সোনারগাঁও দর্পণ :
রপ্তানীমুখী পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চৈতী কম্পোজিট গ্রুপের বিরুদ্ধে আবারো সাধারণ মানুষের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। এমন কি ভুক্তভোগীরা বাঁধা দিতে এলে নারী-পুরুষ ও শিশুদের উপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, শনিবার সকালে সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ত্রিবর্দী এলাকার পাশর্^বর্তী ছোট শিলমান্দি এলাকায় চৈতি গ্রুপের সীমানা বিরোধের কথা বলে জমির মালিক আসাদ মিয়াকে ডেকে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে নেয় প্রতিষ্ঠানের লোকজন। সেখানে গিয়ে তিনি স্থানীয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর, মোশারফ, রবিন, রনি, সজিবসহ কমপক্ষে দেড়শতাধিক সন্ত্রাসীকে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেখতে পান এবং কৌশলে বাড়ি চলে যান।
এদিকে, ওই সন্ত্রাসীরা আরো বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জরো করে বেশ কয়েকটি পাকা ও আঁধাপাকা ঘর ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। এতে জমির প্রকৃত মালিক ও স্থানীয় গ্রামবাসী বাঁধা দিতে গেলে প্রতিষ্ঠানের ছাঁদের উপর থেকে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায় জমির মালিকও গ্রামবাসী পিছু হটে।
এ সময় শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও এমন ঘটনায় তাদের নিরব থাকতে দেখেছে এলাকাবাসী। পরে খবরপেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের অবৈধ কাজ বন্ধ করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আসাদ মিয়া ও এলাকাবাসী জানায়, ছোটশীলমান্দি মৌজায় দীর্ঘ দিন ধরেই ছোটশীলমান্দি গ্রামের স্থানীয়দের বাপ-দাদার বসতবাড়ি কেনার প্রস্তাব দিলে সে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমিসহ ঘরবাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য করে।
এমন কি সে সময় মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু’র হস্তক্ষেপে জমির সীমানা চিহ্নিত করে দিলে মিমাংসা হয়। পরবর্তীতে কোম্পানি নিজেদের সীমানা নির্ধারণ করে দেয়ালও নির্মাণ করে। সকলে যার যার জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও শনিবার হঠাৎ চৈতি গ্রæপের ভাড়াটে ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের জমি দখল করতে যায়। এ সময় বাঁধা দিলে স্থানীয় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ গ্রামবাসীদের মারধর করে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, বাড়ি ঘর ভাঙচুর হয়েছে থানায় এমন একটি অভিযোগ হয়েছে। তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Post a Comment