নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের কর্মী সম্মেলনে শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি উপেক্ষা করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে অর্ধ-শত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কর্মী সম্মেলনটি পন্ড হয়ে যায়।
উপজেলায় আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে পর্যায়ক্রমে ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় কর্মী সম্মেলনের ধারাবাহিকতায় আজ শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কর্মী সম্মেলন হওয়ার কথা ছিলো। সম্মেলনটি সংঘর্ষ'র কারনে পন্ড হয়ে যায়।
২৫ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে এলাহী নগর ঈদ্গাহ মাঠে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম।
উল্লেখ্য, সম্মেলন শুরুর এক পর্যায়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সিদ্দিক মোল্ল্যা গত ইউনিয়ন নির্বাচনের পরবর্তি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেয়ার এক পর্যায়ে নাছির মেম্বারের লোকজন সিদ্দিক মোল্লাকে বকাবকি করলে সিদ্দিক মোল্লার লোকজন নাছির মেম্বারের লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। এতে উভয় গ্রুপের লোকজন বসার চেয়ার নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে মঞ্চে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করলেও দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা উপেক্ষা করেই সংঘর্ষ চালিয়ে যায়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়।
এ ব্যাপারে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সিদ্দিক মোল্লা জানান, নাছির মেম্বারের লোকজন ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার বক্তব্যের সময় আমাকে বকাবকি করে আমারই নেতাকর্মীদের মারধর করেছে।
জানতে চাইলে আওয়ামীলীগ নেতা নাছির মেম্বার জানান, সিদ্দিক মোল্লার লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার লোকজনকে মারধর করেছে। এটা তাদের আগেরই প্ল্যান ছিলো।
সংঘর্ষের ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমরা পরবর্তিতে বসে এ সমস্যার সমাধান করবো।
Post a Comment