দ্বিতীয় দফা লকডাউনে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে সরকারী বেসরকারী ব্যাংক। সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করতেই এ পদক্ষেপ। শুধু ব্যাংকই নয়, বিধিনিষেধ চলাকালে বন্ধ থাকবে ব্যাংকের সকল উপশাখা, বুথ ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাও। তবে খোলা থাকবে এটিএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ সকল অনলাইন সেবা প্রতিষ্ঠান। আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সাইট সুপারভিশন থেকে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে।
এদিকে ব্যাংক, ব্যাংকের সকল বুথসহ সকল প্রকার সেবা বন্ধ থাকবে এমন একটি খবর সোনারগাঁওয়ে প্রচার হলে স্থানীয় সরকারী-বে সরকারী বিভন্ন ব্যাংক ও বুথে গ্রাহকদের উপচি পড়া ভীড় দেখা গেছে। যেখানে ছিলনা কোন স্বাস্থ্য বিধির বালাই। কারো মাস্ক আছে তো কারো নেই। যাদের আছে তাদের মধ্যে কারো মাস্ক থুতনিতে রেখে শুধু প্রদর্শণ করা হয়েছে। একজনের গাঁ ঘেঁষে অপরজনের দাড়িয়ে থাকার দৃশ্য দেখে অনেকে আবার সেবা না নিয়েই চলে গেছেন।
শুধু ব্যাংক নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও কাপড়সহ আজ বিভিন্ন দোকানে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।
সোহেল খন্দকার নামে পৌর এলাকার একটি সরকারী ব্যাংকের এক গ্রাহক জানান, তিনি বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লাইনে দাড়িয়ে থেকে, তার সামনে থাকা কমপক্ষে ২৫/৩০ জন আগে পরিচিত এক গ্রাহকের মাধ্যমে তিনি তার সেবার কাজটি করেন। তবে, তার অভিযোগ ডিজিটাল যুগেও সরকারী ব্যাংকগুলোতে এখনো কোন কোন স্থানে এনালগ পদ্ধতিতে কাজ হওয়ায় কাজ সাড়তে সময় একটু বেশি লাগে। তাছাড়া, যারা শুধুমাত্র কাজের জন্য কম্পিউটার শিখতে হয়েছে তাদেরও কাজ করতে অনেক দেরি হয়।
অপরদিকে, সজিব নামে একজন সাধারণ জনগণ জানান, আজ রাস্তায় মানুষের সংখ্যা এতটাই বেশি যে স্বাভাবিকভাবে হাটতেও সমস্যা হয়েছে। বিশেষ করে ফুটওভার ব্রীজ দিয়ে যেতে হয়েছে শরীরের সাথে শরীর ঘেঁষে আর ধীরগতিতে।
Post a Comment