সোনারগাঁও দর্পণ :
১ লা মে বিশ্ব মে দিবস। দিবসটি বিষয়ে সচেতন কোন ব্যক্তি জানেননা এমন কাউকে পাওয়াটাও দুষ্কর হয়তো। তবে, মে দিবসের বিষয়ে ওয়াকিবহাল হলেও শ্রমিকদেরকে জোর করে কাজ করাতে বাধ্য করেছে দেশের অন্যতম খ্যাতনামা মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান রবি’র সোনারগাঁও শাখা ডিষ্ট্রিবিউটর শাওয়াকিন ডিষ্ট্রিবিউটর। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তাদের যে বেতন ও বোনাস দেয়ার কথা, প্রতিষ্ঠান মালিক তা না দিয়ে, উল্টো ডিসেম্বর মাসের শ্রমিকদের হিসেবে ভুল দেখিয়ে বেতন থেকে টাকা কেটে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক শ্রমিক। ফলে একদিকে তাদের বেতন ও বোনাস না দেয়ার পাশাপাশি উল্টো বেতন কেটে রাখায় ঈদ আনন্দ নেই রবি’র সোনারগাঁও শাখা ডিষ্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠান শাওয়াকিন ডিষ্ট্রিবিউটর শ্রমিকদের। সোনারগাঁও দর্পণ’র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এমন অমানবিক আচরণের বিচার চেয়েছেন অবহেলিত ও বেতন বঞ্চিত শ্রমিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রবি’র সোনারগাঁও শাখা ডিষ্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠান ‘শাওয়াকিন ডিষ্ট্রিবিউটর’র একাধিক শ্রমিক গত রোববার সোনারগাঁও দর্পণ’কে ফোন করে জানায়, ১ লা মে বিশ্বের সকল শ্রমিকদের কাজ আন্তর্জাতিকভাবে বন্ধ থাকলেও রবি’র সোনারগাঁও শাখার ডিষ্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠান ‘শাওয়াকিন ডিষ্ট্রিবিউটর’র এর মালিক ফরিদ, রেজাউল ও শাহিন তাদের প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের কাজ বন্ধ না রেখে তাদের নির্দেশে ম্যানেজার আল-আমিন ১লা মে’তে তাদের ১২ জন এস আর এবং সুপারভাইজারসহ আরো ৪ জন কর্মকর্তাসহ মোট ১৬ জন শ্রকিককে বিকাল পর্যন্ত কাজ করাতে বাধ্য করেছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের চলতি মাসের কোন বেতন বা ভাতা না দিয়ে বিদায় করেছে মালিক পক্ষ। শ্রমিকরা বেতন চাইলে শ্রমিকদের ডিসেম্বর মাসের কাজের হিসেবে কিছু ভুল ছিল এবং চলতি মাসের বেতন থেকে সে জরিমানা কর্তন করায় এ মাসে কেউ কোন বেতন - বোনাস পাবেনা বলে জানায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
এ সময় কয়েকজন প্রতিবাদ করলে এ নিয়ে কোন কথা বললে তাদের চাকুরি থাকবেনা বলেও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করে বেতন বঞ্চিত শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে রবি’র সোনারগাঁও শাখার আগের ডিষ্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠান ‘প্রাইম ডিষ্ট্রিবিউটর’ এর মালিক রবিন আহম্মেদ এর কাছে জানতে চাইলে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’কে তিনি জানান, আমি যতদিন ডিষ্ট্রিবিউটর ছিলাম দেখেছি, রবি সবসময় যথাসময়েই তাদের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস প্রদান করে। আমিও কমপক্ষে ঈদের দুই দিন আগেই সকল শ্রমিকদের বেতন বোনাস দিয়ে দিতাম। কিন্তু আজ আমার কাছে কয়েকজন ছেলে আসছিল এবং তারা জানায়, বর্তমান ডিষ্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠান তাদের কোন বেতন-ভাতা না দিয়ে উল্টো ডিসেম্বর মাসে তাদের হিসেবে কি ভুল হয়েছে জানিয়ে বেতন কর্তন করে। শ্রমিকদের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, ডিসেম্বরের হিসেবে কোন সমস্যা হলে এতো দিন না জানিয়ে ৪ মাস পর ঈদের আগে কেন এমনটা করলো ? করলে আগেই করতো ? এছাড়া এতোদিন এ বিষয়েও কিছু জানায়নি শ্রমিকদের। যা সত্যিই অমানবিক বলে আমার কাছে মনে হয়।
এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে, ডিষ্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম মালিক ফরিদ মোবাইলে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’কে জানান, গত শনিবার সকল শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ করে সকলকে ঈদের ছুটি দিয়েছেন। ১ লা মে কোন শ্রমিক কোন রকম কাজ করেনি। তথ্যটি ঠিক নয়। তাহলে তাদের অফিস কেন আজ চালু এবং শ্রমিকরাইবা কেন মাঠে কাজ করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
Post a Comment