Halloween Costume ideas 2015

সোনারগাঁও দর্পণ

সর্বশেষ পোস্ট
অপরাধ অর্থ ও বাণিজ্য আওয়ামী লীগ আদালত আন্তর্জাতিক উত্তরা পূর্ব থানা কাঁচপুর খেলাধুলা গজারিয়া গণমাধ্যম চট্টগ্রাম জাতীয় জামপুর জামায়াত ঢাকা তথ্যপ্রযুক্তি থানা প্রশাসন দাউদকান্দি ধর্ম নরসিংদী নারায়ণগঞ্জ নোয়াখালী নোয়াগাও পর্যটন ও পরিবেশ পিরোজপুর পৌরসভা ফতুল্লা বন্দর বরগুনা বারদী বিএনপি বিনোদন বৈদ্যের বাজার ভারত ভুলতা মুন্সিগঞ্জ মোগরাপাড়া রাজনীতি রাজনীতি. রাজনীতি. বিএনপি রাজনীতি.মোগরাপাড়া রাজশাহী রূপগঞ্জ র‌্যাব র‌্যাব-11 শম্ভুপুরা শিক্ষা শিক্ষা ও সংস্কৃতি সন্মান্দি সংস্কৃতি সাদীপুর সাভার সারাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ সিভিল প্রশাসন সিলেট সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কথা


সোনারগাঁও দর্পণ : 

সোনারগাঁওয়ে মোগরাপাড়া এইচ.জি.জি.এস স্মৃতি সরকারি বিদ্যায়তনের এসএসসি- '৯৪ ব্যাচের চতুর্থ পুনর্মিলনী-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) বেলা ১১টা থেকে দিনব্যাপী উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভিন্নীপাড়ায় আনিরা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চত্ত্বরে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ৯৪ ব্যাচের বন্ধু আশরাফ উদ্দিনের একান্ত পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। 

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ মোগরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৪ ব্যাচের মোট  ১১৭ জন বন্ধুর পরিবারের পাঁচ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। 

পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে 

প্রিয় বন্ধুদের বেজ ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পরে স্বাগত বক্তব্য, ফটোসেশান, স্মৃতিচারণ, মুক্ত আলোচনা ও প্রীতিভোজ, বিকালের নাস্তা, আইসক্রিম ছাড়াও বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে ভিন্নমাত্রা যোগ করে কনসার্ট 

আয়োজক এসএসসি- '৯৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আনিরা ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ উদ্দিন চতুর্থ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি এসএসসি- '৯৪ ব্যাচের সকলের জন্য উৎসর্গ করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একজন চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসাবে প্রিয় '৯৪ ব্যাচের বন্ধুদের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা কামনা করেন। 

পুণর্মিলনির শেষ পর্বে লটারির মাধ্যমে বিতরণ করা পুরষ্কারে প্রথম পুরষ্কার বিজয়ী হিসাবে এসি পান মনি আক্তার।

দ্বিতীয় পুরষ্কার ৪৩" এলইডি টিভি পান মোর্শদা এবং তৃতীয় পুরষ্কার হিসেবে মাইক্রোওভেন পান আফরোজা।

অপরদিকে,  ৪র্থ থেকে ১০ম পুরষ্কার হিসেবে বিজয়ীরা সবাই একটি করে স্মার্ট মোবাইল ফোন পেয়েছেন। 

নিশ্চিত উপহার হিসেবে উপস্থিত সকল বন্ধুদের দেয়া হয় ফ্রাইপেন ও মগ।

অনুষ্ঠানটি কামাল মোল্লার সঞ্চালনায় এবং একদল প্রাণচঞ্চল বন্ধুর সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে সফল হওয়ায় সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টোটাল ফ্যাশন লিমিটেড এর শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। বুধবার (২৫ জুন) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্ধ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেলা ১১টার দিকে অবস্থান নিয়ে এ অবরোধ করে তারা। 



