Halloween Costume ideas 2015

সোনারগাঁও দর্পণ

সর্বশেষ পোস্ট
অপরাধ অর্থ ও বাণিজ্য আওয়ামী লীগ আদালত আন্তর্জাতিক উত্তরা পূর্ব থানা কাঁচপুর খেলাধুলা গজারিয়া গণমাধ্যম গাজীপুর চট্টগ্রাম জাতীয় জামপুর জামায়াত ঢাকা তথ্যপ্রযুক্তি থানা প্রশাসন দাউদকান্দি ধর্ম নরসিংদী নারায়ণগঞ্জ নোয়াখালী নোয়াগাও পর্যটন ও পরিবেশ পিরোজপুর পৌরসভা ফতুল্লা বন্দর বরগুনা বারদী বিএনপি বিনোদন বৈদ্যের বাজার ভারত ভুলতা মুন্সিগঞ্জ মোগরাপাড়া রাজনীতি রাজনীতি. রাজনীতি. বিএনপি রাজনীতি.মোগরাপাড়া রাজশাহী রূপগঞ্জ র‌্যাব র‌্যাব-11 শম্ভুপুরা শিক্ষা শিক্ষা ও সংস্কৃতি সন্মান্দি সংস্কৃতি সাদীপুর সাভার সারাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ সিভিল প্রশাসন সিলেট সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কথা


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে মধ্যরাতে র্যাবের অভিযানে পিরোজপুর ইউপির সাবেক সদস্যের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় ধারালো বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব ১১ এর সদস্যরা। এ সময় ওই অভিযানে সোনারগাঁওয়ের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত সাকিব বাহিনীর প্রধান সাকিব, তার সেকেন্ড ইন কমান্ডখ্যাত ডাকাত সাদ্দাম ও অনতম্য সদস্য মনির মেম্বার এবং তার ছেলে বাবু এবং ডাকাত শহিদুল্লাহসহ কমপক্ষে দশজনকে আটক করেছে। 

রবিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টা থেকে সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টা পর্যন্ত উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পাঁচআনী গ্রামে ইউনিয়নটির ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মনির হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

(ভিডিও দেখতে চাইলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন)

https://www.facebook.com/share/v/16vUAqW3Pf/

নাম প্রকাশে সোনারগাঁও দর্পণ এর একটি বিশ্বস্ত সূত্র সকাল সোয়া দশটার দিকে এমন তথ্য জানায়।

সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ এবং ২০ আগস্ট উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও হাবিবপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে প্রতিপক্ষ পিয়েল গ্রুপের লিজনের পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং আঁকাশকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার পর থেকে সোনারগাঁওয়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট ছোট কোরবনপুর এলাকার রাসেল ও হাবিবপুরের সাকিব গ্রুপের এ সকল সন্ত্রাসীরা পিরোজপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মনির হোসেনের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। গোপন সংবাদে র্যাব -১১ এর একটি দল রবিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে মনির মেম্বার, তার ছেলে বাবু এবং ডাকাত সাদ্দামসহ কমপক্ষ ৮/১০ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। অভিযানের সময় অস্ত্রের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে গাঁজাও উদ্ধার করা হয়। 

এ ব্যাপারে র্যাব দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক তথ্য জানানোর কথা রয়েছে বলে সূত্রটি জানায়।


সোনারগাঁও দর্পণ :

উচ্চ আদালতও আদালত, এই আদালতও আদালত। হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেইতো আর সাথে সাথে সকল আদেশ পালন করা সম্ভব হয়না। দরখাস্তটি নিষ্পত্তি করতে হলে এই আদালত (এসিল্যান্ড অফিস) এর প্রসেস মেনেই নিষ্পত্তি হবে। মোক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিবিধ মামলার নিষ্পত্তি বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশের মেয়াদ শেষে এসিল্যান্ডকে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি রবিবার (১০ আগস্ট) এমন মন্তব্য করেন সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ। 

