বরগুনা প্রতিনিধি :
নিজের গর্ভধারিনী মা’কে নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে নিজের ঘরের আবসাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে ছোট ভাইকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত বড় ভাই মজিবরের বিরুদ্ধে। একবার নয়, বেশ কয়েকবার নিজের মা’কে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতনের অভিযোগ করেছে নির্যাতিতা মা ও নির্যাতিতার মেঝ ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা সদরের ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামে।
নির্যাতিতা ওই নারী ও তার মেঝ ছেলে মন্টুর বরাত দিয়ে প্রতিবেদক জানায়, আচিয়া বেগম ৫ নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আচিয়া বেগমের বড় ছেলে তার মা’কে প্রায় মারধর করত। নির্যাতন করে একাধিকবার তার বড় ছেলে মজিবর মায়ের হাত ও পা ভেঙে দেয়। সবশেষ গত ১৭ এপ্রিল শনিবার ইফতারের পর ‘মা’ আচিয়া বেগমকে বাড়িতে মারধর করেন পাষন্ড ছেলে মজিবর। এ সময় তার আর্ত চিৎকারে আচিয়া বেগমের মেঝ ছেলে স্থানীয় প্রতিবেশিদের নিয়ে তার মা’কে মজিবরের হাত থেকে উদ্ধার করে।
তারা অভিযোগ করেন, মাকে নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মজিবর ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজের ও তার সেজ ভাই হিমু’র ঘর ভাঙচুর করায়।
এলাকার একাধিক প্রতিবেশী জানায়, মজিবর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলাকার বিভিন্ন ঘরের পিছনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। মজিবর ও তার বাহিনীর ভয়ে প্রকৃতির ডাকেও বাইরে যেতে পারছেন না তারা। তার কর্মকার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে বা বাধা দিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে অভিযুক্ত মজিবর।
ভুক্তভোগী নির্যাতনের শিকার আচিয়া বেগম তার বড় ছেলে মজিবরের নিষ্ঠুরতার বিচার চেয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মজিবরের কাছে জানতে চাইলে, তিনি কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ ব্যবস্থা নেবেন।
Post a Comment