ঢাকাই চলচ্চিত্রের সাড়াজাগানো নায়িকা পরীমনি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ কয়েকজনের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার, নির্যাতন পরবর্তী হত্যাচেষ্টার পর ৪ দিন ধরে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পাননি কোন বিচার। আত্মবিশ^াস নিয়ে যেখানেই গিয়েছেন সেখান থেকেই পরামর্শ পেয়েছেন বিষয়টি চেপে যাওয়ার। অবশেষে ৪দিন নিজের বিবেকের সাথে লড়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা। উদ্দেশ্য দেশের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার বিশ^াস একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই তার বিচারের শেষ ভরসা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কি লিখেছিলেন পরীমনি। ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র পাঠকদের জন্য পরীমনির সে লেখা হুবহু তুলে ধরার পাশাপাশি পরীমনির ফেসবুক পেজের লেখাটির কপিও জুড়ে দেয়া হল।
পরীমনি লেখেন, ‘বরাবর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি পরীমণি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
‘এই বিচার কই চাইবো আমি? কোথায় চাইবো? কে করবে সঠিক বিচার? আমি খুঁজে পাইনি চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্র বন্ধু বেনজীর আহমেদ আইজিপি স্যার! আমি কাউকে পাই না মা। যাদের পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনার বিস্তারিত জেনে, দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়!’
‘আমি মেয়ে, আমি নায়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চুপ করে থাকতে পারি না। আজ আমার সাথে যা হয়েছে তা যদি আমি কেবল মেয়ে বলে, লোকে কী বলবে এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মতো (যাদের অনেক নাম এক্ষুণি মনে পড়ে গেল) তাদের মতো আমিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো। আফসোস ছাড়া কারোর কি করার থাকবে তখন! আমি তাদের মতো চুপ কি করে থাকতে পারি মা? আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোনো অন্যায় মেনে নিতে!’
‘আমার মা যখন মারা যান তখন আমার বয়স আড়াই বছর। এতদিনে কখনো আমার এক মুহূর্ত মাকে খুব দরকার এখন, মনে হয়নি এটা। আজ মনে হচ্ছে, ভীষণ রকম মনে হচ্ছে মাকে দরকার, একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দরকার। আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা। মা আমি বাচঁতে চাই। আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা।’
Post a Comment