স্থানীয় সূত্র জানায়, টোটাল ফ্যাশন এর শ্রমিকরা তাদের ১০ বছরের কর্মজীবনে জনপ্রতি সার্ভিস চার্জ প্রায় লাখ টাকা ছাড়াও ২/৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ সকল কোন হিসাব না চুকিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক পক্ষ তাদের আয়ের একমাত্র স্থানটি অন্যত্র বিক্রি করার পায়তারা করছে। ফলে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্ধ এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধের সৃষ্টি করে। এতে বেরা ১টা পর্যন্ত মহাসড়কে উভয় পাশে সবধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

ফলে, লাঙ্গলবন্ধ থেকে মদনপুর এবং মেঘনা ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের কবলে পরে হাজার হাজার যাত্রী ও পথচারী। 


পরে কাঁচপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের আশ^াস দিলে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়ে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার (এডমিন) কবির হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা ভালো না তথ্য ঠিক কিন্তু কষ্ট হলেও প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যত্র বিক্রি বা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে তথ্যটি সঠিক নয়। এছাড়া আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

নৌ-চাঁদাবাজদের সাথে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে দুই গণমাধ্যমকর্মীসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলার কমলগজ উপজেলার ছলিমগঞ্জ মেঘনা নদী থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আটককৃতরা হলো, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার কান্দারগাঁও এলাকার মৃত মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন ওরফে পলিথিন জাকিরের ভাই আল-আমিন (৪০), একই উপজেলার বৈদ্দ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া বৌদ্ধপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে সোহাগ মিয়া (৩২), একই এলাকার বজলুল হক বেপারীর ছেলে জামাল হোসেন (৩৫), পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে আরিফ (৩৮), একই ইউনিয়নের প্রতাবের চর গ্রামের মৃত আব্দুল হক মোল্লার ছেলে হাসান বশির (৪৬), একই গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আলী নুর (৪০), একই এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৪২), পিরোজপুর ইউনিয়নের কাদিরগঞ্জ গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে দুলাল হোসেন (৫৬) এবং কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাতার মৃত দেলোয়ারের ছেলে শামসুল আলম (৩০)।

এছাড়া সোনারগাঁও উপজেলার বিশেষ পেশায় কাজ করা দুইজন সাংবাদিককেও তাদের সাথে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 

সূত্র দাবি করেছে, নৌ-চাঁদাবাজ দলটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির সাথে আঁতাত করে দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীর আড়াইহাজার, সোনারগাঁও এবং গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজী করে আসছিল। চাঁদাবাজ দলটি আজ ভোরের দিকে সোনারগাঁও থেকে চাঁদা তোলার উদ্দেশ্যে বের হয়। হঠাৎ তারা আড়াইহাজারের খাঁককান্দা এলাকা থেকে কিছুটা দুরে তাদের অজান্তেুই কিশোরগঞ্জ জেলাধীন ছলিমগঞ্জ এলাকার মেঘনা নীতে প্রবেশ করে। 

এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছলিমগঞ্জ নৌ পুলিশের একটি  টহল দল তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে। আটকের সময় তাদের ব্যবহৃত ট্রলার এবং বেশ কিছু নগদ টাকা জব্দ করা হয়। পরে চাঁদাবাজী মামলার পর আটককৃতদের গ্রেফতার দেখানো হয়। 

এদিকে, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির একজন নেতা টাকা নিয়ে আটককৃতদের ছাড়িয়ে আনতে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে, কোন কাজ না হওয়ায় তাকে খালি হাতেই আসতে হয়েছে বলে সূত্রটি দাবি করে।

এ ব্যাপারে ছলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে ১১জন আটকের কথা স্বীকার করেন এবং বিস্তারিত পরে বলতে পারবেন বলে জানান।

অপরদিকে, চাঁদাবাদ দলটির মুল হোতা আল আমিনের মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।



সোনারগাঁও দর্পণ :

দুই যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপন আদায়ের নির্যাতনের অভিযোগে ৫ যুবককে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। উপজেলার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের দড়িকান্দি এলাকা থেকে  সোমবার (২৩ জুন) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের কুমারচরের স্বাধীন মিয়া, ভাটিরচর এলাকার ফয়সাল, নাজিরপুর এলাকার রব্বানী হোসেন মুন্না, বন্দর উপজেলার ছোট বাগ গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চর বাউশিয়া গ্রামের রাশেদ ওরফে রাসেল। 

