সোনারগাঁও দর্পণ :
আমি পরিবারের আহবায়ক না, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক। উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে প্রার্থী আমি দিবনা, প্রার্থী দিবে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হয়তো কেন্দ্র থেকে স্থানীয়ভাবে তালিকা চাইলে আমরা আহবায়ক কমিটি সম্মিলিতভাবে বসে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা সেখানে পাঠাব। সেখান থেকে নেত্রী সকলের অবস্থান দেখে যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই মনোনয়ন দিবেন। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে টেলিফোনে কায়সার হাসনাতের সাথে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র একান্ত আলাপচারিতার একপর্যায় তিনি এসব কথা বলেন।
অপরএক প্রশ্নের জবাবে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, আমাকে অবশ্যই আমার পরিবার ও বংশের স্বজনদের নিয়ে থাকতে হবে। তার মানে এই না যে, আমার পরিবার থেকে কেউ প্রার্থী হলেই তার জন্য আমার কাজ করতে হবে। আর আমি বিশ্বাস করি আমার পরিবারের লোকজন আমার ওপর কিছু এককভাবে চাঁপিয়ে দিবেনা যাতে আমি বিভ্রান্ত হই। তবে, আমার পরিবার থেকে যদি কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেকে যোগ্য মনে করে, তাহলে প্রার্থী হওয়াটা তার গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। আর সে যদি সত্যিই যোগ্য হয়, তাহলে আমি কেন তাঁকে সাপোর্ট করবনা।
কায়সার বলেন-আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায়, তার নির্দেশ মেনে আমি রাজনীতি করি। আমি কোন পরিবারের বা বংশের একক রাজনীতি করিনা। আমি সোনারগাঁওয়ের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রাজনীতি করি। এখানে আমার পরিবারের চেয়ে আমার সোনারগাঁওয়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তথা সোনারগাঁওয়ের আপামর জনতাই আমার রাজনৈতিক শক্তি। তারা যদি না চান আমি এতটুকুও মাঠে থাকতে পারবনা। আমি যা-ই করি তাদেরকে নিয়েই করব।
Post a Comment
তৃণমূলের প্রাণ ভোমরা