সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁওয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় গ্রæপের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্য়ারুরী) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে হাটের ইজারা জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি’র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে এবং গুরুতর আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আগামী এক বছরের জন্য উপজেলার ১০টি হাটের ইজারার দরপত্র আহ্বানের বিপরীতে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ (বুধবার)। এ নিয়ে সকাল থেকেই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি’র সমর্থকেরা পৃথকভাবে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মহড়া দেয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক এবং উভয় গ্রুপে উত্তেজনা দেখা দেয়। বেলা ১১টার দিকে সোহাগ রনির সমর্থকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে রাখা নির্দিষ্ট স্থানে দরপত্র জমা দিতে গেলে বাঁধা দেয় রফিকুল ইসলাম নান্নু গ্রুপের মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব মিয়া ওরফে এসকে সজিবের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন যুবলীগ কর্মী। এ নিয়ে পরিষদ চত্বরের ভেতরেই দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ সংঘর্ষ প্রায় ঘন্টা ধরে চলে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে সোহাগ রনির পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন কর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে মেহেদী হাসান, জাবেদ ও সজলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে, রফিকুল ইসলাম নান্নু গ্রুপের যুবলীগ কর্মী রবিউল ও ফারুকসহ তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষ নিয়ে উভয় গ্রুপের প্রধানরা একে অপরকে দায়ি করেছেন। সোহাগ রনি’র অভিযোগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার সমর্থকদের বাঁধা দেয়াতেই এ হামলার ঘটনা। আর রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, ছাত্রলীগের নাম করে মূলত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা পরিষদ চত্বরে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা করেছে।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের বিষয়ে দুই পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Post a Comment