সোনারগাঁও দর্র্পণ :
জামিন পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনিসহ অভিযুক্ত তার ২৬ জন অনুসারি। সম্প্রতি সোনারগাঁওয়ের ঐতিহাসিক কাইকারটেক হাটের ইজারা নিয়ে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি’র অনুসারি দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে থানায় দায়ের হওয়া মামলায় জামিন তারা পান। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী ) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিষ্ট্রেট নুর নাহার তাদের এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
সোহাগ রনি ছাড়া জামিন পাওয়া সোহাগ রনি’র অন্য অনুসারিরা হলো- সোহাগ রনি’র ভাই সোহেল (৩৬), চাচা শাহ আলম, তার বাবা শাহজামাল তোতা (৫৩), সিরাজুল ইসলাম সজল (৩২), আলমগীর (৪৩), মিন্টু (৪২), পারভেজ (৩৫), লিজন (২৮), আলাউদ্দিন (৫৬), মিঠু (৪২), জসিম (৩২), গাজী জাবেদ (৩৫), গাজী খলিল মেম্বার (৬২), সেলিম (৩৫), আব্দুল আলী (৩৮), মোঃ রানা (৩৩), গাজী সামসুদ্দিন (৪৮), নাছির ওরফে নাছিম (৩৪), মেহেদি (৩৫), শাহজালাল (৩৫), অর্ণী আলম (২৮), সজল (২৬), রিটু (৩১), শেখ আমান, ওয়ালিদ (২৮), ইয়াছিন আরাফাত (২৩) ও আদনান (২৩)।
এরআগে, সোহাগ রনি পক্ষের আইনজীবি খোকন সাহা আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিষ্ট্রেট নুর নাহারের আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রæয়ারী কাইকারটেক হাটের ইজারা নিয়ে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সোহাগ রনির অনুসারিদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পরবর্তী সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় সোহাগ গ্রুপের পক্ষের সজল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। অপরদিকে, নান্নু অনুসারিদের পক্ষে ফারুক বাদী হয়ে সোহাগ রণিকে প্রধান আসামী করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি অভিযোগ করেন। এই অভিযোগে আগাম জামিন পেলেন সোহাগ রনি গ্রুপের ২৬ জন।
Post a Comment