জানাগেছে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনারগাঁও সার্কেল, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জে চলামান বিবিধ মোকদ্দমা নং- ১১৫/২০২৩ তে বিবাদী মোঃ মোক্তার হোসেন বিগত ০৫/০৩/২০২৫ ইং তারিখে "সূত্রে বর্ণিত মোকদ্দমার বাদী বিবাদীর মধ্যে একই তফসিলভূক্ত সম্পত্তি নিয়ে অত্র আদালতে বিবিধ মোকদ্দমা ১০৯/২০১০, বিবিধ মোকদ্দমা ৩৮/২০১৯ এবং বিবিধ মোকদ্দমা ৩৮/২০১৯ এর রায়ের বিরুদ্ধে অত্র মোকদ্দমার বাদী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদালতে মিস আপীল মোকদ্দমা ১৬১৪/২০২২ নিষ্পত্তি হওয়ায় আইনত ও ন্যায়ত সূত্র বর্ণিত মোকদ্দমাটি চলতে পারে না বিধায় মোকদ্দমাটি নথিজাত করন এর প্রার্থনা।" শীর্ষক একটি দরখাস্ত দেন। 

কিন্তু উক্ত দরখাস্তটি সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনারগাঁও সার্কেল, সোনারগাঁও সরকারি পদ, পদবি ও ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে  দীর্ঘদিন পর্যন্ত নিষ্পত্তি না করায় বিবাদী হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন মোকদ্দমা নং- ৮৯৭৮/২০২৫ দায়ের করেন। পরবর্তীতে বিগত ০৪/০৬/২০২৫ ইং তারিখে হাইকোর্ট বিভাগে শুনানী করে দরখাস্তটি ৩০ দিনের মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনারগাঁও সার্কেল, সোনারগাঁওকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে বিবাদী পক্ষ বিগত ৩০.০৬.২০২৫ইং তারিখে লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে এবং বিগত ০৯.০৭.২০২৫ ইং তারিখে হাইকোর্টের আদেশ এসিল্যান্ড অফিসে জারি করেন। বিগত ০৮.০৮.২০২৫ ইং তারিখে ৩০ দিন অতিবাহিত হয়। কিন্তু মঞ্জুরুল মোর্শেদ সরকারি পদ, পদবি ও ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ সরাসরি লঙ্ঘন ও অমান্য করে   গত  ১০.০৮.২০২৫ইং তারিখ পর্যন্ত দরখাস্তটি নিষ্পত্তি করেন নাই।  

এছাড়াও বিবাদী   বিগত ১৩.০৪.২০২৫ ইং তারিখে সহি মুহুরি নকল চেয়ে দরখাস্ত করলেও  নকল প্রদান করেন নাই।  এ বিষয়ে বিগত ২৬.০৬.২০২৫ইং তারিখে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর মাধ্যমে জাস্টিস ডিমান্ডিং নোটিশ প্রেরন করে  সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনারগাঁও সার্কেলকে সহি মুহুরি নকল প্রদানের জন্য অনুরোধ করলেও চলতি বছরের ১০ আগস্ট পর্যন্ত নকল প্রদান করেন নাই।  

মঞ্জুরুল মোর্শেদ  ৩০ দিনের মধ্যে দরখাস্তটি নিষ্পত্তি না করে শুধু হাইকোর্টের রায়কে অমান্য করেন নাই, রাষ্ট্রের আইনকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।

হাইকোর্ট ৪ জুন ২০২৫ তারিখে আদেশ দেন, এসিল্যান্ড যেন আবেদনটি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত দরখাস্তটি নিষ্পত্তি করেন।  

রিট আবেদনকারী মোক্তার হোসেন অভিযোগ করেন, “হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পরও দরখাস্তটি নিষ্পত্তি করেননি ভূমি অফিস। এমনকি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পরও মামলার নকল পর্যন্ত আমাকে দেয়নি।” 

মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিটের আদেশের কপি ও জাস্টিস ডিমান্ডিং নোটিশের কপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে সোনারগাঁও সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মোক্তার হোসেন বলেন, দরখাস্তটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি, তবে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী এসিল্যান্ড দরখাস্তটি নিষ্পত্তি করবেন। 

হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময় বিগত ০৮/০৮/২০২৫ ইং তারিখে শেষ হয়েছে অথচ আজকে ১০/০৮/২০২৫ ইং তারিখে দরখাস্তটি কেন নিষ্পত্তি হয়নি, 

এমন প্রশ্নে এসিল্যান্ডের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। 

তবে, নকল প্রস্তুত করে এসিল্যন্ডের টেবিলে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি স্বাক্ষর করলেই দিতে পারবেন বলে তিনি জানান। 

একটি নকল দিতে ৪ মাস সময় লাগে কি-না? এ প্রশ্নের  উত্তর তিনি এড়িয়ে যান। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁও সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মহসিন মিয়া বলেন,  অনেক বিবিধ মোকদ্দমা।  এখন এই বিবিধ মোকদ্দমার কথা বলতে পারছি না। তবে ধ্যর্য তারিখ ছাড়া কোন দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয়নি।  হাইকোর্ট আদেশ ৩০ দিনের বেশি হলেও সমস্যা নাই। আগামী ধার্য্য তারিখে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে একেবারে নকলসহ আদেশের কপি দিয়ে দিবো। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁও সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জরুল মোর্শেদ বলেন, হাইকোর্ট যে দরখাস্তটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন তা নিষ্পত্তি হয়নি। দেখেন,  এসিল্যান্ড অফিসও একটি কোর্ট। এখানে মামলা নিষ্পত্তির কিছু প্রসেস আছে। এই আদালতের  প্রসেস অনুযায়ীই দরখাস্তটি নিষ্পত্তি করা হবে। 

নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের আইনজীবী খন্দকার মাজেদুল ইসলাম সম্রাট বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের পরও দরখাস্তটি নিষ্পত্তি না করা এবং জাস্টিস ডিমান্ডিং নোটিশ পাবার পরও নকল না দেওয়ায় সহজেই বুঝা যায় এই অফিসে সাধারণ মানুষ কি সেবা পান। 

সোনারগাঁওয়ের এসিল্যান্ড মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ পালন করতে আইনত বাধ্য হওয়া সত্বেও পালন না করায় ওনি পদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। দরখাস্তকারীর উচিত মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে কন্টেম পিটিশন ফাইল করা।


সোনারগাঁও দর্পণ : 

দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে আহত করার পর গলা কেটে মৃত্যূ নিশ্চত করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব এর সদস্যরা। শুক্রবার  (৮ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার পৌর এলাকার উদ্ধবগঞ্জে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব কার্যালয়ের সামনে  এ মানববন্ধন হয়।  

মানববন্ধনে সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এম সালাউদ্দিন এর সভাপতিত্বে  বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন মোল্লা সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল হুসাইন, প্রচার সম্পাদক খায়রুল আলম খোকন প্রমূখ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক তুহিনের হত্যা কেবল একজন সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ নয়, বরং এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি। 

তারা বলেন, রাষ্ট্রের প্রত্যেক  নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু বালু হত্যা থেকে তুহিন হত্যা প্রতিটি ঘটনায় পুরো জাতি আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের দৃশ্যত কোন বিচার না হওয়ায় সমাজে আজ নৈরাজ্যের শিকড় দিন দিন শক্ত হচ্ছে। যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য চরম হুমকী। 

বক্তারা বলেন, যেখানে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে সেখানে সাধারণ নাগরিকের অবস্থা কি হবে তা সাধারণ মানুষকে ভাবায়। 

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়। 

মানববন্ধনে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 



এর আগে, ৭ আগস্ট বৃহস্পতি বার রাত ৮ টার দিকে গাজীপুর চৌরাস্তায এলাকায় রাজিবের চায়ের দোকানে বসে এক বন্ধুর সাথে চা খাচ্ছিল স্থানীয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। তার ঠিক কিছু দুরে অন্য একটি চায়ের দোকানে এক নারী অপর এবং বাদশা নামের এক যুবকের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। এ সময় ওই নারীর পক্ষে ৬/৭ জন সন্ত্রাসী যুবক ধারালো অস্ত্র হাতে এসে নারীর সাথে তর্কে জড়ানো বাদশাকে এলোপাথারী কোপাতে থাকে। 

