সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত চৈতী কম্পোজিটের জোর করে জমি দখল ও বিষাক্ত বর্জ্য ব্যবহারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারো জোর করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। চৈতী কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম, পরিচালক ফাহমিদা শাবনাম চৈতীসহ কোম্পানির উর্ধতন ১৬ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় নতুন করে জমি দখলের অভিযোগ করেন জমির মালিক প্রবাসি শাকিল রানার স্ত্রী।
অভিযোগে বলা হয়, সোনারগাঁও পৌরসভার ছোটশিলমান্দী, শ্রী নিবাসদী ও টিপরদী মৌজার বিভিন্ন দাগে ক্রয় ও পারিবারিকসুত্রে প্রায় ১৩৪ শতাংশ জমির মালিক হয়ে বিগত ১০ বছরেরও বেশি সময় ভোগ দখল করে আসছেন অভিযোগকারী। জমির সীমানা স্পস্ট করাসহ জমিতে শাকিল রানার মালিকানা উল্লেখ করে সাইনবোর্ডও ঝুলানো রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছরের ৭ মে বিকালে তাদের মালিকানা সম্পত্তিতে লাগানো ৮ টি মালিকানা সাইনবোর্ড থাকাবস্থায় সেসব উচ্ছেদ করে ভেকু দিয়ে জমির মাটি কেটে দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। শাকিল রানার স্বজনরা দখলদারদের বাধা দিতে গেলে প্রতিষ্ঠানটির লোকজন শাকিল রানার স্বজনদেরকে মারধর করে ও বিভিন্ন হুমকী ধামকী দেয়। বর্তমানে তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনের জীবন হুমকীতে রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। চৈতী গ্রæপ এর আগেও শাকিল রানার সম্পত্তি জোরপুর্বক দখল করে দুষিতপানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। চৈতী গ্রæপের দখল এখনও অভিযোগকারীর জমি পর্যন্ত যায়নি। আমি বলেছি যেহেতু জায়গা-জমির বিষয় তাই কোর্টে মামলা করতে।
Post a Comment