Halloween Costume ideas 2015

যুবলীগ নেতার চোখ তুলে ফেলার নির্দেশ, কে এই গাজী মোবারক


সোনারগাঁও দর্পণ : 

যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলামের চোখ উপড়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন গাজী মোবারক ওহেনুর নামে এক সৌদি প্রবাসী।  সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার নিজের ফেসবুক লাইভে এসে নদী খনন নিয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কাফুরদী এলাকাবাসীদের এ নির্দেশ দেন তিনি।

নিজেকে আসন্ন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এবং উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কর্মকাণ্ড নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন। তারা (নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি) আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন এমন মন্তব্য করে গাজী মোবারক নিজেকে এলাকার একজন প্রভাবশালী বলেও পরিচয় দেন। ২৭ মিনিটের কিছু বেশি সময় ধরে লাইভে কথা বলা গাজী মোবারক তার বক্তব্যে আরো বলেন, তিনি কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পছন্দ করেননা। তিনি তার ৯ নং ওয়ার্ডে কোন রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে দেবেননা। কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে প্রয়োজনে সে সন্ত্রাসীকে মেরে চোখ উপড়ে ফেলার নির্দেশ দেন এবং উপড়ে ফেলা সে চোখ প্যাকেট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌছে দেবেন বলেও ঘোষণা দেন। এক সময় তিনি কাফুরদী এলাকার থানা যুবলীগ নেতা রবিউল হুসাইনের নাম উল্লেখ করেন এবং সম্প্রতি কাইকারটেক হাট নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করে রবিউল অনেক বাড় বেড়েছে জানিয়ে তার চোখ উপড়ে ফেলার নির্দেশ দেন। যদিও তার বক্তব্যে কদাচিৎ সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা এবং থানা পুলিশকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন কথাও বলেন।

কে এই গাজী মোবারক

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানায়, সৌদি আরবের জেদ্দা প্রবাসী গাজী মোবারকের বাবার নাম গাজী কনিনুর। স্থানীয়ভাবে তিনি কয়ের সাব নামেই পরিচিত।  তারা ৪ ভাই ৩ বোন। ভাইদের মধ্যে মহাসিন, মোবারক এবং আসলাম প্রবাসী জীবন কাটাচ্ছেন প্রায় সতেরো থেকে আঠারো বছর। প্রায় ১৫/১৬ বছর আগে তার বোন নার্গিসের বিয়ে হয় শম্ভুপুরা ইউনিয়নের একরামপুর গ্রামে। নার্গিসের শশুরবাড়িতে সংগঠিত এক ঝামেলা নিয়ে তার বাবা কহিনুরকে নার্গিসের শশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে রাম গোবিন্দেরগাঁও এলাকার জমিতে। এ ঘটনার আগে থেকেই তারা তিন ভাই বিদেশ চলে যান। 

বর্তমানে গাজী হারুন নামে তার এক ভাই ব্যবসা করেন কাইকারটেক হাট জামে মসজিদের পাশে। হারুন রাজনৈতিকভাবে এক সময় জামায়েত ইসলামের রাজনীতি করতেন এবং একটি মাদ্রাসাও চালাতেন। জামায়াতের বর্তমান অবস্থা প্রতিকুল হওয়ায় ব্যবসা করেন। এরআগেও গাজী মোবারক ফেসবুক লাইভে এসে দাম্ভিকতা এবং প্রতিহিংসামুলক বক্তব্য রাখেন বলে এলাকাবাসী জানান। এ নিয়ে কাফুরদী এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

এ ব্যাপারে লাইভে এসে যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে ফেলার নির্দেশদাতা গাজী মোবারকের সাথে অনলাইনে সোনারগাঁও দর্পণ যোগাযোগ করতে চাইলে তা করা সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু সোনারগাঁও দর্পণ’কে জানান, বিষয়টি রবিউল আমাকে এখনো কিছু জানায়নি। যদি সে এ বিষয়ে আমার সহযোগিতা চায় তাহলে আইনানুগ যে কোন সহযোগিতা করতে আমি প্রস্তুত।


Post a Comment

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget