সোনারগাঁও দর্পণ :
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আল্লামা মামুনুল হককে দলটির অনুসারী নেতাকর্মীরা রয়েল রিসোর্টে হামলা পরবর্তী ভাঙচুর করে যেভাবে বীরদর্পে নিয়ে গেলেন, তাদের সে বীরদর্পন্নতা ঠিক থাকবেতো। ৩ এপ্রিল (শনিবার) ঘটনার পর মামুনুল হক রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে তার স্ত্রী’র সাথে মোবাইলে কথোপকথনের একটি অডিও গণমাধ্যমে সম্প্রচার ও প্রকাশ হওয়ার পর এমনই প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
৫২ সেকেন্ডের ওই অডিওতে মানুনুল হক পুরো সময় জুড়ে তার স্ত্রীকে কনভেন্স করার চেষ্টা করেছেন এবং তার স্ত্রী অনেকটা নিজের মনের বিরুদ্ধে থেকে মামুনুল হকের কথা শুনে বাড়ি যাওয়ার পর কথা হবে বলে জানাচ্ছেন। তাও অনেকটা মনমড়া ভাবে,শান্ত মেজাজে। ফোন রিসিভ করার পর এবং ফোন বিচ্ছিন্ন করার আগে দু’জনের মধ্যে ইসলামের শরীয়াহ মোতাবেক সালাম বিনিময় হয়। তাদের কথায় সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে মামুনুল হক আমিনা তাইয়েবা নামে যে মহিলাকে সাথে নিয়ে গিয়েছেন এবং সে মহিলা তার বন্ধু শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন এবং সেখানকার পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে তাৎক্ষনাত ওই মহিলাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে তিনি বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।
পাঠক - আপনাদের জানানোর জন্য পুরো অডিও রেকর্ডটা হুবহু তুলে ধরছি। সাথে মুল অডিওটাও থাকছে..........
স্ত্রী : “আসসালামুআলাইকুম।
মামুনুল হক : ওয়ালাইকুমআসসালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
মামুনুল হক : পুরো বিষয়টা আমি তোমাকে সামনে এসে বলব। এই মহিলা যে ছিল সাথে সে আমাদের শহিদুল ইসলাম সাহেবের ওয়াইফ। বুঝছ ? এইটা নি-য়া, একটা মানে, ও-হানে অবস্থা এইরকম তৈরি হয়ে গেছে যে এই কথা বলা ছাড়া, ওখানে মানে অরা, ই কইরা ফেলছিল আমাকে বুঝছ।
স্ত্রী : আচ্ছা বাসায় আসেন, তারপরে কথা যা বলার বুঝবনে। (ওভারলেপিং)
মামুনুল হক : আহা না, বলুমতো। তুমি বিষয়টা অন্যান্যদেরকে অন্য কথা বলতে হইব। পরিস্থিতিটা এইরকম হইয়া গেছে। এখন এই জন্য তুমি আবার মাঝখান দিয়া অন্য কিছু মনে কইরনা। তোমাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে, বইলো যে হ্যা আমি সব জানি। এইরকম কিছু একটা বইল। ঠিক আছে ?
স্ত্রী : আচ্ছা।
মামুনুল হক : আসসালামুআলাইকুম।
স্ত্রী : আসসালামুআলাইকুম।
মামুনুল হক : ওয়ালাইকুমআসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
Post a Comment