সোনারগাঁও দর্পণ :
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর নয়ন মিয়া (৩০) নামে এক সমর্থককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য দেলোয়ার’র বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে হতভাগা নয়ন মিয়াকে হত্যার পর লাশ সাজালেরকান্দি ফতেকান্দি ব্রীজের রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। শুক্রবার রাতে সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের সাজালেরকান্দি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত নয়ন একই ইউনিয়নের মারুবদী গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেলোয়ার হোসেন এবং ফিরোজ মিয়া দু’জনই ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী ছিলেন। নয়ন ফিরোজ মিয়ার পক্ষে নির্বাচন করে। নির্বাচনের আগে থেকে দেলোয়ার একাধিকবার নয়নকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। সে নির্বাচনে দেলোয়ার বিজয়ী হয়। তখনও দেলোয়ার নয়নকে দেখে নেয়ার হুমকি অব্যাহত রাখলে নয়ন পরিবার নিয়ে বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে নিজ এলাকায় যাওয়ার জন্য বন্দরের ভাড়া বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু আর বাসায় না ফেরায় পরিবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরের দিন শনিবার (১ জানুয়ারী) সকালে সাজালেরকান্দি রাস্তার পাশে নয়নের মরদেহ পরে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। সাথে অভিযুক্ত দেলোয়ারও যায়।
এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে দেলোয়ারকে দেখে উত্তেজিত হয়ে প্রহার শুরু করে। পরে অভিযুক্ত দেলোয়ারকে হত্যাকারী অভিযুক্ত করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সাথে সাথে দেলোয়ারকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে (পুলিশ হেফাজতে) নেয়। পামাপাশি লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ইউপি সদস্য দেলোয়ার ও তার লোকজন নয়নকে খুন করে। এদিকে, দেলোয়ারকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থানা পুলিশকে ফোন দেয়ার দাবিও করে স্থানীয়রা।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির বিষয়ে তদন্ত ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
Post a Comment