গত ৩০ মে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আলিম পরীক্ষার্থী ছেলেকে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্ত মা নাসরিন আক্তার নরসিংদীতে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (৩১ মে) বিকেলে নরসিংদী শহরের বাজিড়মোড়ের আবাসিক হোটেল নিরালার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। আজ ১ জুন মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ নরসিংদী গিয়ে লাশ সনাক্ত করে। এরআগে, গত সোমবার ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাকিব নাবিল নিহত হওয়ার পর পালিয়ে থাকা তার মায়ের ছবির সাথে অনেকটা মিল থাকায় নরসিংদী থানা পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে লাশ সনাক্ত করে।
তবে, গতকাল লাশ উদ্ধারের পর হোটেলে অবস্থানের আগে নিহতের পরিচয় হিসেবে রেজিস্ট্রারে নাম ঠিকানা রেহানা আক্তার (৩০), পিতা- আবু তাহের, মা - ফাতেমা জোহরা, গ্রাম- ডৌকাদি, নরসিংদী উল্লেখ থাকায় কিছুটা সমস্যায় পরে নরসিংদী থানা পুলিশ। পরে তার সাথে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম - নাসরিন আক্তার (৩০), পিতা - আবু তাহের, মাতা- ফাতেমা জোহরা, গ্রাম- ডৌকাদি, নরসিংদী দেখে অনেকটা নিশ্চিত হয়। এর আগে, সকালে নাসরিন আক্তারের রুমের দরজা খোলা না পেয়ে অনেক ডাকাডাকি করার পর কোন সাড়াশব্দ না দেয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল ওই হোটেলের ৬ নং কক্ষে গিয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে নরসিংদীতে এক নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পাই। আমরা বাবার নাম ও চেহারার মিল পেয়েছি। ইতিমধ্যে ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এরআগে সিদ্ধিরগঞ্জে নাজমুছ সাকিব নাবিল (২০) নামে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মৃত্যু। সে মৃত্যুর জন্য নিহতের মা নাসরিন আক্তারকে দায়ী করার পাশাপাশি তার স্ত্রী মানসিক বিকারগ্রস্ত্য বলেও জানান নিহতের বাবা সগির আহমেদ। পরে এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নাসরিন আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলাও করেছেন।
Post a Comment