সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁওয়ের বর্তমান সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করুণার সাংসদ। এমন ৩০জন সাংসদ পার্লামেন্টে আছেন। দেশকে দুঃশাসন থেকে বাঁচাতে বঙ্গবন্ধু কন্যা বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাথে মহাজোট বাঁধায় দয়া করে কিছু কিছু আসন চেয়েছিল আমাদের নেত্রী তাই করুণা করে দিয়েছিলেন। সোমবার (১৫ নভেম্বর) উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হুমায়ুন কবির ভূইয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক সামসুল ইসলাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে ওই প্রচারণানুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার। জাতীয় পার্টির সোনারগাঁও আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকাকে উদ্দেশ্য করে কালাম বলেন, পত্রপত্রিকায় দেখবেন। ইউপি নির্বাচনে সারাদেশে ১০টা লাঙ্গলও পাশ করেনি। ২০১৮ সালে যখন মনোনয়ন দেয়া হয় তখন লিয়াকত হোসেন খোকা আপনি চোখে সরিষা ফুল দেখছেন। তখন আমি কালাম ও এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া আপনার পাশে দাড়িয়েছি। না হলে আপনি আজ কোথায় থাকতেন তা আল্লাহই জানেন।
এক পর্যায় বারদী থেকে মনোনয়ন দেয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে প্রত্যাহার করায় সাংসদ খোকার সুববুদ্ধির উদয় হয়েছে উল্লেখ করে জামপুর থেকেও লাঙ্গলের প্রার্থীকে তুলে নিতে সাংসদ খোকাকে আহবান করেন কালাম।
তারপরও যদি না তোলেন সমস্যা নাই তবে, বারাবারি করেন না। বারাবারি করলে কিন্তু জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীঘ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ আওয়ামী লীগের সব সহযোগি সংগঠন আছে। খুব শক্তিশালী সংগঠন। তারা বসে থাকবেনা। তখন কিন্তু লাঙ্গলের ফলা মাটি দিয়ে যাবে না, জাতীয় পার্টির পিঠের ওপর দিয়ে যাবে।
তাই আমরা বারাবারি করতে চাইনা, আপনারাও বারাবারি করবেন না। শেখ হাসিনার শক্তি হচ্ছে তার দেশের উন্নয়ন, তার দেশের মানুষের উন্নয়ন। শেখ হাসিনা দেশে যে উন্নয়ন করেছেন সে উন্নয়ন দেখেই মানুষ নৌকায় ভোট দিবে।
অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দারসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, জামপুর আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Post a Comment