সোনারগাঁও দর্পণ ঃ
ঘুষ দিয়ে মহাসড়কে সিএনজি চলার প্রতিবাদে মহাসড়কে বাঁশ ফেলে অবরোধ করে প্রায় দুইশো অটো চালক। এতেই আঁতে ঘাঁ লাগে সিএনজি চালকেদের। অটোচালকদের সাথে মহাসড়কেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ঘটনাটি ঘটে দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিপরীতে নির্মানাধীন ইকোমিক জোনের সামনে।
অটোচালকদের অভিযোগ, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশকে সিএনজি চালকেরা প্রতিমাসে ১২শ টাকা থেকে ১৫শ টাকা ঘুষ দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি চলতে দেয়। আর অটোচালকেরা কোন কারণে মহাসড়কে উঠলেই তাদের অটো ধরে নিয়ে যায়। কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের চাহিদা মতো টাকা দিলে ছেড়ে দেয়। না দিলে গাড়ি ডাম্পিংয়ে দিয়ে দেয়।
দিনের পর দিন এমন ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ফুঁসে উঠেছে সোনারগাঁও উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে চলাচলকারী বিভিন্ন এলাকার অটোচালকরা। তারা দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিপরীতে জড়ো হয়ে নির্মানাধীন ইকোমিক জোনের বিপরীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাঁশ ফেলে বেরিকেট দিয়ে মহাসড়কে চলাচল করা যানবাহন আটকিয়ে দেয়। পরে মহাসড়ক অবরোধ করে সেখানে অবস্থান নেয়। এতে করে মহাসড়কে দীর্ঘ যানটজের কবলে পরে বিভিন্ন যানবাহনে থাকা হাজার হাজার যাত্রী। এভাবে তারা প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। পরে দুপুর ২টার দিকে অভিযুক্ত কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঈদের আগে তারা (কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ) আর কোন অটো ধরবেনা এমন আশ্বাস দিলে মহাসড়ক থেকে চলে যায় প্রতিবাদে নামা অটোচালকেরা।
অটোচালকেরা আরও জানায়, প্রতিটি সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ১২শ থেকে ১৫শ টাকা করে মাসোয়ারা নেয় কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ। এই টাকা তুলতে সিএনজি চালকের দুই একজন সহযোগিতা করে। যদি কোন চালক টাকা দিতে দেরি হয় তাহলে তার সিএনজিও ধরে নিয়ে অতিরিক্ত টাকা ঘুষ দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে হয়।
এদিকে অটোচালকদের দাবি, সিএনজি চালকেরা যদি প্রতিমাসে মাসোয়ারা দিয়ে মহাসড়কে অবাঁধে সিএনজি চালাতে পারে, তাহলে অটোচালকেরা কেন ঘুষ দিয়ে তাদের কর্ম করতে পারবেনা।
অটোচালকেরা হুশিয়ারী দেন, যদি কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ টাকা চায় তারা টাকা দিবে, কিন্তু টাকা দিয়ে সিএনজি চললে আর অটো চলতে না দিয়ে এর ফল ভালো হবেনা।
এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের টিআই (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) মোস্তাফিজ বলেন, অটোচালকেরা মাসোয়ারা নেয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, মনগড়া।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চৌরাস্তাসহ মহাসড়কে কোন স্ট্যান্ড রেখে যেন কেউ মহাসড়কে কোন সিএনজি চালাতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছি।
Post a Comment