সোনারগাঁও দর্পণ :
(দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশের পর) সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে দেখছেন কিছুটা ভিন্নভাবে।
মোশারফ হোসেনের মৃত্যু ও উপ নির্বাচন ভাবনা নিয়ে নেতাদের যোগ্যতা মূল্যায়নের সময় তারা বলেন, পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম ইতোমধ্যে বিভিন্নভাবে নানা স্থানে তার যোগ্যতা দেখিয়েছেন। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ছাড়াও তাকে অনেকেই দেখেছেন একজন প্রকৃত সংগঠক হিসেবে। যা সমাজ বিনির্মাণে অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন। তারা বলেন, মাসুম রাজনীতির বাইরেও একজন সফল ক্রিড়া সংগঠক। সে একজন ভাল ক্রিড়া সংগঠক বলেই শুধু তার পিরোজপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের নয়, তিনি যখন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তখনও তিনি নিজের সাংগঠনিক যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। অদ্যবদি তার সে পথ থেকে এতটুকুও বিচ্যুত হননি।
নেতা-কর্মীরা জানান, মাসুম অল্প সময়ের মধ্যে শুধু সোনারগাঁও নয়, জেলা এবং কেন্দ্রীয়ভাবেও লবিংয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি কেড়েছেন। যার উদাহরণ হিসেবে বর্তমান আহবায়ক কমিটির আগে উপজেলা আহবায়ক কমিটির যে অনুমোদন হয়েছিল সে অনুমোদনের কথা সামনে তুলে ধরেন। স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ যদি মাসুম চেয়ারম্যানকে সমর্থন দেয় এবং কেন্দ্র তাতে অনুমতি দেয় তাহলে সে তার যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে পারবেন বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।
অপরদিকে, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ডা. আবুজাফর চৌধুরী বিরু’র রাজনৈতিক দুরদর্শীতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তার পরিবারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের কথা জানান তারা। তাদের মতে আবু জাফর চৌধুরী বিরু’র রাজনীতি একটি এলাকা ভিত্তিক। এছাড়া, তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তা দীর্ঘ দিনের। সে বিষয়ে তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি। তারপরও তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এক নেতা বলেন, এটা যারা তার নাম যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দিয়েছিলেন তারা আর কেন্দ্রীয় নেতারাই বলতে পারবেন।
এদিকে বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের কর্মকাণ্ডে অনেকটাই হতাশ। তাদের দাবি, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কেন্দ্র নির্বাচন নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় তা তাদের বিষয়। তবে, এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান যেভাবে দুর্দিনে হামলা, মামলার শিকার হয়ে মাঠে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, তাদের আগলে রেখেছেন, তাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন, সোনারগাঁও থেকে বিএনপি’র সংসদ সদস্যের টিকিটও মান্নান ছাড়া কারও চাওয়া ঠিক হবেনা বলে বিএনপি পন্থি ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদেরও দাবি।
সর্বোপরি নেতাকর্মীদের মতে, চেয়ারে কেউ বসলে যেকোন অযোগ্য ব্যক্তিও যোগ্য হয়ে ওঠে। তাছাড়া, আগামী নির্বাচন বিগত কয়েক বছরের নির্বাচনের মতো হবেনা। এখানে সকল দলই নির্বাচনে অংশ নিবে। প্রতিটি দল থেকে প্রার্থী ছাড়াও থাকতে পারে সতন্ত্র প্রার্থীও। তাই আগামী উপজেলা এবং সংসদ নির্বাচনে শুধু দলীয় প্রতীক পেলেই হবে না। মাঠে যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাকেই সাধারণ ভোটাররা বেঁছে নিবেন বলে মন্তব্য করেন নেতাকর্মীরা।
Post a Comment