করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে সরকারের ঘোষিত নির্দেশ বাস্তবায়নে সারাদেশে তৃতীয় ও নারায়ণগঞ্জে ৪র্থ দিনের কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন অনেকটা কঠোরভাবেই দায়িত্ব পালন করেছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। ৩০ জুন দিবাগত রাত ১২টার পর থেকেই মুলত তাদের কার্যক্রম শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ভোরের সূর্য উঠার পর পরই শুরু হয় প্রশাসনের কঠোর তৎপরতা। সারাদিন অনেকটা বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে মাঠে করোনা বিস্তার রোধে কাজ করেছেন প্রশাসনের দায়িত্বরতরা। তবে অনেকেই প্রধান প্রধান সড়কে প্রশাসনের তৎপরতা থাকলেও প্রত্যন্ত এলাকায় ছিলনা প্রশাসন বা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের কোন কার্যক্রম। লকডাউন বাস্তবায়নে দায়িত্বরতরা শুধুমাত্র উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক ও স্থানগুলোতেই তৎপর থাকতে দেখা গেছে।
দুপুর এবং বিকেলে জামপুর, হোসেনপুর ও সন্মান্দি এলাকার একাধিক স্থানে ফোনে যোগাযোগ করলে সূত্র জানায়, সারাদিনে একবারও সে সকল এলাকায় কোন ভ্রাম্যমান আদালত বা পুলিশের কর্মকর্তা বা তাদের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ যায়নি বা কোন রকম তৎপরতাও দেখেনি স্থানীয়রা।
উপজেলার প্রাণকেন্দ্র খ্যাত মোগরপাড়া চৌরাস্তা, মোগরাপাড়া পুরান বাজার, পৌরসভা এলাকা, মঙ্গলেরগাঁও, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল, মেঘনা শিল্পাঞ্চল, তালতলা, আনন্দবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তৎপর ছিল উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন।
তবে, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকায় কোন তৎপরতা না থাকায় দোকানপাট খোলা ছিল রাত ৯টা পর্যন্ত। অনুপস্থিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ও।
তবে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম ‘সোনারগাঁও দর্পণ’কে জানিয়েছেন, প্রথম দিনে আমরা উপজেলার মোগরপাড়া চৌরাস্তা, পৌরসভা এলাকা, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল, মেঘনা শিল্পাঞ্চল, তালতলা, আনন্দবাজার,বারদীসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার। তবে, পর্যায়ক্রমে এসকল গুরুত্বপূর্ণস্থানসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আমাদের কার্যক্রম চালানো হবে।
Post a Comment