোনারগাঁও দর্পণ’র কাছে খবর আসে, পরের দিন ২৭ আগস্ট আন্দোলনরত উভয় দল কলেজে আসবে এবং সেদিন হয়তো তারা মুখোমুখি অবস্থানে থাকলে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যথারীতি কলেজে গিয়ে দেখা গেল তেমন কিছুই হয়নি বরং অধ্যক্ষ আর তার সহধর্মীনিকে পদত্যাগের দাবিতে যারা আন্দোলন করেছে তারা কলেজে থাকলেও বিপক্ষের কাউকে তেমন দেখা যায়নি। পরে এক সময় পদত্যাগের পক্ষের শিক্ষার্থীরা কলেজে আসলে অধ্যক্ষের পক্ষের আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। 

এদিকে গুঞ্জন শোনাযাচ্ছে, যে পদ্ধতিতে পদত্যাগ করা হয়েছে তা যথাযথ আইন সম্মত নয় বিধায় অধ্যক্ষ এবং তার সহধর্মীনির পদত্যাগ পত্র গ্রহণযোগ্য হবেনা।

৯ সেপ্টেম্বর ২৪

২৭ আগস্ট পর্যন্ত সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও তার সহধর্মীনির পদত্যাগের রেশ কিছুটা দেখা যায়। এরপর থেকে তেমন কোন গুঞ্জন ছিলনা কলেজ বা আন্দোলনকারীদের মধ্যে। তবে, অধ্যক্ষ অপু তার পদত্যাগ ঠেঁকাতে মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতর এবং রাজনীতিবীদদের দোড়গোড়ায় যে গিয়েছেন তা ছিল লোকমুখে। যার প্রতিফলন দেখা গেছে ৯ সেপ্টেম্বর। সে দিন বেলা ১টার কিছু পর উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম, পৌরসভা বিএনপি আহবায়ক শাহাজাহান মেম্বার, পৌর বিএনপি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ন কবির রফিক, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আতাউর রহমানসহ ৭/৮ জনের একটি দল সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু এবং তার সহধর্মীনি দীল আফরোজকে ফুলের মালা পড়িয়ে সম্মানের সাথে কলেজে তার চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে যান। এরআগে, শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বাড়ি গিয়ে ফুলের মালা পড়িয়ে নিয়ে আসেন এবং মোগরাপাড়া বাজার থেকে ফুলের মালা পড়িয়ে ফুল ছিটিয়ে কলেজে প্রবেশ করান। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে স্বপদে বসানোর সময় বিএনপি নেতারা বক্তব্য রাখেন। যেখানে আশরাফুজ্জামান অপু এবং তার পরিবারকে উপজেলার ৫টি পরিবারের একটি স্বনামধন্য পরিবার হিসাবে আখ্যায়িত করেন এবং যারা অধ্যক্ষের অপসারণের বিষয়ে আন্দোলন করেছিল তাদের এবং তাদের পরিবারের সাথে কথা বলেই বিএনপি নেতারা অধ্যক্ষ এবং তার সহধর্মীনিকে ফিরিয়ে আনেন বলে দাবি করেন। 

(প্রিয় পাঠক, এ বিষয়ে দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এবং ফিরিয়ে আনার পিছনের আদ্যপান্ত জানতে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন)


 


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ের দুটি ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটি বিলুপ্তকরা ইউনিয়ন দুটি হলো সাদিপুর ও নোয়াগাঁও।

বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিয়ন কমিটি দুটি বিলুপ্তির কারণ হিসাবে দলীয় আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলে অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকতে সহায়তা প্রদানকে উল্লেখ করা হয়েছে। 

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা ও অনুপ্রবেশকারীদের আধিক্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ও নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

গত ৫ আগস্ট চতুর্থবারের মতো দেশ স্বাধীনের পর যারা লুটপাট-ভাঙচুর, নৈরাজ্য  করেছে তারাই ক্ষমতার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। বিগত সরকার যেভাবে গণহারে মামলা দিয়ে সাধারণ জনগণ, ওলামায়ে কেরামদের হয়রানি করেছিল, ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপি নিরীহ মানুষদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করছে। আর তাদের এ কর্মকান্ড কোনভাবেই তৌহিদ জনতা মেনে নিবে না। তাদেরকে যেকোনোভাবেই হোক প্রতিহত করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন চরমোনাই পীর।

‘মুক্তির মূলমন্ত্র, ইসলামী শাসনতন্ত্র’ এ শ্লোগানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সোনারগাঁও শাখার আয়োজনে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন দাবি আদায়ে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইসলামী দলগুলোর বিকল্প নাই জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী ফয়জুল করীম আরও বলেন, বিএনপি নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বার্থ হাসিলের যে অপচেষ্টা করছে, তা তৌহিদী জনতা কখনোই মেনে নেবে না।  

রাজনৈতিক এ সংগঠনটির সোনারগাঁও থানার সভাপতি হাজী নুরুল আমিন খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, দেশ থেকে এক স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে আর একজন আসার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।  

পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যা প্রচার করেছিল তা সম্পূর্ণই মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, যদি নিজের টাকাতেই পদ্মা সেতু হতো তাহলে পদ্মা সেতুর প্রথম কিস্তির টাকা পরিশোধের সময় আসে কিভাবে, প্রশ্ন রাখেন তিনি। চরমোনাই পীর তার বক্তব্যে কঠোর সমালোচনা করেন বিগত সরকারের দ্বারা ব্যাংকে রাখা সাধারণ জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশের পাচার করার বিষয়ে।

এসময় গণসমাবেশে জুলাইয়ে হত্যাকান্ডের বিচার এবং গত ১৬ বছরে সংঘটিত রাজনৈতিক, প্রশাসনিক হত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার, দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার দাবি জানান তিনি।

এ সভায় ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ দ্বীন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী ইমদাদুল হাসেমী, ইসলামী যুব আন্দোলন এর জেলা সভাপতি মুহাম্মদ যুবায়ের হোসাইন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুক, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ আশরাফ আলী এবং সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget