সোনারগাঁওয়ে চাঁদাবাজদের দৌড়াত্ম বেড়েছে। প্রায় সর্বত্রই চলছে নিরব চাঁদাবাজী। তাদের (চাঁদাবাজ) আতঙ্কে আতঙ্কিত ও অনেকটাই কোনঠাসা ব্যবসায়ীরা। বাধাঁদিলে বা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যবসায়ীদের উপর নেমে আসে খড়গ। করা হয় শারীরিক নির্যাতন।
কখনেও সরকারী দলের কোন না কোন নেতার নাম ভাঙিয়ে, কখনও বা বিরোধী দলের প্রভাবশালী কোন নেতার নামে আদায় করা হচ্ছে এ সকল চাঁদা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি এলাকায় অবস্থিত এইচ,কে,জি স্টীল মিল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট ১১-৬২৫৯) ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু উদ্বচ্ছিষ্ট মাল নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী ট্রাকটির গতি রোধের পর তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় ট্রাকটি প্রায় ৫ ঘন্টা আটকে রেখে রাখে সন্ত্রাসীরা। পরে চালক পণ্যের মালিককে জানালে মালিক ‘৯৯৯’এ ফোন করে। ৯৯৯ এ জানানোর বিষয়টি ট্রাকের চালককে জানালে চালক সন্ত্রাসীদের তথ্যটি জানায়। পরে সুযোগ বুঝে সটকে পরে স্থানীয় ওই চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় এক সাবেক ছাত্রনেতা তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই শুধু এইচ,কে,জি স্টীল মিলই নয়, আশপাশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে মালামাল আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করে আসছে।
সম্প্রতি আষাঢ়িয়ার চর এলাকায় অপর একটি চক্র জোর করে বিদেশে রপ্তানীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম পোর্টে নিয়ে যাওয়া পোশাক ভর্তি একটি কভার্ডভ্যান ছিনতাই করে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকটি উদ্ধার করে।
সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিষয়ে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান জানান, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানা পুলিশ জিরো টলারেন্স। চাঁদাবাজদের বিষয়ে কোন ছাড় নেই, সে যেই হোক। শুধুমাত্র চাঁদাবাজীর বিষয়ে পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে।
Post a Comment