এ সময় বাদশা দৌঁড়ে পাশে থাকা মসজিদে আশ্রয় নেয়। এদিকে, যুবকটিকে কোঁপানোর দৃশ্য দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিন তার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে। যা সন্ত্রাসীরা দেখে ফেলে। পরে সন্ত্রাসীরা তুহিনের কাছে তাদের ধারণ করা ফুটেজ মুছে ফেলতে বলে। তুহিন সে ফুটেজ মুছতে অস্বিকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা তুহিনকে ধাঁরালো অস্ত্রের আঁঘাতে আহত করে। পরে গলা কেঁটে মৃত্যূ নিশ্চিত করে স্থান ত্যাগ করে। 

এর আগের দিন তুহিন একই সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড নিয়ে লাইভ করে। 

এরও দুই দিন আগে ৫ আগস্ট , গাজীপুরের অপর সাংবাদিক গাজীপুরের কালিগঞ্জের মোফাজ্জল চেয়ারম্যানের ছেলের বন্ধুদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ে বাংলাদেশের আলো পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন লাইভ করলে মোফাজ্জল চেয়ারম্যানের ছেলের সন্ত্রাসী বাহিনী আনোয়ারকে ইট দিয়ে নৃশংস ভাবে থেতলে আহত করে। পরে টহলরত পুলিশ আনোয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। 





সোনারগাঁও দর্পণ :

একচ্ছত্র মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত সন্ত্রাসী

আকাশ মারা গেছে। গত ২৭ জুলাই রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। 

এর আগে, সাকিব গ্রুপের প্রধান সাকিব ও তার সহযোগিরা গত ২৩ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মৌগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকা সংলগ্ন পৌরসভার আজাম বাড়ি (চিরার মিল) এলাকায় আকাশদের ঘরে প্রবেশ করে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে আকাশকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করে সাকিব বাহিনী।। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আকাশ আজাম বাড়ি এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে এবং মোগরাপাড়া এলাকা ও এর আশপাশের এলাকা এবং ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিন্হিত পরিবহন ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী পিয়েল গ্রুপের অন্যতম সদস্য। 

সূত্র আরও জানায়, সন্ত্রাসী পিয়েল ও অপর সন্ত্রাসী সাকিব আত্মীয়তার সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুপাতো ভাই। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীণ সাকিব সোনারগাঁওয়ের শাহজাহান হত্যা মামলার প্রধান আসামী, মাদক সম্রাট ও র্যাবের হাতে ক্রস ফায়ারে নিহত উপজেলার এক সময়ের মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসী গিট্টু হ্রদয়ের বোনের স্বামী পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামের রাসেল বাহিনীর হয়ে কাজ করতো। সে সময় সাকিব ও পিয়েল গ্রুপের অত্যাচারে স্থানীয়রা এতোটাই অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল যে, তাদের নাম ক্রস ফায়ারের তালিকায় ওঠে। পরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক কারণে ক্রস ফায়ার শিথিল হলেও সাকিবের পরিবার তাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে, জুলাই-আগষ্টের ঘটনায় শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর সম্প্রতি সাকিব দেশে আসে এবং রাসেল গ্রুপের সাথে আগের মতো মাদকসহ বিভিন্ন খারাপ কাজ শুরু করে। 

এদিকে, সাকিব দেশের বাইরে থাকায় মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সিংহভাগ মাদকের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে পিয়েল গ্রুপের কাছে। ফলে 

পিয়েল বাহিনীর কারণে সাকিব ও রাসেল গ্রুপ তেমন সুবিধা করতে পারাযছিলনা। তাই গত ১২ জুলাই  পিয়েল গ্রুপের সদস্য লিজনের পা কেটে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে রাসেল। 


