সোনারগাঁও দর্পণ :
নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রচারণয় বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্ট দফায়-দফায় সংঘর্ষে উভয়ক্ষের কমপক্ষে ১৮/২০ জন সমর্থক ও কর্মী আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি গাড়ী। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে জামপুর ইউনিয়নের বস্তল নামক স্থানে নৌকা প্রতিকের হুমায়ুন কবির ভূইয়া এবং লাঙ্গল প্রতিকের আশরাফুল আলম মাকসুদ ভুইয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ৮/১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয় প্রশাসনকে। পরে ঘটনার সাথে জড়িত অস্ত্রধারী পারভেজ নামে এক যুবককে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৮ নভেম্বর আসন্ন সোনারগাঁও উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামপুর ইউনিয়নের লাঙ্গল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল আলম মাকসুদ ভূইয়ার সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণা চালায়। এ সময় একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতিকের হুমায়ুন কবির ভূইয়ার সমর্থক সাদু ও তার শ্যালক দেলু, দেলুর ছেলে শাওন, সাদুর ছেলে, ভুট্টু, রিপন, সাইফুল, রাজিব, রোমেন, রোমান, রুবেল, শাহিনসহ কমপক্ষে ২০/২৫ জনের একটি দল লাঙ্গল প্রতিকের প্রচারণার কাজে জড়িত গাড়ি বহরে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এ সময় লাঙ্গল প্রতিকের প্রচারণায় থাকা সমর্থকরাও নৌকা প্রতিকের ওপর চাড়াও হয়ে তাদের গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির ভূইয়া তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে হুমায়ুন কবিরের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে লাঙ্গলের সমর্থকরা গুলি ছুড়ে। এ সময় নৌকা প্রতিকের হুমায়ুন কবিরের নেতা ও সমর্থকদের ওপর লাঙ্গল প্রতিকের মাকসুদ আলমের সমর্থকরা গুলি চালালে আবারও উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৮ থেকে ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়।
খবর পেয়ে, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) গোলাম মোস্তফা মুন্না ও সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী পারভেজ নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অস্ত্রধারী আটক হওয়া পারভেজকে মুমুর্ষ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় সে মুলত কোন দলের কি-না বা ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা কতটুকু বা আছে কি-না কোন কিছুই জানা সম্ভব হয়নি। কিছুটা সুস্থ হলে কথা বলে জানাযাবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Post a Comment