সোনারগাঁও দর্পণ :
দাবিকৃত ঘুষের টাকা না পেয়ে আফজাল হোসেন নামে ব্যবসায়ীর ড্রেজার পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্না’র বিরুদ্ধে। সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের দৌলরদি ছটাকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ড্রেজারে আগুন দেয়ার ঘটনায় ড্রেজারের দুটি ইঞ্জিন, ৫ ড্রাম তেল ও শ্রমিকদের বিভিন্ন কাপড়সহ কমপক্ষে ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অভিযোগে ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন জানায়, তিনি ড্রেজারের সকল বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ড্রেজার ব্যবসা করছেন। সম্প্রতি বারদী এলাকায় একটি কোম্পানীর বালু ভরাটের কাজ পান এবং বালু ফেলার জন্য পাইপ বসান। বিষয়টি এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না জানতে পেরে বৃহস্পতিবার এসিল্যান্ড অফিসে ডেকে নিয়ে সার্ভেয়ার নুরে আলমের সামনে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় এসিল্যান্ড সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ি চালক আবু মিয়াকে দিয়ে ড্রেজারে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে ড্রেজারের দুটি ইঞ্জিন, ৫ ড্রাম তেল ও শ্রমিকদের বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ প্রায় ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আফজাল হোসেনের দাবি, ড্রেজারের বৈধ কাগজপত্র আছে জানালে অকথ্য ভাষায় গালমন্দও করেছে এসিল্যান্ড। তিনি বলেন, কাগজপত্র দেখে অবৈধ হলে জেল-জরিমানা করতে পারতেন। কিন্তু আইনের লোক হয়ে তিনি নিজেই আইন হাতে তুলে নিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছেন।
ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্নার দাবি, অবৈধ কাজে ব্যবহার করায় ড্রেজারটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মালিককে দু’দিন আগে ড্রেজার সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও সে সরিয়ে নেয়নি। এমনকি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পাওয়ায় ড্রেজারে আগুন দেওয়া হয়েছে।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী ঘটনাটি শোনেননি বলে জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে এসিল্যান্ড নিজে ড্রেজারে আগুন দিতে পারেন না বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ।
Post a Comment