সোনারগাঁও দর্পণ :
ছাত্রদের তীব্র আন্দোলনে ২৫ আগস্ট পদত্যাগ করা সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও তার সহধর্মীনি এবং গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার দীল আফরোজাকে পূণরায় আগের পদে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করেছে সোনারগাঁও সরকারি কলেজের একাংশের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৭ আগস্ট) সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে তারা এ আন্দোলন করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিতে আসা শিক্ষক—শিক্ষিকাসহ সকল কর্মকর্তা—কর্মচারীদের কলেজের প্রধান ফটকের বাইরে অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, কলেজের কিছু ছাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু এবং তার স্ত্রী গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার দীল আফরোজাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত কলেজে কোন শিক্ষক—শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের প্রবেশ করতে দিবেনা। তাদের দাবি, যে সকল শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে সে দাবির পক্ষে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনকারী ছাত্ররাও একমত ছিল কিন্তু অধ্যক্ষ ও তার সহধর্মীনিকে পদত্যাগের পক্ষে নয়। যারা একদফা দাবি করেছে, তারা কোন রাজনৈতিক দলের ইন্ধনে ব্যক্তিগত আক্রোশে পদত্যাগ করিয়েছে।
অধ্যক্ষ ও তার সহধর্মীনিকে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনকারী সোনারগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, ২৫ আগস্ট আন্দোলনকারী কতিপয় শিক্ষার্থী ছিল। বড় একটি অংশ ছিল কুমিল্লা, ফেনীসহ বন্যায় দুর্গতদের সাহায্যে ত্রাণের টাকা সংগ্রহের কাজে। আর সে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বড় কোন শক্তিশালী ইন্ধনে ব্যক্তিগত আক্রোশে স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে অধ্যক্ষ এবং গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার দীল আফরোজাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়েছেন যা দেশের সাংবিধানিক আইনের পরিপন্থী।
তাই অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু ও গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার দীল আফরোজাকে পূণরায় আগের পদে ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত কলেজর সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখবে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ৮ দফা দাবিতে দুর্নীতির যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে প্রত্যেকটি অভিযোগের সত্যতা তাদের কাছে দিতে হবে। আর তাদের ৮ দফা দাবির সত্যতা পেলে অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনকারীরা তাদের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করবে বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এবং গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের একটি কাগজ আমি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে। এখানে আমাদের কোন কিছু করার নেই। যা কিছু করার তা মন্ত্রণালয় করবে। বে সরকারী হলে হয়তো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদাধিকার বলে সভাপতি হিসেবে আমাকে নিয়ে আইনসম্মত কোন সিন্দান্ত দিতে পারতেন। আর এটি একতটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। তদন্তের ব্যাপার।
Post a Comment