বেতনের দাবিতে আবারও মহাসড়কে নেমেছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুরে স্কয়ার গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় মহাসড়ক সচল রাখতে শিল্প পুলিশ গিয়ে অনুরোধ করলেও শ্রমিকরা সড়কেই অবস্থান নেয়। পুলিশ এতে বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায় শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হয়ে শিল্প পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছে।
শ্রমিকরা জানায়, তাদের মাসিক বেতন বরাবরের মতো প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতো কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৯ তারিখ হলেও বেতন না দিতে পারায় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কারণ জানতে চাইলে ১০ জুন পর্যন্ত সময় নেয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানের কথামতো ১০ জুন সকালে শ্রমিকরা বেতনের জন্য গেলে তাদেরকে ২১ জুন বেতন দেয়ার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। এতেই বিক্ষুব্দ হয়ে পড়ে তারা। শুরু করে আন্দোলন। ঘটে ভাঙচুরের মতো ঘটনাও।
মিছিল নিয়ে এক পর্যায় চলে যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। বন্ধ করে দেয় মহাসড়ক। ফলে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। এর প্রভাব পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও। খবর পেয়ে কাঁচপুরে থাকা শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদেরকে মাহসড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। শ্রমিকরা পুলিশের কথায় কর্ণপাত না করে মহাসড়কেই অবস্থান নেয়। পুলিশ শ্যমিকদের জোর করে মহাসড়ক থেকে সরাতে চাইলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। পুলিশকে লক্ষ্য করে শ্রমিকরা ইট-পাটকেল ছুড়ে। পরে পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরাতে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক ও পথচারী আহত হয়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ইন্টেলিজেন্ট) শেখ বসির আহম্মেদ জানান, গত মে মাসের বেতনের দাবীতে শ্রমিকরা অনেকটা হঠাৎ করেই রাস্তায় চলে আসে। তাদের সড়ক থেকে সরাতে চাইলে একটু সমস্যা হয়েছিল। মালিক পক্ষ কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে বেতন পরিশোধের আশ্বস্ত দেয়ার পর তারা সরে যায়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
Post a Comment