সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁও আওয়ামী লীগ আর মাথা নত করে থাকবে না। এতোদিন কি হয়েছে আমি জানিনা। জানতেও চাইনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা বাতেন ভাইকে যোগ্য মনে করেছেন মনোনয়ন দিয়েছেন। আগে কি হয়েছে আমি জানিনা। আমি জানি বাতেন ভাই নৌকার মনোনয়ন পাইছে আজ। কাল ২৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৪দিনই এখানে নৌকার নির্বাচন হবে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক আর না থাকুক। ২৮ নভেম্বর নৌকার বিজয়ের মাধ্যমে সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এবারের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক নির্বাচন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার নেয়াগাঁওয়ে নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে নানান সমস্যা দেখে আব্দুল বাতেনের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়াকে উপজেলা আওয়ামী লীগের গৌরব আখ্যায়িত করে কায়সার বলেন, আজ ২৩ নভেম্বর আমি মনে করেছিলাম বিজয়ের অন্তিম সময়ে আমরা পৌঁছে গেছি। আমি চিন্তা করেছিলাম আমাদের বিজয়টি আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে কিভাবে পালন করবো সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এখানে এসে আবার শোনলাম নির্বাচনকে কেন্দ্র সাংগঠনিক কিছু সমস্যাও রয়েছে। আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলে সমস্যা থাকবেই। আবার বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বক্তব্য শুনে আর সভায় উপস্থিত লোকজন দেখে আমি হিসাব মিলাতে পারছিনা যে কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা।
এ সময় কায়সার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীসহ বিভিন্ন প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চোরের দুরবস্থা দেখে আমি আমার ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাই, আমি যদি মনে করি চোর যদি আমার ঘরে চুরি না করে তাহলে খাবেটা কি ? ভালবাসাও চাই, আবার দলের মানও চাই। দুটি জিনিস একসাথে হবেনা। চলতেম পারেনা। যেকোন একটিই করতে হবে। চোরের পক্ষে নামলে চোরের সাথেই থাকতে হবে। নিজের আত্মসম্মান নিয়ে থাকলে সেইটা নিয়েই থাকতে হবে। নয়তবা নৌকাকে বিজয়ী করতে নিজেকেই পাহারা দিতে হবে বলে জানান কায়সার।
এ সময় আক্ষেপ করে কায়সার হাসনাত বলেন, একটি মাইনোরটি গ্রæপের জন্য কেন মাথা ঘামান। মেজরটি যেখানে - থানা, জেলাসহ সকলে উপস্থিত সেখানে মাইনোরটি গ্রুপ নিয়ে ব্যস্ত কেন ? আরে ওই মাইনোরটিতো গ্রæপতো আপনাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকবে যে, তারা ভাববে নৌকার ধাক্কায় এখনই আমরা কাহিল। এই বৈতরণী কিভাবে পার করবে সেই চিন্তাতেইতো ওদের ঘুম আসবেনা। এখানে মেজোরেটি বাদ দিয়ে মাইনোরটি নিয়ে সময় নষ্ট করার মতো সময়তো আমাদের নেই জানিয়ে কায়সার বলেন, দলের এখানকার নেতাকর্মীরা এতোদিন কি নিয়ে কি কাজ করেছেন সেইটা আমি জানি না। জানতেও চাইনা। যা হওয়ার তা হয়েছে। আমি শুধু জানি আজ ২৩ নভেম্বর। ২৮ নভেম্বর নির্বাচন। এই চারদিনই এখানে নৌকার নির্বাচন। আমাদের অভিভাবক সামসুল ইসলাম ভ‚ইয়ার নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির প্রতিটি সদস্য এবং সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করে ২৮ নভেম্বর নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনব।
আমি নিধিরাম সর্দার হয়ে থাকব আর নিচ দিয়ে তার কাটতে থাকব সেটা হতে দেয়া যাবেনা বলে নৌকার লেবাস লাগিয়ে নৌকার বিপক্ষে কাজ করা নেতাকর্মীদের হুশিয়ার করেন কায়সার।
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের ২য় যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বিশিশ্ট ব্যবসায়ী মনির হোসেন। এসময় উপজেলা ও নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সংগঠনটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Post a Comment