এর আগে, অপহরণ পরবর্তী নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীর বড় বোন রেখা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানাগেছে, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ময়নামতি মিরপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে শাকিল ও তার বন্ধু মৌলরদী গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে শাওন রবিবার (২২ জুন) বিকালে বালু ব্যবসার কাজে মোটরসাইকেলে করে সোনারগাঁও উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মগাসড়কের দড়িকান্দি এলাকায় যায়। সেখানে অজ্ঞাত ৪/৫ জন যুবক শান্ত ও শাওনকে জোর করে অপরহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রাখে এবং নির্যাতন করে। এ সময় তাদের সাথে থাকা ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। 

পরবর্তীতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আটক রাখা যুবকদের পরিবারের কাছ থেকে তিনি লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। পরবর্তীতে ওই দুই যুবকের পরিবার দুই দফায় ২৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠায়। পরের দিন রাত ১১টার দিকে দড়িকান্দি এলাকার স্থানীয় জনতা বিষয়টি টের পেয়ে স্বাধীন ও ফয়সাল নামে দুই অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশে দেয়। 

পরে পুলিশ আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রাব্বানি হোসেন মুন্না, সাজ্জাদ হোসেন এবং রাশেদ ওরফে রাসেলকে গ্রেফতার করে। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, দুই যুবককে অপরহরণ পরবর্তী মুক্তিপন আদায়ে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

এক সৌদী প্রবাসীর কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে ওই প্রবাসীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকী দেওয়া ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শাহাজাহানকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। রবিবার (২২ জুন) রাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত শাহজাহান সাদিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। 

এরআগে, সোহরাব হোসেন নামে আমগাঁও এলাকার এক সৌদি প্রবাসী তার নিজ বাড়ির পাশে একটি পুকুর মাছ চাষের উপযোগি করেন। এদিকে, সাদিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান তার লোকজন নিয়ে সোহরাব ওইখানে ব্যবসা করতে হলে শাহজাহানকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানান। সোহরাব এমন প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় চটে যায় শাহজাহান। পরে ওই দিনই (রবিবার) শাহজাহান ভুইয়ার নেতৃত্বে আলিফ ভুইয়া ও ফারজানা করিমসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল সোহরাবকে মারধর করে। 


এ সময় বিএনপি নেতা শাহজাহান তার হাতে থাকা একটি একনল বিশিষ্ট বন্দুক থেকে একটি ফাঁকা গুলি করে এবং চাঁদা না পেলে সোহরাবকে হত্যার হুমকী দেয়। এমনকি সোহরাবের স্ত্রী ফাহমিদা পারভীন স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও শারীরিক নির্যাতনে আহত করা হয়। 

ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এদিকে, ভুক্তভোগী সোহরাব থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আমগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। 

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বন্দুকটির লাইসেন্স থাকলেও আইন লঙ্ঘন করায় বন্দুকটি জব্দ করা হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

জমি নিয়ে ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের দ্বন্দ্বের বলি হলো নিরাপরাধ শ্রমিক খোরশেদ আলম। দৈনিক মজুরিতে কাজ করার সময় মালিকের প্রতিপক্ষের নির্মম বর্বরতার শিকার হয়েছেন তিনি। মামলাবাজ ও লোভী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত আব্দুর রউফ মোল্লা (৮০) ও তার মেয়ে মুনিরা আক্তার মুন্নি (৪২) ছাঁদের উপর থেকে শ্রমিকের শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে। রবিবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার পৌরসভা এলাকার অর্জুন্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দরপত গ্রামবাসী পলাতক রউফ মোল্লাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। 

এ ব্যাপারে আহত খোরশেদের ছোট ভাই থানায় তার ভাইকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। 

