সোনারগাঁওয়ের নেতাদের মধ্যে রাজনীতির কোন চর্চা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক এ.এইচ.এম মাসুদ দুলাল। এক সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য পরিচয়দানকারী ও বর্তমানে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল সত্যিই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কি-না সে বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ কেন তখন কোন পদক্ষেপ নেয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে গত ১৬ এপ্রিল রাতে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এরআগে একটি বিশ্বস্ত সূত্র সোনারগাও দর্পণ’কে জানায়, বর্তমানে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল আগে ছাত্রলীগের রাজনীতি করার সময় তার বিভিন্ন পোষ্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্যের যে পদবি ব্যবহার করত তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ছাত্রলীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের সাথে সুস্পষ্ট প্রতারণার শামিল। তথ্যটির সত্যতা জানতে ১৬ এপ্রিল রাতে এ,এইচ,এম মাসুদ দুলালের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, আবু নাঈম ইকবাল কখনোই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কোন কমিটিতে ছিলনা। যা তিনি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারেন।
পরে মাসুদ দুলালকে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র প্রশ্ন তাহলে উপজেলা আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ তখন এ ব্যাপারে কেন কোন পদক্ষেপ নেয়নি এমন উত্তরে মাসুদ দুলাল প্রশ্ন রাখে বলেন, সোনারগাঁওয়ে নেতাদের মধ্যে কোন রাজনৈতিক চর্চা আছে ? আমিতো (মামুস দুলাল) মনে করি নেই। যদি তাদের মধ্যে রাজনৈতিক চর্চাই থাকতো তাহলে তারা অবশ্যই এ বিষয়টির ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতেন।
পরে এ বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম সোনারগাঁও দর্পণ’কে বলেন, মামুদ দুলাল যা বলেছে সেটা ঠিকনা। এখানে রাজনৈতিক চর্চার কিছু নাই। কারণ, যারা তখন ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের সামনেই যদি তখন ইকবাল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পরিচয় দেয়, তখনতো আর আমাদের বলার কিছু থাকেনা।
মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, নজরুল ইসলাম বাবু তখন আবু নাঈম ইকবাল ছাত্রলীগের যে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পরিচয় দিতো, সে কমিটির সাধারণ সম্পাদক। নজরুল ইসলাম বাবু ইকবালের বেয়াই। যখন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের সামনে একজন ওই কমিটির সদস্য পরিচয় দেন আর সাধারণ সম্পাদক কোন কথা বলেন না, তখনতো আর জেলা বা উপজেলা ছাত্রলীগ কিছু বলতে পারেনা। তখন সে-যা বলবে, সে কথাই বিশ্বাস করতে হয়। আমিতো মনে করি নজরুল ইসলাম বাবুর মৌন সম্মতিতে ইকবাল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদবি ব্যবহার করে তার স্বার্থ উদ্ধার করেছে।
Post a Comment