সোনারগাঁও দর্পণ :
সম্প্রতি সোনারগাঁওয়ে আলোচিত শিশু হুমায়রা (৭)’র ভাই সজিবকে ফাঁসাতেই শিশু হুমায়রাকে হত্যা করা হয়। র্যাব-১১’র সদস্যদের হাতে সোমবার মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার হওয়া উদয় ও শুক্কুর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর সিপিসি ১ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার এ কে এম মুনিরুল আলম।
এরআগে, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার মুন্সীগঞ্জ সদর থানার দক্ষিণ কেওয়ার এলাকা হতে মামলার প্রধান আসামী পিরোজপুর ইউনিয়নের চেংগাকান্দি এলাকার মৃত হাসন আলীর ছেলে শুক্কুর আলী (৫০) ও শুক্কুর আলীর ছেলে সেলিম মিয়া ওরফে উদয়(২২)’কে গ্রেফতার করে র্যাব-১১’র সদস্যরা।
র্যাব-১১ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানাগেছে, নিহত হুমায়রার ভাই সজীবের সাথে সজিবের ভায়রা আসামী সেলিম মিয়া ওরফে উদয় (আসামী মোছাঃ বৈশাখী আক্তারের ভগ্নিপতি) এর বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে সেলিম সজিবের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে হুমায়রাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘাতকেরা। পরিকল্পনায় সেলিম তার শ্যালিকা ও হুমায়রার ভাবি বৈশাখীকে ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার করে। অপরদিকে, বৈশাখীর সাথে তার শশুরবাড়ীর লোকজনের পারিবারিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় শশুরবাড়ির লোকদের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল বৈশাখী।
তাই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হুমায়রাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বৈশাখী তার বোনের স্বামী আসামী সেলিমের কাছে হুমায়রাকে তুলে দিয়ে শশুরবাড়িতে গিয়ে প্রচার করে যে হুমায়রা হারিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি বের শিশু হুমায়রার পরিবার।
এদিকে, আসামী সেলিম তার অন্যান্য সহযোগিদের নিয়ে শিশু হুমাইরাকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রাখে।
পরে নিখোঁজের দুইদিন পর তার লাশ সোনারগাঁও থানার পিরোজপুর ইউনিয়নের বড় নয়াগাঁও এলাকায় একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের বালুর মধ্যে অর্ধেক পুঁতে রাখাবস্থায় পাওয়া যায়। পরে গত শুক্রবার নিহতের মা সেতেরা বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করে। যেখানে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে ঘটনার দিন নিহত হুমায়রার ভাবি বৈশাখী আক্তার ও বৈশাখীর মা মনোয়ারা বেগমকে মামলা আসামী করে আদালতে পাঠায় সোনারগাঁও থানা পুলিশ।
Post a Comment