সোনারগাঁও দর্পণ :
স্ত্রী’বিউটি আক্তার পৈতৃক ও ক্রয় সূত্রে জমির মালিক। স্বামী রফিকুল ইসলাম নান্নু সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি। বিউটি আক্তারকে মামলা দিলে যুবলীগ সভাপতি স্বামী হয়তো রাজনৈতিক প্রভাব দেখাবে। শুধুমাত্র এমন ধারণা থেকেই উপজেলা সভাপতি নান্নুকে মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলায় আসামী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে সোনারগাঁওয়ের চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন শেষে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র সাথে এমন দাবি করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু। সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করে উপজেলা যুবলীগ।
নান্নু জানান, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চরমেনিখালি মৌজায় (বর্তমানে হাবিবপুর মৌজায়) এস,এ- ৯ ও ১১ এবং আর,এস- ১১৮ ও ৬ নং খতিয়ানে এস,এ-৯৭, ৯৮, ৯৯ ও ১০০ আর,এস- ৭৯ ও ৮০ দাগে ৮ শতাংশ জমি তার স্ত্রী বিউটি আক্তার এর নামে। জমিটি তার স্ত্রী বিউটি আক্তার ও অন্যান্য ওয়ারিশরা পৈতৃক এবং ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভোগ দখল করছে। সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেসী মহল জমিটিতে ভবন নির্মাণ করতে গেলে জমির মালিক বিউটি গংরা বাঁধা দেয়।
এ নিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত বৈঠকে একটি সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের ফয়সালা না মেনে স্বার্থান্বেসী মহলের প্ররোচনায় সামসুলের ছেলে শরিফ হোসেন নান্নু’র বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে গত ২৮ জানুয়ারি একটি মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলা (মামলা নং ১১২৫/২০২৩) দেন। অথচ ওই সম্পত্তির সাথে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নান্নু’র কোন সম্পৃক্ততাই নেই বা বাদী শরীফ হোসেনসহ কারো সাথে কোন রকম বাক-বিতন্ডাও হয়নি। এ মামলা হওয়ায় তিনি সাংগঠনিক, রাজনৈতিক ও সামজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে দেয়া মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলার তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন ও জমির মালিক মোসা: বিউটি আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
Post a Comment