সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁওয়ের রাজনৈতিক ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বলছি। জনগণের মনের ইচ্ছা বুঝার চেষ্টা করুন। চৌরাস্তা এলাকার থানা সড়কের নিত্যদিনের তীব্র যানজট নিরসনে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। পবিত্র মাহে রমজানে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগই প্রমাণ, ইচ্ছা থাকলে যানজট কেন ? সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যে কোন কাজেই সফল হওয়া যায়।
এটাতো নিশ্চিত যে, অন্ততপক্ষে রমজান মাসে কোন মানুষ যানজট চাননা। তারা চান নির্ভিঘেœ ও যথাসময়ে স্ব-স্ব স্থানে পৌছাতে। সাধারণ জনগণ চাননা তীব্র যানজটে থেকে ২ মিনিটের রাস্তা ২০ থেকে ৩০ মিনিটে যেতে। যদিও কালেভদ্রে দেখা যায়, কোন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা প্রভাবশালী কেউ রাস্তায় বাঁশ বা কিছু ফেলে বা লাঠি হাতে দাড়িয়ে যানজট নিরসনে বিশেষ কিছু করার প্রাণপন চেষ্টা করতে। শুধুমাত্র ফটোশেসন করে এসব লোক দেখানো কার্যক্রম বন্ধ করুন। মানুষ এসব দেখতে চাননা। তারা চান প্রকৃতপক্ষে সোনারগাঁওয়ের যে সকল এলাকায় প্রতিদিন যানজটের কবলে পরে মানুষ কষ্ট পায় তা নিরসনের।
সাধারণ পথচারী, বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’ মনে করে, সরু সড়কে অতিরিক্ত মিশুক,সিএনজি আর অটোরিক্সার উপস্থিতির সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালামাল আনা নেয়ার কাজে ব্যবহৃত বড় বড় যানবাহন, সড়কের পাশে দাড়িয়ে রেখে দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য মালামাল উঠা-নামা করা এবং গাড়ি রাখার জন্য নির্দিষ্টস্থান না থাকায় সরু সড়কের বড় একটি অংশ দখল করে যানবাহনের স্ট্যান্ড তৈরি করা আর বিভিন্ন দোকানের সামনের অংশে মানুষ চলাচলের স্থানে ফুটপাত বসানোই এ যানজটের মুল কারণ।
সাধারণ মানুষ মনে করে, সর্বোচ্চ সাড়ে ৬ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার বেশি কোন গাড়ি দিনের বেলায় যেন থানা রোডে চলাচল করতে না পারে, সে লক্ষ্যে চৌরাস্তা সড়কের মাথায় এবং পিঠাওলির পুল এলাকায় বাঁশ বা লোহা দিয়ে ব্যরিকেট তৈরি করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বড় বড় যন্ত্রদানবগুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ত্রিবর্দী পুরান সড়ক দিয়ে যাদুঘর ১নং গেইট হয়ে শহীদ মজনুপার্ক দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করাতে পারলে যানজট ৫০ ভাগ কমে যাবে। এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মালামাল যেন রাত ৮ টা বা ৯ টার আগে রাস্তার পাশে যানবাহন রেখে উঠা-নামা করতে না পারে তা নিশ্চিত করা। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা কার্যকর করা। আর ফুটপাত থেকে অজাচিত দোকান পাট তুলে দেয়া।
যদিও এসব ক’টি বিষয়ের সাথে কোন না কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি, প্রশাসনের অসাধু কোন না কোন ব্যক্তি বা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাসোয়ারা লেনদেনের কথা স্থানীয় এলাকার বাতাসে উড়ে। তবে, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে হলে সাধারণ মানুষের মনের কথা বুঝে, রমজান মাসে নিজের স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে একটু কঠোর হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্ট সকলে এগিয়ে আসবে এটাই সাধারণ মানুষ মনে করে।
Post a Comment