সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁওয়ে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ এর নেতাকর্মী ও অনুসারীদের দ্বারা আওয়ামী লীগ অফিস, রয়েল রিসোর্ট, সাংবাদিক, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,বাড়ি-গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। আজ (৭ এপ্রিল) বুধবার সোনারগাঁও থানায় মামলাগুলো করেন থানা পুলিশের দুই এসআই (উপ-পরিদর্শক) ইয়াউর রহমান ও আরিফ হাওলাদার। অপর মামলাটি করেন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান। দায়ের করা প্রতিটি মামলায় প্রধান আসামী করা হয় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে। এছাড়া কমপক্ষে ৫’শ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়। তবে, পুলিশের করা দুটি মামলার একটিতে ৪১ জন অপরটিতে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানাগেছে।
সোনারগাঁও থানায় সদ্য যোগদান করা অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এসআই ইয়াউর রহমান বাদি হয়ে মামুনুল হককে প্রধান আসামী করে ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইনে এসআই আরিফ হাওলাদার বাদী হয়ে মামুনুল হককে প্রধান আসামী করে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাদুটি করেন। ইতোমধ্যে এজাহারভূক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মোস্তফা নামে একজনের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া স্থানীয় সাংবাদিক হাবিবুর রহমানকে মামুনুল হকের দাড়ি ধরে টান দেওয়ার অভিযোগে সনমান্দি ইউনিয়নের ভাটিরচর গ্রামে ওই সাংবাদিকের উপর হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় মামুনুল হককে প্রধান আসামী করে ১৭জনের নাম উল্লেখসহ ৭০-৮০ জনকে আসামী করা হয়।
ওসি হাফিজুর রহমান আরো জানান, হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় সিসিটিভি’র ফুটেজ দেখে আসামী সনাক্ত করে নাম ঠিকানা অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রী (তারভাষ্য মতে,যদিও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি) কে নিয়ে বেড়াতে এসে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা অবরুদ্ধ হোন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে সন্ধ্যায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মওলানা ইকবাল হোসেন ও মওলানা মহিউদ্দেনের নেতৃত্বে কয়েক হাজার অনুসারী রয়েল রিসোর্টে হামলা ও ভাংচুর করে মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। পরে রাতে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা সড়কে টায়ার ফেলে তাতে আগুন জ্বালিয়ে আওয়ামী লীগ অফিস, যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম নান্নুর মালিকানাধীন রোস্তোরা, তার শশুর বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়া, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হোহাগ রনির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।
Post a Comment