সোনারগাঁও দর্পণ :
গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দিতে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও এফবিসিসিআই নেতা এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের লোকজনের হাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহামুদুল হাসান দুলালকে নাজেহালের ঘটনার ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই উপজেলার রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি সকলের মুখে মুখে। সকলের একটাই প্রশ্ন হামলার নেপথ্যে মুলত কি ? আসলেই চাঁদা না জমি দখলে বাঁধা।
যদিও ঘটনার পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহমুদুল হাসান দুলাল বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ করেন। যে অভিযোগে এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ৬ জনকে আসামী করা হয়।
মাহামুদুল হাসান দুলাল অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের জাইদেরগাঁও এলাকায় অবস্থিত ডিপলেড ওয়্যার লিঃ এর সুপারভাইজার। গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃতে বড় ভাই এসএম জামাল উদ্দিন, তার ভাগিনা মামুন, খোরশেদ, জসিম উদ্দিন ও সাগরসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৬ জন জোর পূর্বক ডিপলেড ওয়্যার লিঃ এর ভেতরে প্রবেশ করে প্রথমে কোম্পানীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে। এক সময় তারা ৩০ লাখ চাঁদা দাবি করেন। এমন খবর পেয়ে তিনি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যান। তাকে ঘটনাস্থলে দেখামাত্রই উল্লেখিত ব্যক্তিরা সন্ত্রাসী স্টাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দুলালকে মারপিট শুরু করে।
অপরদিকে, ‘সোনারগাঁও দর্পণ’ এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে। তাদের প্রায় সকলেরই একই দাবি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ্রওই নেতারা জানান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার ছোট ভাই সনমান্দি ইউনিয়নের পর পর দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। চাঁদা চাওয়ার যে কথাটি উঠেছে তা কতটুকু সঠিক সে বিষয়ে সন্দিহান। দবে, বিষটি তদন্ত হওয়া উচিৎ।
এ দিকে, এসএম জাহাঙ্গীরের সাথে কথা হলে তিনি দাবি করেন, ডিপলেড ওয়্যার লিঃ তার জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে তিনি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে বাঁধা দেন। চাঁদা দাবির কোন প্রশ্নই আসেনা।
Post a Comment