আর গত ২৩ জুলাই পৌরসভার আজাম বাড়ি (চিরার মিল) এলাকায় পিয়েল গ্রুপের অন্যতম সদস্য আকাশদের ঘরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আকাশকে এলোপাথারী কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত আহত করে সাকিব ও তার সহযোগিরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন আকাশকে হাসপাতালে নিলে চার দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে গত ২৩ জুলাই রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকাশ মারা যায়। 

এর গত মাসখানেক আগে, সাকিব মনসুর নামে হাবিবপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। 

এদিকে, আকাশে মারা যাওয়ার খবরে সাকিব ও তার বাহিনীর সদস্যরা আকাশের বাড়ি যায় এবং এ বিষয়ে কোন মামলা করলে চৌরাস্তা এলাকায় ব্যবসা করা আকাশের অপর দুই ভাইকেও মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় সাকিব। 

অপরদিকে, দুই সপ্তাহের মধ্যে পরপর দুইটি ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ না হওয়ায় এবং পুলিশ ফৌজধারী কার্যবিধির ১৫৪ ধারা প্রয়োগ না করায় সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান খাঁন সম্প্রীতি বলেছেন, গত ১২ জুলাইয়ে লিজনের পা বিচ্ছিন্নে ঘটনাটি লোক মুখে শুনেছেন এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করার জন্য থানায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভুক্তভোগীরা না আসায় তারা এ ব্যাপারে কিছু করতে পারেননি। তবে, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করতে থানায় গেলে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

স্বামী রায়হান স্ত্রী শোভাকে খুন করেছে। শোভার পরিবারের পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি বুধবার (৩০ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের আলাউদ্দিনের বাড়িতে ঘটেছে।

অভিযুক্ত রায়হান একই উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের মুশুরেরকান্দী গ্রামের উজ্জল মিয়ার ছেলে। আর নিহত শোভা সোনাখালী গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ের সাথে পারিবারিকভাবে চার বছর আগে সনমান্দী ইউনিয়নের মুশুরেরকান্দী গ্রামের উজ্জল মিয়ার ছেলে রায়হানের বিয়ে হয়। 

বিয়ের পর থেকে পেশাগতভাবে রায়হান বেকার থাকায় মেয়ে তার বাবার বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে বসবাস করতো। মাঝে মধ্যে রায়হান তার নিজ গ্রামের বাড়িতে যাতায়াত করতো। স্বামী বেকার হওয়ায় সাংসারিক কলহ প্রায় লেগেই থাকতো। এরই মধ্যে দেড় বছর আগে তাদের সংসারে শোয়াইব নামে একটি সন্তানের জন্ম হয়। 

স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কলহে গত মঙ্গলবার ২৯ জুলাই রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঘুম থেকে উঠতে দেড়ি হওয়ায় শোভার মা মানসুরা আক্তার শোভাকে ডাকতে তার ঘরে যায়। এ সময় দরজা খোলা দেখে ভিতরে প্রবেশ করেই মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। সে সময় রায়হান ঘরে ছিলনা। 

পরে পুলিশকে ফোনে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শোভার মরদেহ উদ্ধার করে। 

শোভার পরিবারের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে রাতে কোন এক সময় রায়হান বাঁলিশ চাঁপা দিয়ে বা অন্য কোনভাবে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর রায়হান পালিয়ে য়ায়। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

প্রকাশ্যে এক সন্ত্রাসী কেটে দিল আরেক সন্ত্রাসীর "পা"। ঘটনাটি গত ১২ জুলাই রাত আটটার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ঘটানো হলেও স্থানীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও অজ্ঞাত কারণে চুপ রয়েছে। ফলে, প্রতিবেদককে অনেকটা কটাক্ষ করেই বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সোনারগাঁও দর্পণ এর এক পাঠক বলছিলেন, ভাই সবাইরে কি রাসেল বায়েস্ট করে নিলো। 

