সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ। সুনামের সাথে জনপ্রতিনিধি হয়ে জনসেবা করেছেন দীর্ঘ সময়। এবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে শেষ সময়ে ভীমরতি না-কি পেয়েছে তাকে! অভিযোগ উঠেছে, টাকা ছাড়া কোন সেবাই পাননা শম্ভুপুরাবাসী। ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ট্রেড লাইসেন্স,জন্মসনদ, জন্ম ও মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সার্টিফিকেটসহ নানা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে। এসব সনদ নিতে গেলে সরকারি নির্ধারিত ফি'র অতিরিক্ত ফি প্রদানে সেবা গ্রহণ করতে যাওয়া এলাকাবাসীকে বাধ্য করা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পরতে হচ্ছে বিদেশগামী ও নতুন জাতীয় পরিচয় তৈরি করতে আগ্রহীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি'র সাধারণ সদস্য এবং ভুক্তভোগী জানান, ২০০-৩০০ -৫০০ টাকা ছাড়া মেলেনা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদপত্র। আর বিদেশে যেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে এ টাকা আদায় হয় পাচ থেকে দশ হাজার টাকা। এছাড়া অন্যান্য সেবা বিড়ম্বনায় প্রতিদিন হয়রানী ও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারন মানুষ। এ সকল অনিয়ম ও অপরাধের প্রতিবাদ করতে গেলেই নানারকম হয়রানি হতে হয় প্রতিবাদকারীদের। এমনকি ভয়-ভীতি আর হুমকি-ধমকী দেয়া হয় দেয়া হয় সেবা নিতে যাওয়া ব্যক্তিদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক ইউপি সদস্য জানান, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদে তারা এর আগে কখনো এমন অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখেননি। সরকার ইউনিয়ন পরিষদের সেবা সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। অথচ সাধারণ মানুষ তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা এ থেকে পরিত্রাণ চান।
এ বিষয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নপরিষদ সচিব মোঃ মহিউদ্দিন দেওয়ানকে ফোন করলে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সবকিছুই অকপটে স্বীকার কর বলেন, তাদের ইউনিয়ন পরিষদে যা হচ্ছে সব কিছুর বিষয়ে আব্দুর রউফ চেয়ারম্যান অবগত আছেন। তার বিনা অনুমিতে কোন কাজই হয় না।
এ বিষয়ে আব্দুর রউফ চেয়ারম্যানের সাথে কথা বডলতে চাইলে তিনি কথা বলতে চাননি। যদিও পরবর্তিতে ইউপি'র ১নং ওয়ার্ডের সদস্য সাবেদ আলীকে দিয়ে তার অনিয়ম ও দূর্নীতি প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন।
তবে ভুক্তভোগীরা এই সব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার ও অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ইউনিয়নবাসী।
Post a Comment