Halloween Costume ideas 2015

দলীয় লেবাসের মিথ্যে জিগির তুলে স্বার্থ উদ্ধারে মরিয়া আব্দুল হালিম - রফিকুল ইসলাম সরকার

সোনারগাঁও দর্পণ :

নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে যখন যে দল করার সে দলের লেবাস গায়ে জড়িয়ে মিথ্যা জিগির তুলে বার বার পার পেতে চান পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আপেল প্রতিক পাওয়া মেম্বার প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুল হালিম। এমনই অভিযোগ করেছেন একই ওয়ার্ডের আরেক মেম্বার প্রার্থী মোড়গ প্রতিক পাওয়া রফিকুল ইসলাম সরকার।

গতকাল রাতে রফিকুল ইসলাম সরকার সোনারগাঁও দর্পণ’কে জানান, আব্দুল হালিম ইতিপূর্বে ৬ নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার নির্বাচিত হয়। তার ৫ বছরের ক্ষমতার পুরো সময়ই নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত থাকায় ৬নং ওয়ার্ডের কোন কাজই করেনি। তবে, তার ও তার স্বজনদের বাড়ি-ঘর, জমি-জমার মূল্য বাড়াতে পরিকল্পিতভাবে দুই একটি রাস্তা নির্মাণ করেন। আদতে এলাকার বা দলীয় কোন কাজই তিনি করেননি। ফলে গত নির্বাচনে বর্তমান মেম্বার আলমগীর কবিরের সাথে ভরাডুবি হয় তার। শুধু তাই নয়, নিজের স্বার্থে ব্যস্ত থেকে দলীয় কাজ না করার ফলে সে আওয়ামী দলীয় মেঘনা শিল্পাঞ্চল শাখা শ্রমিক লীগের পদটিও হারান। 

পরে জাতীয় পার্টি থেকে লিয়াকত হোসেন খোকা পূণরায় সাংসদ নির্বাচিত হলে ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে তার কিছু সমর্থকদের নিয়ে যোগ দেন। সে সময় পিরোজপুর ও মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় পার্টির পিরোজপুরের নেতা হিসেবে ব্যানার-ফেস্টুনও শোভা পেয়েছিল।


যে অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ইউপি’র অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  জাতীয় পার্টিতে যোগদানের পর জাতীয় পার্টির পিরোজপুর নেতার লেবাস গায়ে জড়িয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বালু ভরাট ও জমি কেনা-বেচার কাজ বাগিয়ে নেন। হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।

পরবর্তীতে তার স্বার্থ শেষ হলে আবারো উঠার চেষ্টা করেন নৌকায়। সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মীদেরকে তার গ্রামে ও মেঘনা এলাকায় কৌশলে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ব্যানার-ফ্যাস্টুন টাঙিয়ে আবারও শ্রমিক লীগের নেতা বনে যাওয়ার চেষ্টা করেন রাজনৈতিক বর্ণচোরা খ্যাত আব্দুল হালিম। অথচ, মেঘনা এলাকায় ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানের মাধ্যমে যেভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন সেভাবে ঘটা করে আর আওয়ামী লীগে যোগ দেননি আজও। তবে, গোপনে কৌশলে কিছু নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন তিনি। 

অর্থাৎ তার মনে লাঙ্গলকে গেঁথে রাখলেও মুখে নৌকা আর আওয়ামী লীগের নামে ফেনা তুলে নেতাদের মন জয় করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন আব্দুল হালিম। মূলত সে আওয়ামী লীগের দলীয় লেবাসের মিথ্যে জিগির তুলে স্বার্থ উদ্ধারে এলাকাবাসীর সাথে প্রতারণা করছে বলেও দাবি করেন রফিকুল ইসলাম সরকার। আর তার মেম্বার থাকাকালীণ সময় এলাকাবাসী তাকে যদি ভালোই জানত, সে যদি ভালো কাজই করত তাহলে তার আগের পদবি যেমন হাতছাড়া হতো না অপরদিকে, আলমগীর কবিরের সাথে বিপুল ভোটে পরাজয় বরণ করতে হতো না।

তবে, পিরোজপুর ৬নং ওয়ার্ডের ভোটাররা মোড়গ প্রতিককে আগামী ২৮ নভেম্বর সঠিক রায় দিবেন বলেই আমি মনে করি। 

এ ব্যাপারে আব্দুল হালিমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সোনারগাঁও দর্পণ’কে বলেন, আমি কি পাগল হইয়া (হয়ে) গেছিগা (গিয়েছি)। আমি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিমু। তখন মহাজোটের এমপি হিসেবে আমি তাকে সংবর্ধনা দিয়েছি। সেখানে অনেকেই ছিল। আর এবার কায়সার হাসনাত, নান্নুভাই তারা আমাকে সমর্থন দিয়ে তানভীরকে বসিয়ে দিয়েছে। আমাকে সমর্থন দেয়ায় আমি নির্বাচন করছি। এভাবে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করার কোন মানে হয় বলে আমি মনে করিনা।


Post a Comment

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget