সোনারগাঁও দর্পণ :
দীর্ঘ প্রায় ৪০ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবেশেষে মৃত্যুর কাছে পরাজিত হলো রাকিব। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাকিব সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের বড় ছেলে এবং গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রক্সি’র বড় ভাই। এরআগে, গত বুধবার রাতে ডিবি পুলিশের ভয়ে পালানোর সময় ছাঁদ থেকে পরে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। পরে প্রথমে তাকে মদনপুর আল-বারাকা হাসপাতালে তারপর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রয়াত রাকিবের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, গত ৫ এপ্রিল বুধবার রাত পৌনে একটার দিকে রাকিব ও তার ঘনিষ্ট বন্ধু মুন্না ও ফুপাতো ভাই-বোনসহ কয়েকজন মিলে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কাদিরগঞ্জ বাগানবাড়ি এলাকায় তার ফুপুর ভাড়া বাসায় বসে আইপিএল খেলা দেখছিলেন। রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় বন্ধু মুন্না বিদায় নিয়ে মোগরাপাড়া গোহাট্টা এলাকায় বাড়ির উদ্দেশে বেরিয়ে যায়। পথে মোগরাপাড়া এলাকার সোনারগাঁও সরকারি কলেজের সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল মুন্নাকে সন্দেহজনক হিসেবে আটক করে পরিচয় জানার পাশাপাশি আসার অবস্থান ও গন্তব্যের বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি রাকিবদের ফুপুর বাড়ির কথা জানায়। ডিবি পুলিশের দল মুন্নার কথা যাচাই করতে মুন্নাকেসহ রাকিবের ফুপুর বাড়ি কাদিরগঞ্জ বাগানবাড়ি যান। সে সময় তার ফুপাতো বোন দৌড়ে গিয়ে বাড়িতে ডিবি পুলিশ আসার কথা রাকিবকে জানায়। রাকিব কোন কিছু না ভেবে ভয়ে পালাতে গিয়ে ছাঁদ থেকে পরে আহত হোন। পরে ডিবি পুলিশ চলে যাওয়ার পরও তার কোন সন্ধান না হওয়ায় তার মোবাইল ফোনে কল করলে বাড়ি পিছনে মোবাইল বাঁজতে শুনে সেখানে তার পরিবারের লোকজন যায় এবং তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।
পরিবারের লোকজন সাথে সাথে তাকে প্রথমে মদনপুর আল বারাকা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা দ্রæত ঢাকা পাঠিয়ে দেন। পরে তাকে রাজধানীর পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আজ সন্ধ্যায় রাকিব মারা যায়।
Post a Comment