সোনারগাঁও দর্পণ :
আগামী ১৬ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে মুল প্রতিদ্বন্দ্বি ডা. সেলিনা হায়াত আইভি আর তারপ্রতিদ্বন্দ্বি হ্যাভিওয়েট প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। সকলের দৃষ্টি নির্বাচনকে ঘিরে। চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু নারায়ণগঞ্জ জেলাই নয়। নারায়ণগঞ্জের দিকে দৃষ্টি পুরো দেশের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের। নারায়ণগঞ্জের বাইরের উভয় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়তই নারায়ণগঞ্জে গিয়ে স্বস্ব দলের প্রার্থীদের পক্ষে চালাচ্ছেন প্রচারণা।
অপরদিকে, এখন পর্যন্ত আইভি’র চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি একেএম শামীম ওসমান আইভি’র পক্ষে এখনো নির্বাচনী প্রচারণায় যাননি বা আইভি’কে ফোন করেও তার সমর্থনের কথা জানাননি। যা নিয়ে অনেকটাই উদ্বিগ্ন অনেকে।
এদিকে, গত ২৪ ডিসেম্বর সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম নান্নু’র কাছে নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা’র ৫ লাখ টাকা চেয়ে করা ২মিনিট ৫৬ মিনিটের একটি ফোনালাপ নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে ইতোমধ্যে পুরো জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সোনারগাঁও দর্পণ’র পাঠকদের জন্য তাদের দুজনের ফোনালাপটি হুবহু তুলে ধরা হলো। যেখানে খোকন সাহা নান্নু’র কাছে মোট ১১বার টাকা চান এবং দুইবার সোনারগাঁওয়ের নান্নুর সকল কাজ করে দিবেন বলে উল্লেখ করেন। ১১ বার টাকা চাওয়ার মধ্যে ৮ বার ৫ লাখ টাকা চান বলে উল্লেখ করেন খোকন সাহা।
খোকন সাহা ঃ হ্যালো........
নান্নু ঃ হ্যা........
খোকন সাহা ঃ নান্নু ?
নান্নু ঃ হ্যা........
খোকন সাহা ঃ খোকন সাহা বলছি।
নান্নু ঃ হ্যা........
খোকন সাহা ঃ খোকন সাহা বলছি,
নান্নু ঃ হ্যা.... দাদা, আসসালামুআলাইকুম।
খোকন সাহা ঃ কই তুমি। কি করতাছ ?
নান্নু ঃ এইতো দাদা আছি।
খোকন সাহা ঃ শোন........
নান্নু ঃ বলেন......
খোকন সাহা ঃ আমি তো আইভি’র পক্ষে।
নান্নু ঃ হু.....
খোকন সাহা ঃ তুমিতো জান, শামীম ওসমান আইভি’র---- বুঝনা (!)
নান্নু ঃ হু.......
খোকন সাহা ঃ বুঝনা ?
নান্নু ঃ ‘হ’ দাদা ।
খোকন সাহা ঃ সব ঠিক আছে। আমার কিছু টাকা-পয়সা লাগব। তুমি কিন্তু তোমার দিগ দিয়া পরিস্কার থাইকো।
নান্নু ঃ হু........
খোকন সাহা ঃ তোমার পক্ষে কেউ নাই। ঠিক আছে
নান্নু ঃ হু.......
খোকন সাহা ঃ তোমার নামের ওপর অনেকে অনেক পদে আছে।
নান্নু ঃ হু.....
খোকন সাহা ঃ আমিতো আমার কাজ করতেছি। দলের কাজ করতাছি। আইভি’কে পাস করানোর জন্য কাজ করতাছি। বুজছো।
নান্নু ঃ হু.......
খোকন সাহা ঃ নান্নু........
নান্নু ঃ হু...... দাদা
খোকন সাহা ঃ আমিতো আইভি’র পক্ষে। নান্নু........
নান্নু ঃ হু দাদা.......
খোকন সাহা ঃ আমারতো টাকা লাগব, টাকা লাগবো।
নান্নু ঃ তা আপনের লাগব, তা ইয়া করব। অসুবিধা নাই (আমতা আমতা/কাচুমাচু ভঙ্গিতে)
খোকন সাহা ঃ কাল......কালকে ? তুমি পুরান কোডে (কোর্টে) আমার চেম্বারে অফিসে। রাজনৈতিক কার্যালয়ে। আইভিতো আমার মাইয়া। তুমি জান।
নান্নু ঃ হা..... হা........
খোকন সাহা ঃ কালকা ৫ লক্ষ টাকা ৫টার দিকে পাঠাইয়া দিবা।
নান্নু ঃ আমিতো বৈদ্যেরবাজার নির্বাচনের ইয়াতে আছি। আমাগ সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যেরবাজারের নির্বাচন না পরশুদিন?
খোকন সাহা ঃ আরে দুর.. পরশুদিন বাদ দেও। সোনারগাঁও নির্বাচন। আমার মাইয়া আইভি পাশ করলে
নান্নু ঃ হু.......
খোকন সাহা ঃ কালকে ৫ লাখ টাকা বিকাল ৪টায় আমার চেম্বারে পাঠাইয়া দিবা। পুরান কোডে (কোর্টে)।
নান্নু ঃ হু.......ঠিক আছে ? আমি কি আইভি’র কিছু না-কি ? আমি কিয়ের লাইগা করতাম দাদা ? আমিতো আইভি’র কেউ নাই, কিছু না। আমিতো সিটি করপোরেশনের কাজও করিনা। বুজলেন না !
খোকন সাহা ঃ তোমার সোনারগাঁওয়ের সমস্ত কাজ আমি কইরা দিমু।
নান্নু ঃ আইচ্ছা দাদা, আমি কথা কমুনে।
খোকন সাহা ঃ হু.......। টাকা যদি পার কালকা ৫ লাখ। কাজ কইরা দিমু তোমার। তুমি যা চাও তা কইরা দিমু। না পারলে...... উল্টাইয়া যাইব। কালকা ৫টার সময় আমার চেম্বারে......পুরান কোডে (কোর্টে) ৫ লাখ টাকা পৌঁছাইয়া দিবা। তুমি দিবা না দিবা সেইটা তোমার ব্যাপার। আমি তোমারে বললাম। তোমারে অনেক পছন্দ করি। অনকে ভালবাসি। ঠিক আছে ?
নান্নু ঃ আচ্ছা দাদা ঠিক আছে।
খোকন সাহা ঃ আইচ্ছা টাকা যদি পাঠাও, তাইলে আমি তোমার সোনারগাঁওয়ের কাজ কইরা দিমু।
নান্নু ঃ আইচ্ছা দাদা.......
খোকন সাহা ঃ ক্লিয়ার কাট। তোমার যেইটা ইচ্ছা, সেইটা কইরা দিমু। আমার চেম্বারে ৫ লাখ টাকা পাঠাইয়া দিবা কালকা। মাত্র ৫ লাখ টাকা।
নান্নু ঃ আইচ্ছা দাদা।
Post a Comment