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তার বাড়ি পৌরসভার দরপত এলাকায়। তার বড় ভাই খোরশেদ আলম দিনমজুর হিসেবে অর্জুন্দি গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছোট ছেলে পনির মোল্লার বাড়িতে দিন-মজুর হিসেবে কাজ করতে যায়। পনির মোল্লার বাড়ির সীমানা পিলার দেওয়ার কাজ কারর সময় পনির মোল্লার বড় ভাই আব্দুর রউফ মোল্লা ও তার মেয়ে মুনিরা আক্তার তাদের ছাঁদ থেকে ফুটন্ত গরম পানি তার ভাই খোরশেদ মোল্লার উপর ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে খোরশেদের মুখমন্ডলসহ প্রায় পুরো শরীর ঝঁলসে যায়। এ সময় তার আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে, এ ঘটনার পর থানায় অভিযোগ হলে আব্দুর রউফ মোল্লা তার মেয়েকে নিয়ে অর্জুন্দির পাশবর্তী গ্রাম দরপত এলাকায় তার ভায়রা জানু মিয়ার বাড়িতে আত্মগোপনে থাকেন। পরে দরপত এলাকার মানুষ টের পেয়ে তাকে রাত ৮টার দিকে দরপত ঈদগাঁহ বাজারে আটক করে। পরে রাত ৯টার দিকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।

এলাকাবাসী জানায়, আব্দুর রউফ মোল্লা সাথে জমি নিয়ে তার ভাইদের সাথে প্রায় দ্বন্দ্ব হয়। এমন কি তিনি নিজের বাবা বেঁচে থাকতে তার বাবাকেও জমির জন্য মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার সময়  আব্দুর রউফ মোল্লা উপজেলায় কোন কাজে অবস্থান করছিলেন। বাড়ি থেকে তাকে ফোনে সীমানা দেওয়ার কাজ চলছে জানানো হয়। তখন তিনি উপজেলা থেকেই টেলিফোনে তার স্ত্রীকে দুই হাড়ি গরম পানি করতে বলেন। পরে বাড়ি গিয়ে তিনি ও তার মেয়ে এ কাণ্ড ঘটায়।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুল রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :  

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অটোস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রপের সংঘর্ষে আব্দুল কুদ্দুস (৬০) এবং মেহেদী (৩৮) নামে দুই জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২১জুন) রাতে আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা শাহী মসজিদ এলাকায় এবং একই দিন গভীর রাতে সিরাজউদ্দৌল্লা ক্লাবের সামনে ঘটনা দুটি ঘটে। 

নিহত কুদ্দুস বন্দর উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকার মৃত সাদেক আলীর ছেলে এবং রনি-জাফর গ্রুপের সমর্থক। অপরদিকে, নিহত মেহেদী সালেহ নগর এলাকার জলিল মুন্সির ছেলে এবং বাবু-মেহেদী গ্রুপের সমর্থক। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরেই বন্দর সিটি করপোরেশন এলাকার ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশার অনুসারী রনি-জাফর গ্রুপের সাথে ২১ নম্বর ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা হান্নান সরকারের অনুসারী ও সমর্থক বাবু-মেহেদী গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। 

উভয় গ্রুপ ধারালো ও দেশীয় অস্ত্র-লাঠিশোটা নিয়ে দফায়-দফায় মহড়া দিচ্ছিল। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বাহিনী এ দ্বন্দ্ব নিরসনে এলাকায় একাধিকবার অভিযানও টরিচালনা করে। তারপরও নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে শুক্রবার প্রথম উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

ওই ঘটনায় ৮/১০ জন আহত হয়। এরই রেশ ধরে, শরিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবু-মেহেদী গ্রুপের সদস্যরা রনি-জাফর গ্রুপের সমর্থক আব্দুল কুদ্দুসকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুদ্দুসকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে নিহত কুদ্দুসের আত্মীয়-স্বজন ও রনি-জাফর গ্রুপের সদস্যরা রেললাইন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বন্দর সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার সময় রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন মেহেদীকে ধাওয়া দিয়ে ধরে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা খানপুর তিনশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 

 এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget