সোনারগাঁও দর্পণ :
পরাজয়ের ব্যবধান অনেক। ১৩২ জন ভোটারের মধ্যে সকলেই ভোট দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে। নির্বাচনে অন্যান্য কোন প্রার্থীই কারো নজরে ছিলনা। সবারই নজর ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহŸায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী হাতি প্রতীকের মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক তালা প্রতীকের আবু নাঈম ইকবালের দিকে। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৭ অক্টোবর সোমবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সোনারগাঁও জি আর ইনস্টিটিউট ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে তালা প্রতীক পেয়েছে ৮৩ ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব হাতি পেয়েছে ৪৯ ভোট। অর্থাৎ ৩৪ ভোটের ব্যবধানে কুপোকাত হাতি।
যদিও নির্বাচনের অনেক আগেই অনেককে বলতে শোনা গেছে যে, জেলার একটি বিশেষ পরিবারের সাথে মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম এবং তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান কালামের সম্পর্ক ভালো না থাকায় এর একটি বিরূপ প্রভাব পরতে পারে এ নির্বাচনে। অবশেষে সে শঙ্কাই বাস্তবে রূপ নিল।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের সোনারগাঁ উপজেলার ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে মোট ৫ জন প্রার্থী থাকলেও লড়াই হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টি ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা সমর্থীত জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক তালা প্রতীকের আবু নাইম ইকবাল ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থীত প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হাতি প্রতিকের মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের মধ্যে।
নির্বাচনের ফলাফলের পর বাঁধ ভাঙা উল্লাসে মেতেছিল তালা প্রতিকের সমর্থক ও ভোটাররা। অপরদিকে আওয়ামী লীগ দূর্গে ছিল সুনশান নিরবতা। যদিও হাতি প্রতিকের পরাজয়কে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা জাতীয় পার্টির কাছে উপজেলা আওয়ামী লীগের পরাজয়ের সাথে তুলনা করেছেন নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
কেউ আবার এ পরাজয়ের কারণ হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থকে চরিতার্থ করা নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়কেই দায়ি করেছেন অনেকে। তারা বলেছে, এ নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগকে ভবিষ্যত নির্বাচনের জন্যে ঢেলে সাজিয়ে তথা শক্তিশালী একটি কমিটি গঠন না করতে পারলে হয়তো ভবিষ্যতে আরো খারাপ দিন দেখতে হবে উপজেলা আওয়ামী লীগকে।
Post a Comment