নিজের ব্যাক্তিগত ব্যার্থতার দায় স্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ কররেছেন গত মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বিপুল ভোটে বিজয়ী চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু।
সোমবার ( ১৬ মে ) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি তার এ পদত্যাগ'র সিদ্ধান্ত'র কথা জানান।
আরিফ মাসুদ বাবুর পারিবারিক আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাস ৬০ বছরের উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে থেকে বঙ্গবন্ধুর সাথে তার বাবা সাবেক এম সি এ প্রয়াত এডভোকেট সাজেদ আলী মিয়ার ঘনিষ্ঠ সহচারি হিসেবে কাজ করার কথা জানান।
তিনি বলেন তার পরিবারের রাজনৈতিক জীবনে সাজেদ আলী মিয়া ছাড়াও তার ছোট চাচা মোবারক হোসেন দেশের সর্বপ্রথম নৌকা প্রতিকের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ ছিলেন। তার আরেক ভাই প্রয়াত আবুল হাসনাত আমৃত্যু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে গেছেন। তার আরেক চাচাতো ভাই সোনারগাঁওয়ের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও ন্যায়বিচারক হিসেবে সুখ্যাত চেয়ারম্যান প্রয়াত মোশাররফ হোসেনও আমৃত্যু আওয়ামী লীগ রাজনীতি করেছেন। তারা কখনো দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোন কাজ করেননি।
বাবু জানান, তার রাজনৈতিক ও ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি এমন কোন কাজ বা আচরণ করেননি যা দল, ব্যক্তি এবং পারিবারিক ইমেজ নষ্ট হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমত্রী শেখ হাসিনার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে জানিয়ে বাবু আশংকা করেন, হয়ত তার অজান্তে কোন ভুলের কারণে তিনি এবার মনোনয়ন পাননি বা তার কর্মকাণ্ডে দল সন্তুষ্ট নন বলে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন।
তাই যেহেতু তিনি দলের জন্য অযোগ্য সেহেতু দলের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাও অযোগ্য মনে করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং পদত্যাগ করেন। তবে আমৃত্যু আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে নিশ্বার্থভাবে কাজ করে যাবে বলেও ঘোষণা দেন।
Post a Comment