প্রতিবেদক সঙ্গত কারণে কিছুদিন এলাকায় ছিলেন না, তাই তার কথার মর্ম বুঝতে না পারায় কথা হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পাঠকের সাথে। জানানো হয় গত ১২ জুলাই থেকে সোনারগাঁওয়ে স্ব-শরীরে না থাকার কথা। 

পরে তার ( পাঠক ) সাথে আলাপ করে জানাগেছে, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ আর প্রভাব বিস্তার দ্বন্দ্বে পরিবহন ডাকাত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী পিয়েল গ্রুপের অন্যতম সদস্য লিজনের 'পা' কেটে নিয়েছে র্যাবের হাতে ক্রস ফায়ারে নিহত সোনারগাঁওয়ের এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক সম্রাট ও চাঁদাবাজ হ্নদয় ওরফে গিট্টু হ্নদয়ের বোনের স্বামী অপর চিহ্নত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও নৌ ডাকাত রাসেল।

ওই পাঠক জানান, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চৌরাস্তায় জালাল টাওয়ার এর পিছনে গত ১২, জুলাই রাত আনুমানিক আটটার দিকে রাসেল নিজে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিজেন এর পা কেটে দেয়। এর আগে, মাদকের টাকা পয়সা নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মাদক সম্রাট রাসেল এ ঘটনা ঘটায়। 

তিনি জানান, এ সময় রাসেলের মুখ ঢাকা ছিল। রাসেল পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামের মৃত সাফায়াত উল্লার ছেলে।

অপর সন্ত্রাসী আহত লিজন একই ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ার চর গ্রামের সিএনজি চালক দ্বীন ইসলামের ছেলে। 

এদিকে অপর একটি সূত্র জানায়, রাসেল ছিল ক্রসফায়ারে নিহত গিট্টু হৃদয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড। গিট্টু হৃদয় ক্রস ফায়ারে নিহত হওয়ার পর থেকে গিট্টু হৃদয়ের পুরো মাদক ও অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ নেয় রাসেল। এর পর থেকে তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। রাসেল নাম লিখিয়েছে কোটিপতির খাতায়। ধীরে ধীরে রাসেল এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠে যে, যদি কেউ তার মাদক ব্যবসায় অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে, তাকেই পৃথিবী থেকে সরাতো রাসেল। 

এরই ধারাবাহিকতায়, সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামের শাহজাহানকে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী রাসেল, কমল হক, ইমরান, বিজয়, সাকিবসহ ৮/১০জন মিলে কুপিয়ে পায়ের ও হাঁতের রগ কেটে হত্যা করে। ওই রাসেল পুলিশের চোখে পলাতক থাকলেও তার প্রতিদিনের মাদক বিক্রি,  চাঁদাবাজি আর জমি জবর দখল করার কাজ চলছে আগের মতোই। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলাম খান বলেন, মৌখিকভাবে এমন একটা ঘটনার কথা শুনেছিলাম। ভিকটিম প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ করার কথা ছিল কিন্তু পরে আর আসেনি।


সোনারগাঁও দর্পণ :

নবগঠিত  সোনারগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রদল কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। অপরদিকে, সোনারগাঁও সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদল ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহ আলম মুকুল বলেছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল কোনভাবেই সরাসরি উপজেলা পর্যায় একটি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন দিতে পারেনা। যদি সোনারগাঁও সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটি দিয়ে থাকে তাহলে তা সাংগঠনিক নিয়মে হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির স্বাক্ষরিত ছাত্রদলের প্যাডে মো. আমিনুল ইসলামকে সভাপতি ও মাহমুদা আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয় এবং ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়।

নব অনুমোদিত কমিটির বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সোনারগাঁও দর্পণ’কে বলেন, এই কমিটি আমরা মানিনা। কাল সোনারগাঁও সরকারি কলেজের বড় একটি অংশ এই কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হবে। 

অপরদিকে, প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহ আলম মুকুল বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল কোনভাবেই সরাসরি উপজেলা লেভেলে একটি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি দিতে পারে না। এই কমিটি জেলা ছাত্রদল দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। 


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget