সোনারগাঁও দর্পণ :
সিলেটে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে ছোট ভাই বাবু (২৯) আর স্ত্রী সাথী আক্তার (৩০)’কে নিয়ে যাওয়ার পর হোটেলের কক্ষ থেকে মোরশেদ (৪৭) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সিলেট কতোয়ালী থানাধীন শাহজালাল (রাহ.) তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে শাহজালাল (রাহ.) মাজার গেইট এলাকার জমজম হোটেল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সিলেট কতোয়ালী থানা পুণিশ জানায়, মৃত মোরশেদ সোনারগাঁও থানার সেনপাড়া গ্রামের মাকু মিয়ার ছেলে। পরে লাশটি ওসমানী হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে, কক্ষ থেকে মৃত দেহটি উদ্ধার করতে পারলেও স্ত্রী পরিচয় দেয়া সাথী ও মৃতের ছোট ভাই পরিচয়দানকারী বাবুর কোন খোঁজ পায়নি পুলিশ।
হোটেলের ম্যানেজার জাকির হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, রোববার (২৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে মোরশেদ, তার সাথে থাকা মহিলাকে তার স্ত্রী সাথী আক্তার (৩০) ও যুবকটিকে ছোট ভাই বাবু মিয়া (২৯) নামে পরিচয় দিয়ে জমজম হোটেলের ৩য় তলার একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেল রুম ভাড়া নেন। ঠিকানার স্থানে লেখান - বাবা মাকু মিয়া, গ্রাম - কাঁচপুর সেনপাড়া, থানা সোনারগাঁও, জেলা - নারায়ণগঞ্জ। তারা শাহজালাল (রাহ.)-এর মাজার জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সিলেটে এসেছেন বলে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান। সোমবার সকাল ১১টার দিকে হোটেলের এক কর্মচারী রুম পরিস্কারের জন্য ৩য় তলার ওই রুমে গিয়ে ডাবল বেড রুমের খাটের উপর মোরশেদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। বিষয়টি হোটেলের ম্যানেজারকে জানালে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে শাহজালাল (রাহ.) তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই আবু সাঈদের নেতৃত্বে সোমবার বিকাল ৩টার দিকে মোরশেদের লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের সময় ও পরে মোরশেদের স্ত্রী পরিচয় দেয়া স্ত্রী ও ছোট ভাই কাউকেউ পাওয়া যায়নি।
কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, মৃতদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হোটেলের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও ছোট ভাই লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Post a Comment