Halloween Costume ideas 2015

সরকার গঠনের আগেই সোনারগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় দখল করে বিএনপির অফিস


সোনারগাঁও দর্পণ : 

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পাশাপাশি মহাসড়কে সরব হয় বিএনপি ও এর অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। হামলা-ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অফিস ও অফিসে থাকা আসবাবপত্র, বঙ্গবন্ধু ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছবি, ভাষ্কার্যসহ বিভিন্ন স্থাপনা। রাজধানীর কিছু স্থানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দখলে নেয় আওয়ামী লীগ ও এ সংগঠনটির সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ব্যক্তিদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানান প্রতিষ্ঠান। এ সবকিছুর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কার্যালয় দখলে নিয়ে বিএনপি’র কার্যালয় গঠনের। এ থেকে বাদ পরেনি সোনারগাঁও।

এরই অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও পৌরসভার আদমপুর বাজারে অবস্থিত ‘সোনারগাঁও পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়’ এ হামলা ভাঙচুরের পর অফিসটি দখলে নিয়েছে পৌর বিএনপি। দখলে নিয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ডও সেটে দিয়েছে পৌর বিএনপির নেতারা। 

স্থানীয় সূত্র মতে, সোনারগাঁও পৌরসভার পাটালপাড়া এলাকার বিএনপির কর্মী ফিরোজ মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির কয়েকজন সমর্থক গত বুধবার বিকেলে সোনারগাঁও পৌরসভার আদমপুর বাজারে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভেতরে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের বসার টেবিল চেয়ার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের বাঁধা দিলেও কোন লাভ হয়নি। পরের দিন মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সাইনবোর্ড মুছে সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সোনারগাঁও পৌরসভার প্রধান কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়া হয়। 

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় দখলে নেয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের এমন হীন কাজের সমালোচনা ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। 

এতো ঘটনার পরও মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় দখল করার বিষয়ে জানেন না বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাজাহান মেম্বার। তিনি জানান, বিএনপির কেউ কারো কোনো কিছু অন্যায়ভাবে দখল করতে পারবেনা। যদি কেউ অন্যায়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় দখল করে দলীয় কার্যালয় বানিয়ে দলের দুর্নাম করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

অপরদিকে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা দাবি করেন, কিছু নামধারী বিএনপির কর্মী সমর্থক নেতা হওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় ভাংচুর করে দখল করেছে। যারা এই কাজ করেছে তারা কখনো বিএনপির প্রকৃত কর্মী সমর্থক হতে পারেনা। তারা লুটেরা দল। 

এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় অনেকেরই বলেছে, তারা এখনো ক্ষমতায় না এসেই বিভিন্ন স্থানে যে সকল হিংসাত্মক কর্মকান্ড করছে এতে তারা নিজেরাই দলেই ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। 

বিষয়ে  উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যরা কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।


Post a Comment

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget