সোনারগাঁও দর্পণ :
আগামী ১৬ জানুয়ারি আপনারা নিজেরাই আপনাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। পবিত্র আমানত আপনাদের হাতে। সেলিনা হায়াৎ আইভী এই নারায়ণগঞ্জে উড়ে এসে জুড়ে বসে নাই। তারা বাবা চুনকা ভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে এই নারায়ণগঞ্জে সংগঠিত রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। সেই চুনকা ভাইয়ের মেয়ে আইভী। গত দুইবার মেয়র হিসেবে তাকে আপনারা নির্বাচিত করেছিলেন। আপনারা আপনাদের পবিত্র আমানত খেয়ানত করেননি। তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। আপনাদের বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা সেলিনা হায়াৎ আইভী করে নাই। আইভী বিশ্বাস ঘাতকতা করলে, দুর্নীতি করলে একজন মানুষও তা বলতো। কাউতো তেমন কোন কথা বলেনি।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বন্দরের কবিলের মোড় এলাকায় এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জের বিশেষ পরিবারের জাতীয় পার্টির এক এমপিকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি আরো বলেন, কেউ কোন ষড়যন্ত্র করে রেহাই পাবেন না। জাতীয় পার্টির বন্ধুদের এই নারায়ণগঞ্জে এক ভিন্ন চরিত্র, ভিন্ন চেহারা মন্তব্য করে নানক বলেন, মনে রাখবেন নৌকা মার্কা শেখ হাসিনা দিছে দেইখা আপনি এমপি হইছিলেন। কি বুঝাতে পারছি ? আকার ইঙ্গিতে বুঝাতে পারছি কি কইতে চাই ? শেখ হাসিনা প্রার্থী দিয়েছেন আর শেখ হাসিনার সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধেই বিরোধীতা করছেন। আগামীতে নৌকা পাবেন না। আমরা জীবিত থাকতে আগামী নির্বাচনে আর নৌকা তাকে পেতে দিবো না।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন আসলে এই নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ধরনের কথা-বার্তা শোনাযায়। আজকের বিশাল জনসভা প্রমাণ করে দিয়েছে কোনো হুমকি-ধমকি, কোনো মিথ্যাচারের কাছে এই বন্দরের মানুষেরা হার মানবে না। পরাজিত হবে না। বিজয় হবেই হবে ইনশাল্লাহ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশীদের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইসহ অনেকে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানসহ জেলা ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Post a Comment